অধিকার ডেস্ক ০২ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৫:৪৭
সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে বল হাতে দ্যুতি ছড়িয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। টেস্ট ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো এক ম্যাচে ১২ উইকেট শিকার করেছেন তরুণ এই অফ স্পিনার। এতে নিজেই নিজের রেকর্ড ভেঙে নিয়ে গেছেন আরও উঁচুতে। দুর্দান্ত বোলিংয়ে ইনিংসে দুবার তুলে নিয়েছেন ৫ বা তার বেশি উইকেট। শুধু কি তাই? তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে স্রেফ উড়ে গেছে উইন্ডিজ।
ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টে দুই ইনিংস মিলিয়ে ৩৬ ওভার বল করে ১১৭ রান দিয়ে ১২টি উইকেট তুলে নিয়েছেন মিরাজ। রবিবার তিনি মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে গড়েছেন টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের পক্ষে 'সেরা' বোলিংয়ের কীর্তি। উঠে গেছেন চূড়ায়। অবশ্য এর আগের রেকর্ডটাও তারই ছিল। সেটা তিনি করেছিলেন ২০১৬ সালের অক্টোবরে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঢাকায়, একই ভেন্যুতে। সেবার ম্যাচে ৪৯.৩ ওভারে ১৫৯ রান দিয়ে ১২ উইকেট নিয়ে নাম লিখিয়েছিলেন রেকর্ড বইয়ে।
মিরাজের আগে টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে ১২ উইকেট শিকারের প্রথম ও অন্য একমাত্র নজিরটি গড়েছিলেন সাবেক স্পিনার এনামুল হক জুনিয়র। তিনি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১২ উইকেট নিয়েছিলেন ২০০ রানে। ২০০৫ সালে, চট্টগ্রাম টেস্টে। ওই ম্যাচে প্রথমবারের মতো টেস্ট জয়ের স্বাদ পেয়েছিল বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে উইন্ডিজের ৭ উইকেট তুলে নেওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে মিরাজ নিয়েছেন ৫ উইকেট। বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসে এক ইনিংসে তৃতীয় সেরা বোলিং ফিগার অর্জন করেছেন তিনি। পেয়েছেন ৫৮ রানে ৭ উইকেট। তার ওপরে আছেন কেবল তাইজুল ইসলাম (৩৯ রানে ৮ উইকেট) ও সাকিব আল হাসান (৩৬ রানে ৭ উইকেট)। মিরাজের নিচেই আছেন এনামুল জুনিয়র (৯৫ রানে ৭ উইকেট)। টেস্টে বাংলাদেশের পক্ষে ৭ উইকেট নেওয়ার নজির নেই আর কারও।
তবে একটি জায়গায় 'অনন্য' মিরাজ। অফ স্পিনার হিসেবে বাংলাদেশের পক্ষে সেরা বোলিংয়ের কীর্তি গড়েছেন তিনি। কারণ তিনি বাদে তাইজুল, সাকিব ও এনামুল জুনিয়রের তিনজনই বাঁহাতি।
২০০৬ সালে টেস্ট অভিষেকের পর এখন পর্যন্ত মিরাজ খেলেছেন ১৮ টেস্ট। তিনি নিয়েছেন ৮৪ উইকেট। ইনিংসে ৫ বা তার বেশি উইকেট নিয়েছেন সাতবার। ম্যাচে ১০ বা তার বেশি উইকেট নিয়েছেন দুইবার। সাকিব ছাড়া আর কারও ম্যাচে দুবার ১০ উইকেট নেওয়ার নজির নেই।