• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৭ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

৭৫ বল ও ৮ উইকেট হাতে রেখে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ

  অধিকার ডেস্ক    ১৪ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৮:৫০

তামিম ইকবাল
তামিম ইকবাল (ছবি : ক্রিকইনফো)

সিলেটে শুক্রবার সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে বাংলাদেশের বিপক্ষে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে স্বাগতিক বোলারদের তোপে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি তারা। শাই হোপের টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশকে ১৯৯ রানের সাদামাটা লক্ষ্য ছুড়ে দিয়েছিল ক্যারিবিয়ানরা।

সেই লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দাপট দেখিয়ে ৭৫ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে টাইগাররা। ৩৮.৩ ওভারে ২ উইকেটে ২০২ রান জমা করে জয়ের বন্দরে নোঙর করেছে তারা। তাতে মাশরাফি বিন মর্তুজার দল নিশ্চিত করেছে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জয়। ওপেনিং করতে নেমে তামিম ইকবাল অপরাজিত থাকেন ৮১ রানে। তার আগে ২২ গজে ঝড় তুলেছিলেন সৌম্য সরকার। তিনি ৮১ বলে ৮০ রান করেন।

এর আগে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং পারফরম্যান্স উপহার দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এই তারকা স্পিনার ১০ ওভারে ২৯ রানে নেন ৪ উইকেট। এছাড়া বাংলাদেশের জার্সিতে ২০০তম ওয়ানডে খেলতে নামা অধিনায়ক মাশরাফি ৩৪ রানে ও সাকিব আল হাসান ৪০ রানে ২টি করে উইকেট পান।

চলতি বছর টানা তৃতীয় ওয়ানডে সিরিজ জয়ের স্বাদ পেল বাংলাদেশ। আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এটি টাইগারদের চতুর্থ জয়।

সংক্ষিপ্ত স্কোর :

বাংলাদেশ : ৩৮.৩ ওভারে ২০২/২ (তামিম ৮১*, লিটন ২৩, সৌম্য ৮০, মুশফিক ১৬*; রোচ ০/১৬, চেজ ০/৩২, পল ২/৩৮, স্যামুয়েলস ০/২৫, বিশু ০/৪৮, অ্যালেন ০/২২, পাওয়েল ০/২১)

সৌম্যর বিদায়ে ভাঙল জুটি

কিমো পলের বলে বোল্ড হয়ে বিদায় নিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারদের নাকানি-চুবানি খাওয়ানো সৌম্য সরকার। ঝড় তুলে ৮১ বলে ৫ চার ও ৫ ছয়ে ৮০ রান করে আউট হলেন তিনি। তবে ম্যাচ বাংলাদেশের মুঠোয় এনে তারপরই সাজঘরের পথ ধরলেন এই বাঁহাতি মারকুটে ব্যাটার। তার আগে দ্বিতীয় উইকেটে তামিম ইকবালের সঙ্গে গড়লেন ১৫২ বলে ১২৬ রানের দারুণ একটি জুটি।

৩৬তম ওভারে দলীয় ১৭৬ রানের মাথায় দ্বিতীয় উইকেট হারাল বাংলাদেশ। ওভার শেষে টাইগারদের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১৭৮ রান। উইকেটে ৭১ রান করা তামিমের সঙ্গে মাত্রই নামা মুশফিকুর রহিম ব্যাট করছেন ২ রানে।

তামিম-সৌম্য জুটিতে একশ

দলীয় ৪৫ রানে প্রথম উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর আর কোনো বিপদ হতে দেননি তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার। বাহারি সব শটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারদের চাপে রেখেছেন তারা। সুযোগ পেলেই চড়াও হচ্ছেন তাদের ওপর।

৩১তম ওভারের শেষ ডেলিভারিতে সৌম্য মিড উইকেটের ওপর দিয়ে ছয় হাঁকালে এই জুটির রান একশ পূর্ণ হয়। বল লেগেছে ১২৬টি। এই জুটিতে পঞ্চাশ এসেছিল ৫৪ বলে।

তামিমের পর সৌম্যর হাফসেঞ্চুরি

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম দুই ওয়ানডেতে অনুজ্জ্বল ছিলেন সৌম্য সরকার। তবে সিলেটে তৃতীয় ওয়ানডেতে হাসছে তার ব্যাট। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের সপ্তম হাফসেঞ্চুরি তুলে নিলেন এই বাঁহাতি ব্যাটার।

বাঁহাতি স্পিনার ফাবিয়ান অ্যালেনের করা ৩১তম ওভারের প্রথম ডেলিভারিতে এক রান নিয়ে ফিফটি পূরণ করেন সৌম্য। ৬২ বলে আসলো তার হাফসেঞ্চুরি। ওই ওভারের চতুর্থ ও শেষ ডেলিভারিতে ডাউন দ্য উইকেটে এসে দুটি বিশাল ছয় হাঁকিয়ে ইঙ্গিত দিলেন, দ্রুতই লক্ষ্যে পৌঁছে সিরিজ জয় নিশ্চিত করতে চান তিনি।

৩১ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১ উইকেটে ১৪৯ রান। তামিম ইকবাল ও সৌম্য দুজনেই ব্যাট করছেন ৬২ রানে।

তামিমের টানা দ্বিতীয় ফিফটি

মাঠে ফিরেই ঝলক দেখাতে শুরু করেছেন তামিম ইকবাল। টানা দুই ওয়ানডেতে হাফসেঞ্চুরির দেখা পেলেন এই বাঁহাতি। ২৪তম ওভারের তৃতীয় বলে দেবেন্দ্র বিশুকে সুইপ করে স্কোয়ার দিয়ে চার হাঁকিয়ে মাইলফলক পূরণ করলেন তিনি।

৬২ বলে ফিফটি ছুঁলেন তামিম। এখন পর্যন্ত ৬টি চার মেরেছেন তিনি। এটি তার ক্যারিয়ারের ৪৪তম হাফসেঞ্চুরি। ২৪তম ওভার শেষে টাইগারদের সংগ্রহ ১ উইকেটে ১১৬ রান। তামিম ৫১ ও সৌম্য সরকার ৪০ রানে উইকেটে আছেন।

বাংলাদেশের একশ

ইনিংসের ১৩তম ওভারের প্রথম বলে বাংলাদেশের স্কোর ছুঁয়েছিল পঞ্চাশ। ওপেনার লিটন দাসের উইকেট হারিয়ে। তবে সৌম্য সরকার তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামার পর সচল হয়েছে বাংলাদেশের রানের চাকা। আরেক ওপেনার তামিম ইকবালও খেলছেন হাত খুলে।

ফলে ইনিংসের ২০তম ওভারের পঞ্চম বলে একশ ছুঁয়ে ফেলেছে বাংলাদেশের সংগ্রহ। দারুণ এক ছয় হাঁকিয়ে দলের স্কোর শতরান পার করেন সৌম্য। ডাউন দ্য উইকেটে এসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্পিনার দেবেন্দ্র বিশুর ডেলিভারি লং-অফের ওপর দিয়ে মাঠের বাইরে পাঠান এই বাঁহাতি।

প্রতিবেদন লেখার সময় বাংলাদেশের সংগ্রহ ২১ ওভারে ১ উইকেটে ১০৫ রান। উইকেটে তামিম ৪৪ ও সৌম্য ৩৬ রানে ব্যাট করছেন।

লিটন আউটে বাংলাদেশের প্রথম উইকেটের পতন

ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেওয়া সহজ লক্ষ্য তারা করতে নেমে শুরুটা সতর্কতার সঙ্গেই করেছিলেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। মাত্র ১০ ওভারেই এই জুটিতে আসে ৪৫ রান। তবে, একাদশ ওভারের প্রথম বলে আবারও নিজের উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসলেন লিটন।

এ দিন ব্যাট হাতে লিটন খেলছিলেন অস্বস্তি ছাড়াই। তবে, অফ স্টাম্পের বাইরের বল পুল করতে গিয়ে কিমো পলের হাতে সহজ ক্যাচ দিয়ে বসেন তিনি। ৫টি চারের সাহায্যে ৩৩ বলে ২৩ রান করে সাজ ঘরে ফেরেন তিনি। অপর প্রান্তে, ২২ রানে অপরাজিত আছেন তামিম।

বাংলাদেশকে ১৯৯ রানের লক্ষ্য দিল উইন্ডিজ

দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে জিতিয়ে সিরিজে ১-১ এ সমতায় ফেরান শাই হোপ। এ দিনও উজ্জ্বল ছিলেন তিনি। দলের ব্যাটিং বিপর্যয়ে এক প্রান্ত ধরে রেখে দলকে নিয়ে গেছেন দুইশর ঘরের খুব কাছাকাছি।

এ দিনও অসাধারণ এক সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন হোপ। প্রথম ওয়ানডের মতোই ইনিংসের শেষ পর্যন্ত লড়াই করলেন ক্যারিবিয়ান এই ওপেনার। তবে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ছোঁয়াতে পারেননি দুইশ রানের কোটা। ৫০ ওভার শেষে ১৩১ বলে অপরাজিত ১০৮ রান নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৯ উইকেটে ১৯৮ রানের সংগ্রহ তুলে দিয়েছেন হোপ। জিততে হলে বাংলাদেশকে করতে হবে ১৯৯ রান।

সংক্ষিপ্ত স্কোর :

ওয়েস্ট ইন্ডিজ : ৫০ ওভারে ১৯৮/৯ (হেমরাজ ৯, হোপ ১০৮*, ব্রাভো ১০, স্যামুয়েলস ১৯, হেটমায়ার ০, পাওয়েল ১, চেজ ৮, অ্যালেন ৬, পল ১২, রোচ ৩, বিশু ৬*; মুস্তাফিজ ০/৩৩, মিরাজ ৪/২৯, সাকিব ২/৪০, মাশরাফি ২/৩৪, সাইফ ১/৩৮, মাহমুদউল্লাহ ০/১৪)।

বোলারদের দাপটের মাঝেও হোপের লড়াকু সেঞ্চুরি

বাংলাদেশ বোলারদের দাপটে যখন একের পর এক উইকেট হারিয়ে চলেছে ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যানরা। তখন এক প্রান্ত আগলে রেখে একাই লড়াই করছেন শাই হোপ। সতীর্থদের বিদায়ে তার সেঞ্চুরি নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছিল। তবে শেষ উইকেট জুটিতে ছক্কা হাঁকিয়ে সিরিজে টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন ক্যারিবিয়ান এই ওপেনার।

দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশের দেওয়া লক্ষ্য তারা করতে নেমে শুরু থেকে শেষ ওভার পর্যন্ত খেলে অপরাজিত ছিলেন ১৪৬ রানে। এ দিনও ওপেনিংয়ে নেমে টিকে আছেন এখন পর্যন্ত। ইনিংসের ৪৮তম ওভারে ১২১ বলে সেঞ্চুরি করেন ইনিংসের ৪৮তম ওভারে।

মাশরাফির দ্বিতীয় শিকার রোচ

নিজের পরপর দুই ওভারে উইকেট পেলেন মাশরাফি। ডানহাতি পেসারের নিচু হওয়া বলে কিমার রোচকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে নিজের দ্বিতীয় উইকেট শিকার করলেন ম্যাশ। আউট নিয়ে রোচের মনে সংশয় থাকায় রিভিউ নিয়েছিলেন তিনি। আম্পায়ার আউট দেওয়ার পর রিভিউ নিয়েও কোন লাভ হয়নি রোচের।

৮ বলে ৩ রান করে ৪৬ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ৯ উইকেটে ১৭৭ রান।

সাকিবের পর মাশরাফির আঘাতে দিশেহারা উইন্ডিজ

শুরুতে ক্যারিবিয়ানদের লোয়ার অর্ডারে কাপন ধরিয়েছেন সাকিব আল হাসান। এবার তার সঙ্গে যোগ দিলেন টাইগার দলনেতা মাশরাফি বিন মুর্তজা। আক্রমণে এসে কিমো পলকে ফিরিয়ে ইনিংসে নিজের প্রথম উইকেট পেয়েছেন মাশরাফি।

৪৩তম ওভারের পঞ্চম বলে বোল্ড করে পলকে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান ম্যাশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ তখন ১৭১ রানে ৮ উইকেট।

এবার অ্যালেনকে ফেরালেন সাকিব

রোস্টন চেজের পর এবার ফাবিয়ান অ্যালেনকে ফেরালেন বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। এক ওভার বিরতিতে আবারও ক্যারিবিয়ানদের উইকেট তুলে নিলেন তিনি। নিজের অষ্টম ওভারের শেষ বলে বাঁহাতি এই স্পিনারকে সুইপ করতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগ থাকা মোহাম্মদ মিথুনের অসাধারণ এক ক্যাচে আউট হয়ে ফিরে যান অ্যালেন।

এক বল আগেই সাকিব আল হাসানকে লং অন দিয়ে ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন ক্যারিবিয়ান এই ব্যাটসম্যান। তাই বলে যেতেই পারে এই উইকেটটি ফিরিয়ে মধুর প্রতিশোধ নিয়েছেন সাকিব।

সাকিব ঘূর্ণিতে কাটা পড়লেন চেজ

নিজের পঞ্চম ওভারের তৃতীয় বলে উইকেটের দেখা পেলেন সাকিব আল হাসান। তার ঘূর্ণিতে ক্যারিবিয়ানদের দলীয় ১৩৩ রানের মাথায় উড়িয়ে মারতে গিয়ে বাউন্ডারিতে দাঁড়িয়ে থাকা সৌম্য সরকারের হাতে ধড়া পড়লেন রোস্টন চেজ।

মিরাজের ক্যারিয়ার সেরা বোলিং

নিজের শেষ স্পেলে পরপর ২ ওভারে ২ উইকেট তুলে নিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। বাংলাদেশের এই উঠতি তারকা স্পিনার গড়লেন নিজের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের সেরা বোলিংয়ের কীর্তি। ১০ ওভারে ১ মেডেনসহ ৪ উইকেট পেলেন মাত্র ২৯ রান দিয়ে।

মিরাজের আগের সেরা ওয়ানডে বোলিং কীর্তি ছিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের সবশেষ সিরিজে। সে ম্যাচে ৪৬ রানে ৩ উইকেট পেয়েছিলেন ২১ বছর বয়সী এই অফ স্পিনার।

মিরাজের জোড়া আঘাত

২৪তম ওভারের পঞ্চম বলে শিমরন হেটমায়ারকে এলবিডাব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ৬ বল খেললেও রানের খাতা খুলতে পারেননি এই বাঁহাতি। চলমান টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজ মিলিয়ে ষষ্ঠবারের মতো মিরাজের বলে উইকেট খোয়ালেন হেটমায়ার।

এরপর ২৬তম ওভারের পঞ্চম বলে মিরাজের শিকার হন ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক রোভম্যান পাওয়েল। ৯ বল খেলে ১ রান করেন তিনি। উইকেটের পেছনে দারুণ এক ক্যাচ ধরে তাকে ফেরান মুশফিকুর রহিম।

ফলে ৩ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারাল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২ উইকেটে ৯৬ রান থেকে তারা পরিণত হলো ৫ উইকেটে ৯৯ রানের দলে। প্রতিবেদন লেখার সময় ২৭ ওভার শেষে ক্যারিবিয়ানদের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১০৪ রান। একপ্রান্ত আগলে থাকা শাই হোপ ৬০ রানে ব্যাট করছেন। তার সঙ্গী মাত্রই নামা রোস্টন চেজ।

স্যামুয়েলসকে ফেরালেন সাইফ উদ্দিন

ওয়েস্ট ইন্ডিজের তৃতীয় উইকেটের পতন হলো দলীয় ৯৬ রানের মাথায়। ক্রিজে দাঁড়িয়ে কোনো ফুটওয়ার্ক ছাড়াই ড্রাইভ করতে চেয়েছিলেন মারলন স্যামুয়েলস। কিন্তু মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিনের অফ কাটার তার ব্যাটের ভেতরের কানায় লেগে উপড়ে দেয় স্ট্যাম্প।

২৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ৩২ বলে ১৯ রান করে আউট হলেন অভিজ্ঞ স্যামুয়েলস। ভাঙল উইন্ডিজের ৩৯ রানের তৃতীয় উইকেট জুটি। ওভার শেষে তাদের স্কোর ৩ উইকেটে ৯৬ রান। উইকেটে আছেন শাই হোপ ৫৩ ও মাত্রই নামা শিমরন হেটমায়ার ০ রানে।

হোপের ফিফটি

সিরিজ জুড়ে রানের মধ্যে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওপেনার শাই হোপ তুলে নিলেন হাফসেঞ্চুরি। গেল ওয়ানডের সেঞ্চুরিয়ান এ ম্যাচে ফিফটির দেখা পেলেন ৫৫ বলে। ২০তম ওভারের শেষ বলে এক রান নিয়ে ব্যক্তিগত অর্জনে পৌঁছে যান হোপ। এখন পর্যন্ত তিনি হাঁকিয়েছেন ৬টি চার।

ফের মিরাজের উইকেট উৎসব

দ্বিতীয় উইকেটে বাংলাদেশকে ভালোই জবাব দিতে শুরু করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। গেল ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান শাই হোপ আছেন ছন্দে। তাকে সঙ্গ দিচ্ছিলেন ড্যারেন ব্রাভো। তবে বাংলাদেশের জন্য চাপ হয়ে ওঠার আগেই এই জুটি ভাঙলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ছেদ পড়ল ক্যারিবিয়ানদের ৫৯ বলে ৪২ রানের দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে।

১৪তম ওভারের চতুর্থ ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে সাজঘরের পথ ধরলেন ব্রাভো। ২৬ বলে তার সংগ্রহ ১০ রান। ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর ২ উইকেটে ৬০ রান। উইকেটে হোপের সঙ্গী মাত্রই নাম মারলন স্যামুয়েলস।

পাওয়ার প্লেতে উইন্ডিজের স্কোর : ৪৫/১

প্রথম পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশ ১ উইকেট তুলে নিয়েছে। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যানরাও জবাব দিচ্ছেন ভালোভাবেই। ইনিংসের প্রথম ১০ ওভারে ৪৫ রান স্কোর বোর্ডে তুলেছে তারা। চার হাঁকিয়েছে ৬টি।

প্রথম আঘাত মিরাজের

গেল ওয়ানডের মতো এ ম্যাচেও বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ফের টাইগার স্পিনারের শিকার হলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওপেনার চন্দ্রপল হেমরাজ। তার সংগ্রহ ১৭ বলে ৯ রান। শর্ট ডেলিভারিটি কাট করতে চেয়েছিলেন এই বাঁহাতি। কিন্তু বল তার ব্যাটের কানায় লেগে উঠে যায়। পয়েন্ট সহজ ক্যাচ লুফে নেন মোহাম্মদ মিঠুন।

চতুর্থ ওভারের পঞ্চম বলে পতন হলো উইন্ডিজের প্রথম উইকেটের। দলীয় ১৫ রানের মাথায়। প্রতিবেদন লেখার সময় ক্যারিবিয়ানদের সংগ্রহ ৫ ওভারে ১ উইকেটে ২০ রান। উইকেটে আছেন ওপেনার শাই হোপ ১০ ও ড্যারেন ব্রাভো ০ রানে।

বাংলাদেশের একাদশে দুই পরিবর্তন

দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ৪ উইকেটের ব্যবধানে হেরেছিল বাংলাদেশ। ওই ম্যাচের একাদশ থেকে বাদ পড়েছেন দুজন। টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান ইমরুল কায়েস ও পেসার রুবেল হোসেন। তাদের পরিবর্তে দলে ঢুকেছেন মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ মিঠুন ও পেস অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।

বাংলাদেশ একাদশ : তামিম ইকবাল, লিটন দাস, সৌম্য সরকার, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, মোহাম্মদ মিঠুন, মাহমুদউল্লাহ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মেহেদী হাসান মিরাজ, মাশরাফি বিন মর্তুজা (অধিনায়ক), মুস্তাফিজুর রহমান।

উইন্ডিজ একাদশে এক পরিবর্তন

একাদশে একটি পরিবর্তন এনেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। গতি তারকা ওশানে থমাস খেলছেন না এ ম্যাচে। তার জায়গায় উদীয়মান বাঁহাতি স্পিনার ফাবিয়ান অ্যালেনকে দলে টেনেছে ক্যারিবিয়ানরা।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ : চন্দ্রপল হেমরাজ, শাই হোপ (উইকেটরক্ষক), ড্যারেন ব্রাভো, মারলন স্যামুয়েলস, শিমরন হেটমায়ার, রোভম্যান পাওয়েল (অধিনায়ক), রোস্টন চেজ, কিমো পল, দেবেন্দ্র বিশু, কেমার রোচ ও ফাবিয়ান অ্যালেন।

টস, মাশরাফির ২০০তম ওয়ানডে

মিরপুরে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিতে যাওয়ায় সিলেটে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচটি পরিণত হয়েছে অঘোষিত 'ফাইনালে'। অপূর্ব নৈসর্গিক সৌন্দর্যের মাঝে অবস্থিত সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের অভিষেক ওয়ানডেতে তাই ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে প্রাণপণ লড়াই করতে হবে বাংলাদেশকে। সিরিজ জয় নিশ্চিত করতে। আর সেই লড়াইয়ে সফরকারীদের আগে ব্যাটিং করার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা।

শুক্রবার সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে মুখোমুখি হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ও সফরকারী উইন্ডিজ। এরই মধ্যে হয়ে হয়ে গেছে টস। ভাগ্য সুপ্রসন্ন বাংলাদেশের জার্সিতে ২০০তম ওয়ানডে খেলতে নামা মাশরাফির (বাকি দুটি এশিয়া একাদশের হয়ে খেলেছেন)। জিতেছেন টসে। দিবা-রাত্রির এই ম্যাচে তিনি অবশ্য বেছে নিয়েছেন ফিল্ডিং। ফলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যানদের দায়িত্ব থাকছে বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য ছুঁড়ে দেওয়ার।