ক্রীড়া ডেস্ক
দেখতে দেখতে শেষ হয়ে যাচ্ছে চলতি টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের অষ্টম আসরটি। আজ রবিবার (১৩ নভেম্বর) ঐতিহাসিক মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে বাংলাদেশ সময় দুপুর দুইটায় শিরোপার লড়াইয়ে নামবে পাকিস্তান আর ইংল্যান্ড। কার হাতে উঠবে ট্রফি?
দুই দলই এর আগে একবার করে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট মাথায় তুলেছে। ২০০৯ সালে ইংল্যান্ডের মাটিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত তার ঠিক পরের আসরে (২০১০) শিরোপা ঘরে তোলে ইংল্যান্ড। অর্থাৎ দুই দলের সামনেই এবার দ্বিতীয় শিরোপার হাতছানি।
এবারের বিশ্বকাপে ভাগ্যটা পাকিস্তানের সঙ্গে ছিল ছায়ার মতো। যে দলটি আদতে গ্রুপ পর্ব (সুপার টুয়েলভ) থেকেই বাদ পড়তে পারতো। হয়তো সমর্থকরা আশাই ছেড়ে দিয়েছিলেন। নিজেদের শেষ ম্যাচের আগেই পাকিস্তান শেষ হয়ে যেতে পারতো, বরং সেটার সম্ভাবনাই বেশি ছিল।
দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে ছিল অপেক্ষাকৃত দুর্বল প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস। প্রোটিয়ারা ওই ম্যাচ জিতলেই উঠে যেতো সেমিফাইনালে, বিদায় হয়ে যেতো পাকিস্তানের। বিস্ময়করভাবে ওই ম্যাচটিতেই যেন অসুরশক্তি ভর করে ডাচদের ওপর, তারা হারিয়ে দেয় দক্ষিণ আফ্রিকাকে। পাকিস্তানের সামনে খুলে যায় দরজা।
এরপর অবশ্য সুযোগ আর হেলায় নষ্ট করেনি বাবর আজমের দল। বাংলাদেশকে ৫ উইকেটে হারায় বাঁচা-মরার ম্যাচে। সেমিতে নিউজিল্যান্ডকে ধরাশায়ী করে ৭ উইকেটে।
ইংল্যান্ডের যাত্রাটাও একদম সহজ ছিল না। গ্রুপ পর্বে প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারালেও এরপর আয়ারল্যান্ডের কাছে হার আর অস্ট্রেলিয়ার সাথে ম্যাচ বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হলে বিপদে পড়ে গিয়েছিল জস বাটলারের দল।
সেখান থেকে শেষ দুই ম্যাচে নিউজিল্যান্ড এবং শ্রীলঙ্কার মত দলকে হারিয়ে সেমিফাইনালে পা রাখে ইংলিশরা। সেমিতে পড়ে ভারতের বিপক্ষে। সেই ম্যাচে ১০ উইকেটের রেকর্ড গড়া জয় নিয়ে ফাইনালে এসেছে বাটলার বাহিনী।
পাকিস্তানের সামনে তাই কঠিন পরীক্ষাই অপেক্ষা করছে। তবে ইতিহাস বলছে, ধুঁকতে ধুঁকতে ফাইনালে আসা পাকিস্তানও নিজের দিনে প্রতিপক্ষ কে, ভাবে না। তাই জমজমাট এক ফাইনালের প্রত্যাশা করতেই পারেন ক্রিকেট প্রেমীরা।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড