অধিকার ডেস্ক ১১ ডিসেম্বর ২০১৮, ২০:২৪
বাংলাদেশের ছুঁড়ে দেওয়া ২৫৬ রানের লক্ষ্যে মঙ্গলবার মিরপুরে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ব্যাট করছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ : ২০৬/৬ (৪৩ ওভারে) (হোপ ১০৯*, পল ৬*)
জয়ের জন্য ৭ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের চাই ৫০ রান। বাংলাদেশের দরকার ৪ উইকেট।
উইন্ডিজের দলীয় সংগ্রহ ছাড়াল দুইশ
ইনিংসের ৪২তম ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর দুইশ ছাড়াল। রুবেল হোসেনকে চার মেরে দলের সংগ্রহ 'ডাবল সেঞ্চুরি' পূরণ করলেন শাই হোপ। স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে দারুণ ব্যাটিং করছেন এই ওপেনিং উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান।
৪৩ ওভার শেষে উইন্ডিজের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ২০৬ রান। উইকেটে আছেন হোপ ১০৯ ও কিমো পল ৬ রানে।
হোপের সেঞ্চুরি স্বপ্ন দেখাচ্ছে উইন্ডিজকে
ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৪৩তম ম্যাচে তৃতীয় সেঞ্চুরি তুলে নিলেন শাই হোপ। অন্য ব্যাটাররা আসা-যাওয়ার মধ্যে থাকলেও একপ্রান্ত আগলে ব্যাটিং করছেন এই ডানহাতি। তাকে ঘিরে বাংলাদেশকের হারানোর স্বপ্ন দেখছে ক্যারিবিয়ানরা।
১১৮ বলে সেঞ্চুরি পূরণ করলেন হোপ। তিন অঙ্কে পৌঁছাতে মারলেন ৭টি চার ও ২টি ছয়। ৪১তম ওভারে মাশরাফি বিন মর্তুজার চতুর্থ ডেলিভারিতে এক রান নিয়ে মাইলফলক স্পর্শ করলেন তিনি। ওভার শেষে দলটির স্কোর ৬ উইকেটে ১৯৫ রান।
মুস্তাফিজের দ্বিতীয় শিকার চেজ
উইকেটে আসার পর স্বাচ্ছন্দ্যে ছিলেন না রোস্টন চেজ। রানের জন্য হাঁসফাঁস করছিলেন। শেষ পর্যন্ত মুস্তাফিজুর রহমানের কাটারে মিড অনে ক্যাচ দিলেন তামিম ইকবালের হাতে। ১৮ বলে ৯ রান করে আউট হলেন এই অলরাউন্ডার।
৩৯তম ওভারের শেষ বলে দলীয় ১৮৫ রানে পতন হলো ক্যারিবিয়ানদের ষষ্ঠ উইকেটের। উইকেটে ৯৫ রান করা শাই হোপের সঙ্গী মাত্রই নামা কিমো পল।
মাশরাফির শিকার রোভম্যান
নিজের তৃতীয় স্পেলে প্রথম সাফল্য পেলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। ফেরালেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক রোভম্যান পাওয়েলকে। ২ বলে ১ রান করে আউট হলেন তিনি।
৫ বলের ব্যবধানে ২ রানের মধ্যে ২ উইকেট খুইয়ে ফেলল উইন্ডিজ। ৩৫তম ওভারের চতুর্থ বলে দলীয় ১৫৭ রানে পতন হলো তাদের পঞ্চম উইকেটের। প্রতিবেদন লেখার সময় ৩৫ ওভার শেষে সফরকারীদের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৭০ রান। উইকেটে শাই হোপ ৮৫ ও মাত্রই নামা রোস্টন চেজ ৪ রানে ব্যাট করছেন।
জয়ের জন্য ১৫ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দরকার ৮৬ রান। অন্যদিকে বাংলাদেশের চাই ৫ উইকেট। ক্যারিবিয়ানদের আশার আলো হয়ে এখনও উইকেটে আছেন হোপ। সেঞ্চুরির দিকে এগোচ্ছেন তিনি।
রুবেলই বধ হেটমায়ার
রুবেল হোসেনের আগের ওভারে জীবন পেয়েছিলেন শিমরন হেটমায়ার। সুযোগ পেয়ে তেড়েফুঁড়ে ব্যাট করার চেষ্টা করছিলেন তিনি। ৩৩তম ওভারটা তিনি শুরু করেছিলেন রুবেলকে ৬ মেরে। এরপর শেষ বলটি আবারও উড়িয়ে মেরে আদায় করে নিতে চেয়েছিলেন বাউন্ডারি। কিন্তু ৬ হাঁকাতে গিয়ে ধরা পড়লেন বদলি ফিল্ডার নাজমুল ইসলাম অপুর হাতে।
ফলে হেটমায়ার খুব বেশি ভোগাতে পারলেন না বাংলাদেশকে। ১০ বলে ১৪ রান করে মাঠ ছাড়লেন তিনি। ১৫৫ রানে চতুর্থ উইকেট হারাল উইন্ডিজ।
হেটমায়ারকে জীবন দিলেন ইমরুল
দ্রুত ওয়েস্ট ইন্ডিজের ২ উইকেট তুলে নেওয়ার সুযোগ হারাল বাংলাদেশ। রুবেল হোসেনের বলে ফাইন লেগে ক্যাচ তুলেছিলেন মাত্রই নামা শিমরন হেটমায়ার। কিন্তু তা লুফে নিতে পারেননি ইমরুল কায়েস।
রানের খাতা খোলার আগেই জীবন পেলেন হেটমায়ার। ইমরুল ক্যাচ ফেলার সুযোগে তিনি দৌড়ে নিলেন ২ রান। ৩১ ওভার শেষে উইন্ডিজের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৩৭ রান। উইকেটে শাই হোপ ৭১ ও হেটমায়ার ২ রানে ব্যাট করছেন।
উইন্ডিজ শিবিরে মুস্তাফিজের আঘাত
শাই হোপ ও মারলন স্যামুয়েলস জুটিতে বাংলাদেশকে চাপে ফেলে দিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এই জুটিতেও আসে পঞ্চাশোর্ধ্ব রান। দ্বিতীয় স্পেলে বোলিং করতে এসে ৬২ রানের এই জুটি ভেঙে দিলেন 'কাটার মাস্টার' খ্যাত মুস্তাফিজুর রহমান।
দলীয় ১৩২ রানে তৃতীয় উইকেট হারাল উইন্ডিজ। ৩০তম ওভারের শেষ ডেলিভারিটি স্লোয়ার দিয়েছিলেন মুস্তাফিজ। কাট করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে মুশফিকুর রহিমের হাতে ক্যাচ দেন স্যামুয়েলস। ৪৫ বলে ২৬ রান করে আউট হলেন তিনি।
হোপের ফিফটি, উইন্ডিজের হান্ড্রেড
২৩তম ওভারে সাকিব আল হাসানের পঞ্চম ডেলিভারিতে এক রান নিয়ে হাফসেঞ্চুরি পূরণ করলেন শাই হোপ। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের অষ্টম ফিফটি ছুঁয়ে ফেললেন তিনি। সেজন্য এই উইকেটরক্ষক ওপেনিং ব্যাটারকে খেলতে হলো ৬৬ বল।
পরের ওভারেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের দলীয় রান ছাড়াল একশ। ২৪তম ওভারে মাশরাফি বিন মর্তুজার শেষ ডেলিভারিতে ক্যারিবিয়ানদের স্কোর তিন অঙ্ক ছুঁয়ে ফেলল। ওভার শেষে তাদের স্কোর ২ উইকেটে ১০০ রান। হোপ ৫৩ ও অভিজ্ঞ মারলন স্যামুয়েলস ১৪ রানে উইকেটে আছেন।
জয়ের জন্য ২৬ ওভারে উইন্ডিজের দরকার ১৫৬ রান। তাদের হাতে রয়েছে ৮ উইকেট।
বিপজ্জনক হয়ে ওঠা জুটি ভাঙলেন রুবেল
বোলিং পরিবর্তন করেও সাফল্য পাচ্ছিল না বাংলাদেশ। শাই হোপ ও ড্যারেন ব্রাভোর দ্বিতীয় জুটিতে দারুণভাবে এগোচ্ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের রানের চাকা। বাংলাদেশের মাথাব্যথার কারণ হয়ে ওঠা এই জুটি ভাঙলেন রুবেল হোসেন। নিজের প্রথম ওভারেই বোল্ড করলেন ব্রাভোকে।
ইনিংসের ১৭তম ওভারে ব্যক্তিগত ২৭ রানে সাজঘরে ফিরলেন ব্রাভো। ভাঙল দ্বিতীয় উইকেটে ক্যারিবিয়ানদের ৬৫ রানের দ্বিতীয় উইকেট জুটি। প্রতিবেদন লেখার সময় ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৭৮ রান। উইকেটে হোপের সঙ্গী মাত্রই নামা মারলন স্যামুয়েলস।
প্রথম ওভারেই মিরাজের আঘাত
ইনিংসের দ্বিতীয় ও নিজের প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিং লাইনআপে আঘাত করলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এলবিডাব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে ফেরালেন এই ম্যাচের একাদশে সুযোগ পাওয়া ওপেনার চন্দ্রপল হেমরাজকে। ৬ বলে ৩ রান করে ফিরলেন এই বাঁহাতি ব্যাটার।
দলীয় ৫ রানে প্রথম উইকেট হারাল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২ ওভারে তাদের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৮ রান। ক্রিজে ৩ রান করা শাই হোপের সঙ্গী মাত্রই নামা ড্যারেন ব্রাভো। তার সংগ্রহ ২ রান।
২৫৫ রানে থামল বাংলাদেশ
তৃতীয় উইকেটে তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিমের ১১১ রানের জুটিতে স্কোর বোর্ডে বড় সংগ্রহ দাঁড় করানোর ইঙ্গিত দিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু শেষ দিকে প্রত্যাশিত ব্যাটিং করতে পারেনি টাইগাররা। তামিম-মুশফিকের বিদায়ের পর সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ জুটি বাঁধলেও পুরো ৫০ ওভার খেলে আসতে পারেননি। তাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শেষ ৫ ওভারে মাত্র ২৬ রান যোগ করে বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে টাইগাররা তুলেছে ২৫৫ রান। উইকেট বিবেচনায় এটি চ্যালেঞ্জিং স্কোর। তামিম-মুশফিক-সাকিব তিনজনই হাফসেঞ্চুরির দেখা পান। কিন্তু কেউ বড় স্কোর গড়তে পারেননি। তামিম ৫০, মুশফিক ৬২ ও সাকিব সর্বোচ্চ ৬৫ করে ফেরেন। মাহমুদউল্লাহর ব্যাট থেকে আসে ৩০ রান। ক্যারিবিয়ান পেসার ওশানে থমাস ৩ উইকেট নেন ৫৪ রানে।
বাংলাদেশ : ২৫৫/৭ (৫০ ওভারে) (তামিম ৫০, লিটন ৮, ইমরুল ০, মুশফিক ৬২, সাকিব ৬৫, মাহমুদউল্লাহ ৩০, সৌম্য ৬, মাশরাফি ৬*, মিরাজ ১০*; রোচ ১/৩৯, থমাস ৩/৫৪, চেজ ০/২২, পল ১/৬৮, বিশু ১/২৭, পাওয়েল ১/৪১)।