• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩০ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

যেমন ছিল বিপিএলের ছয় ফাইনাল

  অধিকার ডেস্ক    ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১০:৩০

বিপিএল
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) লোগো; (ছবি : সংগৃহীত)

২০১২ সালে প্রথমবারের মতো মাঠে গড়ায় চার-ছক্কার ধুন্ধুমার আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেট তথা বিপিএল। প্রথম আসরেই পেয়ে যায় তুমুল দর্শকপ্রিয়তা। সেই জনপ্রিয়তার রেশ ধরে ২০১২-১৩ মৌসুমে মাঠে গড়ায় বিপিএলের দ্বিতীয় আসর। এরপর ফিক্সিং কেলেঙ্কারি কালিমা লেপে দেয় বিপিএলের গায়ে। সেই কালিমা নিয়ে দুই বছর বন্ধ থাকে দর্শকপ্রিয় এই মারমার-কাটকাট টুর্নামেন্ট।

ফিক্সিং কেলেঙ্কারির বিচার শেষে মাঝে দুই আসর শেষ করে ২০১৯ সালে গড়ায় বিপিএলের ষষ্ঠ আসর। শুক্রবার মিরপুরে ঢাকা ডায়নামাইটস ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মধ্যকার ফাইনাল ম্যাচের মধ্য দিয়ে পর্দা নেমেছে ষষ্ঠ আসরের।

চলুন স্মৃতির পাতা থেকে দেখে নেওয়া যাক কেমন ছিল বিপিএলের সবগুলো আসরের ফাইনাল :

প্রথম আসর - ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্স বনাম বরিশাল বার্নাস:

প্রথম আসরে শিরোপা জেতে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস। ছবি: সংগৃহীত

২০১২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি মাঠে গড়ায় বিপিএলের প্রথম আসর। প্রথম আসরে অংশ নেয় ছয়টি দল। সেবার ফাইনালে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১৪০ রান সংগ্রহ করে বরিশাল। ১৫.৪ ওভারে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয় মাশরাফি বিন মোর্তজার ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্স। ঢাকা দলের হাতেই ধরা দেয় বিপিএলের প্রথম আসরের শিরোপা। ঢাকাই প্রথম শোকেসে তোলে বিপিএলের প্রথম আসরের শিরোপা।

দ্বিতীয় আসর - ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্স বনাম চিটাগং কিংস:

দ্বিতীয় আসরে শিরোপা জেতে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস। ছবি: সংগৃহীত

২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি মাঠে গড়ায় বিপিএলের দ্বিতীয় আসর। দ্বিতীয় আসরে দলসংখ্যা বেড়ে হয় ৭। ওই মৌসুমে ফাইনাল ম্যাচটি হয় ১৯ ফেব্রুয়ারি। ফাইনালে ঢাকা প্রথমে ব্যাট করতে নেমে এনামুল হক বিজয়ের ৩৬ বলে করা ৫৮ ও সাকিব আল হাসানের ৪১ রানে ভর করে ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৭২ রান সংগ্রহ করে। জবাবে ঢাকার বোলারদের বোলিং তোপে ১৬.৫ ওভারে মাত্র ১২৯ রানে অলআউট হয়ে যায় চিটাগং কিংস। ৪৩ রানের জয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয় ঢাকা।

তৃতীয় আসর - ঢাকা ডায়নামাইটস বনাম কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স:

তৃতীয় আসরে শিরোপা জেতে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ছবি: সংগৃহীত

স্পট ফিক্সিং কাণ্ডে এক বছর বন্ধ থাকার পর ২০১৫ সালে মাঠে গড়ায় বিপিএলের তৃতীয় আসর। এই আসরে ছয়টি দল অংশ নেয়। ১৫ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ফাইনালে বরিশাল বুলস প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রান তোলে। জবাবে ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে কুমিল্লা। প্রথমবারের মতো বিপিএলে এসেই চ্যাম্পিয়ন হয় কুমিল্লা।

চতুর্থ আসরের ফাইনাল - ঢাকা ডায়নামাইটস বনাম রাজশাহী কিংস:

চতুর্থ আসরে শিরোপা জেতে ঢাকা ডায়নামাইটস। ছবি: সংগৃহীত

২০১৬ সালের ৮ ডিসেম্বর মাঠে গড়ায় বিপিএলের চতুর্থ আসর। এই আসরে অংশ নেয় সাতটি দল। ফাইনালের মহারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটসম্যান এভিন লুইসের ৪৫ ও শ্রীলঙ্কান কুমার সাঙ্গাকারার ৩৬ রানে ভর করে ২০ ওভারে নয় উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রান সংগ্রহ করে ঢাকা ডায়নামাইটস। জবাবে রাজশাহী কিংস ১৭.৪ ওভারে ১০৩ রানে অলআউট হয়ে যায়। ৫৬ রানের জয়ে বিপিএলের চতুর্থ আসরে তৃতীয় শিরোপা ঘরে তোলে ঢাকা।

পঞ্চম আসরের ফাইনাল- ঢাকা ডায়নামাইটস বনাম রংপুর রাইডার্স :

পঞ্চম আসরে শিরোপা জেতে রংপুর রাইডার্স। ছবি: সংগৃহীত

২০১৭ সালের ৪ নভেম্বর মাঠে গড়ায় বিপিএলের পঞ্চম আসর। এই আসরেও অংশ নেয় সাতটি দল। ১২ ডিসেম্বর ফাইনালে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মাত্র এক উইকেট হারিয়ে ২০৬ রান সংগ্রহ করে রংপুর। জবাবে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রান তুলতে সমর্থ হয় ঢাকা ডায়নামাইটস। ৫৭ রানের জয়ে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বাদ পায় রংপুর। এই প্রথম শিরোপা জিতে রংপুর।

ষষ্ঠ আসরের ফাইনাল- ঢাকা ডায়নামাইটস বনাম কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স :

ষষ্ঠ আসরে শিরোপা জেতে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ছবি: সংগৃহীত

২০১৯ সালের ৫ জানুয়ারি মাঠে গড়ায় বিপিএলের ষষ্ঠ আসর। এই আসরেও অংশ নেয় সাতটি দল। ৮ ফেব্রুয়ারি ফাইনালে ওপেনার তামিম ইকবালের অবিশ্বাস্য ১৪১ রানের ইনিংসে ১৯৯ রান তোলে কুমিল্লা। সে রান তাড়া করতে নেমে ৯ উইকেটে ১৮২ রান তোলে ঢাকা ডায়নামাইটস। এই জয়ে দ্বিতীয়বারের মত শিরোপা ঘরে তোলে কুমিল্লা।

এএপি