পিচিচি ট্রফির পর 'গোল্ডেন শু' জিতলেন মেসি

স্প্যানিশ লা লিগায় টানা তৃতীয়বারের মতো সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার পিচিচি ট্রফিটা পেয়েছেন ইতোমধ্যে। এবার ইউরোপের গোল্ডেন শু জিতলেন ফুটবল এলিয়েন লিওনেল মেসি। এই দুটি পুরস্কারই টানা তৃতীয়বারের মতো বার্সেলোনার প্রাণভোমরার ঝুলিতে গেল। আর ষষ্ঠবারের মতো গোল্ডেন শু জয়ের অনন্য কীর্তি গড়লেন ৩১ বছর বয়সী মেসি।

২০১৮-১৯ মৌসুমে ইউরোপের লিগগুলোতে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় রয়েছেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার মেসি। এই ক্ষুদে জাদুকর বার্সেলোনার জার্সি গায়ে লা লিগায় ৩৬ গোল করে রয়েছেন শীর্ষে। ১২ গোল করে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও শীর্ষস্থানে তিনি। কোপা দেল রে’তে করেছেন দুটি গোল। সব মিলিয়ে এই মৌসুমে ৫০ গোল করেছেন কিং মেসি! মেসির হাতে রয়েছে কোপা দেল রের ফাইনাল ম্যাচ। সেই ম্যাচে নিজেকে আরও ছাড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে তার হাতে।

মেসির এই পুরস্কার জেতার পথে বাধা ছিলেন প্যারিস সেন্ত জার্মেইয়ের ফ্রান্স তারকা কিলিয়ান এমবাপে। ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানে এমবাপে গোল করেছেন ৩২ গোল। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন লিগে করেছেন ৪টি গোল। আর কোপা ডে ফ্রান্স কাপে করেছেন দুটি গোল; এমবাপে এই মৌসুমে মোট করেছেন ৩৮ গোল। যা মেসির চেয়ে ১২ গোল কম। আর ঘরোয়া লিগে পিছিয়ে ছিলেন ৪ গোলে। মূলুত ঘরোয়া লিগে গোলের ব্যবধানে এই (গোল্ডেন শু) পুরষ্কার দেওয়া হয়ে থাকে।

এমবাপের হাতে বাকি ছিল একটি ম্যাচ- সমীকরণ এমন ছিল যে, মেসিকে হটিয়ে এই পুরস্কার জিততে হলে ফরাসি লিগ ওয়ানে শেষ ম্যাচে ৫ গোল করতে হবে তাকে। কিন্তু এক ম্যাচে এত গোল করা চাট্টিখানি কথা নয়। তাই হলো- শেষ ম্যাচে শুক্রবার (২৫ মে) দিবাগত রাতে স্তাদ দে রাঁসের বিপক্ষে ৩-১ ব্যবধানে হারে পিএসজি; ম্যাচে একবারের বেশি জালে বল পাঠাতে পারেননি এমবাপে!

১৯৬৭-৬৮ মৌসুম থেকে ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শু’র প্রচলন শুরু হয়। প্রতি মৌসুমে ইউরোপের শীর্ষ লিগগুলোর শীর্ষ গোলদাতাকে দেওয়া হয় এই পুরস্কার। এর আগে পাঁচবার এই পুরস্কার জেতার স্বাদ পেয়েছেন মেসি, যা এই পুরস্কার পাওয়ার ক্ষেত্রে রেকর্ড। ২০০৯-১০, ২০১১-১২, ২০১২-১৩ ও ২০১৭-১৮ মৌসুমে পুরস্কারটি জিতেছিলেন মেসি। এবারও এই পুরস্কার জিতে ষষ্ঠবারের মতো ইউরোপসেরা হলেন তিনি।

অবশ্য মেসির পর এই পুরস্কার জেতার রেকর্ডে দ্বিতীয় স্থানে আছেন জুভেন্তাস তারকা ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। মোট চারবার এই পুরস্কার ঘরে তুলেছেন এই পর্তুগিজ উইঙ্গার। এছাড়া আরও নয় খেলোয়াড় দুবার করে এই পুরস্কার জিতেছেন।

ওডি/এএপি