ক্রীড়া প্রতিবেদক
ম্যাচের ১৬ ওভার শেষে রান ছিল ৩ উইকেটে ১৩৫। ইংল্যান্ডের সংগ্রহটা বেশ বড় হবে বলেই মনে হচ্ছিল। কিন্তু ডেথ ওভারে দুর্দান্ত বোলিং করলেন হাসান মাহমুদ। ভালো করেছেন মোস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদরাও।
১৭ থেকে ১৯-এই তিন ওভারে মাত্র ১২ রান নিতে পেরেছে ইংল্যান্ড। এর মধ্যে হাসান মাহমুদের দুই ওভারে ইংলিশরা তুলতে পারে মাত্র ৫ রান।
শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৫৬ রানেই থেমেছে জস বাটলারের দল। অর্থাৎ চট্টগ্রামে সিরিজের প্রথম টি-টুয়েন্টিতে জিততে হলে বাংলাদেশকে করতে হবে ১৫৭। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে তাণ্ডব দেখিয়েছেন দুই টাইগার ব্যাটার লিটন ও রনি তালুকদার।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টসভাগ্য ছিল বাংলাদেশের পক্ষে। টস জিতে ইংল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। শুরুটা একদমই ভালো ছিল স্বাগতিকদের।
ওপেনার ফিল সল্ট আর জস বাটলার ১০ ওভারের ওপেনিং জুটিতেই তুলে ফেলেন ৮০ রান। সল্টকে (৩৫ বলে ৩৮) উইকেটরক্ষক লিটন দাসের ক্যাচ বানিয়ে জুটিটি ভাঙেন নাসুম আহমেদ।
এরপর সাকিবকে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে লংঅনে ধরা পড়েন ডেভিড মালান (৪)। বাটলার তবু হাত খুলে খেলে যাচ্ছিলেন। হাসান মাহমুদকে ছক্কা মেরে ৩২ বলে ফিফটি করেন, পরের বলে হাঁকান আরেকটি ছক্কা।
বেন ডাকেটও শুরুটা ভালো করেছিলেন। ১৩ বলে ২০ করা এই ব্যাটারকে দারুণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড করেন মোস্তাফিজ। তখনও ইংল্যান্ড বেশ ভালো অবস্থানে ছিল। ১৬ ওভার শেষে ৩ উইকেটে ছিল ১৩৫ রান।
১৭তম ওভারের প্রথম বলে ভয়ংকর জস বাটলারকে ফেরান হাসান মাহমুদ। ৪২ বলে ৬৭ রানের ইনিংসে ইংলিশ অধিনায়ক হাঁকান ৪টি করে চার-ছক্কা। বাটলার ফেরার পরই ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ। ইংল্যান্ড থামে ৬ উইকেটে ১৫৬ রানে।
হাসান মাহমুদ ৪ ওভারে ২৬ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট। সাকিব সমান ওভারে ২৬ রান দিয়ে নেন একটি উইকেট। মোস্তাফিজ ১ উইকেট পেলেও খরচ করেন ৩৪ রান। তাসকিন ১ উইকেট পেতে ৩৫ এবং নাসুম আহমেদ দেন ৩১ রান।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড