ভারতের আশার গোড়ায় পানি ঢেলে শ্রীলঙ্কাকে সাথে নিয়ে ফাইনালে পাকিস্তান

এশিয়া কাপের আজকের ম্যাচে ফলাফল পুরো গ্রাফ পরিবর্তন করে দিল। আফগানিস্তানকে ১ উইকেটে হারিয়ে এশিয়া কাপের ফাইনাল নিশ্চিত করল পাকিস্তান। সেই সাথে ফাইনাল নিশ্চিত হলো শ্রীলংকারও। একই সাথে প্রতিযোগিতায় বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেল ভারত আর আফগানদের।

আফগানরা শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ছয় উইকেটে ১২৯ রান করতে সক্ষম হয়। জয়ের জন্য পাকিস্তানের দরকার ছিল ১৩০ রান। সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দ্বিতীয় বলেই আউট হলেন পাক অধিকনায়ক বাবর। এক রানে অধিনায়ককে হারিয়ে চাপে পড়ে যায় পাকিস্তান। চাপ কাটিয়ে ওঠার আগেই ৯ বলে ৫ রান করে রান আউট হয়ে সাজঘরে ফিরেন ফখর জামানও। ২৬ বলে ২০ রান করলেন পাক উইকেট রক্ষক-ব্যাটার। পরিস্থিতি সামলে নেন চার নম্বরে ব্যাট করতে নামা ইফতিকার আহমেদ এবং পাঁচ নম্বরে নামা শাদাব খান। ইফতিকার ৩৩ বলে ৩০ রান করলেন। চতুর্থ উইকেটে জুটিতে উঠল গুরুত্বপূর্ণ ৪২ রান। ২৬ বলে ৩৬ রান করে রশিদের বলে আউট হলেন শাদাব। আউট গেলেন মহম্মদ নওয়াজ । ব্যর্থ খুশদিল শাহও। চাপ সামলানোর চেষ্টা করা আসিফ আলিও গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আউট হলেন আট বলে ১৬ রান করে। শেষমেশ বাবর আজমরা ১৯.২ ওভারে ৯ উইকেটে ১৩১ রান তুললেন।

প্রথমে ব্যাট করতে নেমে আগ্রাসী মেজাজেই শুরু করেন আফগান ব্যাটাররা। কিন্তু ওপেনিং জুটি ভাঙতেই খেই হারিয়ে ফেলল আফগানিস্তান। উইকেট রক্ষক-ব্যাটার রহমানুল্লাহ গুরবাজকে আউট করেন হ্যারিস রউফ। দুইটি ছয়ের সাহায্যে ১১ বলে ১৭ রান করে তিনি সাজঘরে ফিরতেই ছন্দ পতন। অন্য ওপেনার হজরতুল্লাহ জাজাই চারটি বাউন্ডারির সাহায্যে করলেন ১৭ বলে ২১ রান। তাকে ফেরালেন হাসনাইন। প্রথম উইকেটের জুটিতে তারা ৩.৫ ওভারে তোলেন ৩৬ রান। এর পর ক্রমশ আফগানিস্তানের রান তোলার গতি কমতে শুরু করে। তিন নম্বরে নামা ইব্রাহিম জারদান ৩৭ বলে ৩৫ রানের ইনিংস না খেললে নবির দলকে বড় লজ্জার মুখোমুখি হতে হত। রউফের বলে সাজঘরে ফেরার আগে জারদানের ব্যাট থেকে এল দুইটি চার এবং একটি ছয়।

আফগানিস্তানের আর কোনও ব্যাটারই পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণের সামনে স্বচ্ছন্দে খেলতে পারলেন না। করিম জানাত (১৫), নাজিবুল্লাহ জারদান (১০), নবিরা (০) কেউই দলের ইনিংসের হাল ধরতে পারলেন না। শেষ দিকে রশিদ ১৮ এবং আজমাতুল্লাহ ওমরজাই ১০ রানে অপরাজিত থাকেন। আফগানিস্তানের ইনিংস শেষ হয় ছয় উইকেটে ১২৯ রানে। পাকিস্তানের সফলতম বোলার রউফ ২৬ রান দিয়ে দুইটি উইকেট পেলেন। নাসিম শাহ ১৯ রান দিয়ে এক উইকেট নিলেন। একটি করে উইকেট পেয়েছেন হাসনাইন, মহম্মদ নওয়াজ এবং শাদাব খান।