• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৫ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ

আরেকটি রাত জাগা উশুল ম্যাচ!

  ক্রীড়া ডেস্ক

০৯ মে ২০১৯, ১২:৪২
লুকাস মৌরা
আকাশে উড়ছেন লুকাস মৌরা, এমনটা তাকেই মানায়! (ছবি : সংগৃহীত)

ইতিহাস গড়ে বার্সেলোনাকে বিদায় করে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠেছে লিভারপুল। আগের রাতেই। অল রেডদের রাজসিক প্রত্যাবর্তন যে ফুটবল ভক্তরা চোখে দেখেছেন-চেখে দেখেছেন, তাদের কাছে হয়তো মনে হয়েছিল, এর চেয়ে নাটকীয়তা আর কোনো ফুটবল ম্যাচে সম্ভব না!

কিন্তু সেই রোমাঞ্চের রেশ থাকতে থাকতেই বুধবার রাতে (৯ মে) লিভারপুলের স্বদেশি ক্লাব টটেনহ্যাম হটস্পার ঘুরে দাঁড়ানোর যে অবিস্মরণীয় কীর্তি গড়ে দেখিয়েছে, তা যেন ছাপিয়ে গেছে ইয়ুর্গেন ক্লপের দলের বীরত্বকেও!

অ্যাওয়ে গোলের সুবাদে আয়াক্স আমস্টারডামকে হারিয়ে নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ইউরোপের সেরা ক্লাব আসরের ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে তারা। আর মরিসিও পচেত্তিনোর দলের এই নাটকীয় জয়ের নায়ক ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার লুকাস মৌরা। বাঁচা-মরার ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেছেন তিনি।

টানা দুই রাতে ফুটবলভক্তরা দেখলেন দুটি ঐতিহাসিক ম্যাচ। একেবারে রাত জাগা উশুল করে দেওয়া দুটি 'ফুটবলীয় দ্বৈরথ'! যেখানে লিভারপুলের সঙ্গী হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে নাম লিখিয়েছে টটেনহ্যাম।

বাঁধভাঙা উল্লাসে কোচ মরিসিও পচেত্তিনো (ছবি : টটেনহ্যাম হটস্পার টুইটার)

ফলে ২০০৭-০৮ মৌসুমের পর এই প্রতিযোগিতার ইতিহাসে কেবল দ্বিতীয়বারের মতো হতে যাচ্ছে 'অল-ইংলিশ' ফাইনাল। সেবার শিরোপার লড়াইয়ে মুখোমুখি হয়েছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও চেলসি।

আগের লেগে নিজেদের মাঠে নেদারল্যান্ডসের ক্লাব আয়াক্সের কাছে ১-০ গোলে হেরেছিল টটেনহ্যাম এবারের আসরে রূপকথা লিখে চলা আয়াক্স এর আগে বিদায় করেছিল রিয়াল মাদ্রিদ ও জুভেন্তাসকে।দ্বিতীয় লেগেও তারা ঘরের মাঠ ইয়োহান ক্রুইফ অ্যারেনায় ম্যাচের ৩৫ মিনিটের মধ্যে তারা এগিয়ে যায় ২-০ ব্যবধানে। মাথিয়াস ডি লিট ও হাকিম জিয়েসের গোলে।

অর্থাৎ দুই লেগ মিলিয়ে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে ফাইনালে পা রাখা তখন আয়াক্সের জন্য সময়ের ব্যাপার মাত্র! কিন্তু স্পার্স তো নাছোড়বান্দা! এত সহজে হাল ছাড়ার দল নয় তারা।

বিরতির পর জেদ আর আত্মবিশ্বাস বুকে নিয়ে মাঠে নামা দলটি হাজির হয় ভিন্ন এক রূপে। ফল, ৫৫ ও ৫৯তম মিনিটে দুবার আয়াক্সের জালে বল জড়িয়ে টটেনহ্যামকে সমতায় ফেরান মৌরা।

আয়াক্সের দুসান তাদিচকে সান্ত্বনা দিচ্ছেন স্পার্সের টবি অ্যাল্ডারভেইরেল্ড (ছবি : আয়াক্স আমস্টারডাম টুইটার)

নির্ধারিত ৯০ মিনিট পর্যন্ত বজায় থাকে এই ২-২ গোলে সমতা। অর্থাৎ আগের লেগে জেতায় আয়াক্স তখনও ৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে। ফাইনালের সুবাসও নিশ্চয়ই তখন তারা পেতে শুরু করে দিয়েছিল!

তবে অতিরিক্ত হিসেবে যোগ করা হয় পাঁচ মিনিট! আর সেখানেই আয়াক্সের কপাল পুড়িয়ে স্পার্সকে উল্লাসে মাতান মৌরা। বাড়তি সময়ের ষষ্ঠ মিনিটে ডেলে আলির পাস পেয়ে ডি-বক্সের ভেতর থেকে নিখুঁত শটে বল জালে জড়ান তিনি!

তাতেই নির্ধারিত হয়ে যায় ম্যাচের ভাগ্য। দুই লেগ মিলিয়ে ব্যবধান ৩-৩ হলেও আয়াক্সের মাঠে বেশি গোল করায় চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে চলে গেছে টটেনহ্যাম হটস্পার। আগামী ২ জুন বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় মাদ্রিদের ওয়ান্দা মেত্রোপলিতানোতে তারা মুখোমুখি হবে লিভারপুলের।

ওডি/এসএইচ