ক্রীড়া ডেস্ক
বেহাল অর্থনীতি আর অস্থির রাজনীতি। কিন্তু আছে ক্রিকেট। ক্রিকেট আছে বলেই রয়েছে আশা।
স্বাধীনতার পর এমন কঠিন সময়ের মুখোমুখি কখনও হয়নি শ্রীলঙ্কা। অনিশ্চয়তা, আশঙ্কা, বিক্ষোভ, প্রতিবাদ—এই সব থেকে নিরাপদ দূরত্বে একমাত্র ক্রিকেট। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে সিরিজের পর পাকিস্তানের সঙ্গে সিরিজ খেলছেন লঙ্কান ক্রিকেটেররা। গণবিক্ষোভের আঁচ থেকে একমাত্র মুক্ত ২২ গজ।
ক্রিকেটের সঙ্গেই দেশের বিভিন্ন খেলাধুলো ধীরে হলেও এগোচ্ছিল শ্রীলঙ্কায়। বার্মিংহ্যাম কমনওয়েলথ গেমসে দেশের ইতিহাসে সব থেকে বড় দল পাঠানোর পরিকল্পনা করেছিলেন শ্রীলঙ্কা অলিম্পিক্স অ্যাসোসিয়েশনের কর্তারা। সেই মতোই এগোচ্ছিল সব কিছু। কিন্তু হঠাৎ করেই বেঁকে বসে শ্রীলঙ্কা সরকার। মাস খানেক আগে অলিম্পিক্স অ্যাসোসিয়েশনের কর্তাদের সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, কমনওয়েলথ গেমসে দল পাঠানো সম্ভব নয়। রাজকোষ বাড়ন্ত। যে পরিস্থিতিতে খেলাধুলোই বিলাসিতা, সেই পরিস্থিতিতে লন্ডনে দল পাঠানোর প্রশ্নই ওঠে না।
শ্রীলঙ্কার ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কর্তাদের কথায় স্বপ্নভঙ্গ হতে বসেছিল ক্রীড়াবিদদের। যারা এত দিন ধরে রক্ত জল করা পরিশ্রমে প্রস্তুতি সেরেছেন, সেই শ’খানেক ক্রীড়াবিদের স্বপ্ন যখন ভেস্তে যাওয়ার উপক্রম, তখনই উদ্ধার কর্তার ভূমিকায় উদয় হয়েছে ক্রিকেট শ্রীলঙ্কা।
ক্রীড়াবিদদের স্বপ্নপূরণ করতে শ্রীলঙ্কা অলিম্পিক্স অ্যাসোসিয়েশনকে ২২ মিলিয়ন শ্রীলঙ্কার টাকা (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৫৭ লক্ষ টাকা) দিয়েছে ক্রিকেট শ্রীলঙ্কা। শুধু তাই নয়, পদক জিততে পারেন এমন কয়েক জন অ্যাথলিটকে আলাদা ভাবেও সাহায্য করেছে ক্রিকেট শ্রীলঙ্কা। কমনওয়েলথ গেমসে যাতে যোগ্যতা অর্জনকারী সব ক্রীড়াবিদ অংশ নিতে পারেন তা নিশ্চিত করতে চেয়েছেন ক্রিকেট কর্তারা। প্রয়োজনে আরও অর্থ দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তারা। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের সাহায্য পেয়ে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন অলিম্পিক্স অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি জেনারেল ম্যাক্সওয়েল ডিসিলভা।
কমনওয়েলথ গেমস দলের শ্যেফ দ্য মিশন দামপত ফার্নান্ডো বলেছেন, ‘‘আমাদের ছোট দেশ। সকলেই সকলকে চিনি। এমন সঙ্কটের সময়ে ক্রিকেট বোর্ডের ভূমিকা প্রশংসার দাবি রাখে।’’
ক্রিকেট বোর্ডের দেওয়া টাকাতেই শ্রীলঙ্কা সরকার কমনওয়েলথ গেমসে অংশগ্রহণকারীদের বিমানের টিকিটের ব্যবস্থা করেছে। ফার্নান্ডো আরও বলেছেন, ‘‘বিলাসিতা করার সুযোগ আমাদের নেই। এ বার খেলোয়াড়দের তিনটি করে টি-শার্ট, একটি করে ট্র্যাক শুট এবং একটি করে ব্যাগ দিতে পারছি। নতুন জুতো বা অন্য কিছু দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। সীমিত অর্থের মধ্যেই ক্রীড়াবিদদের যতটা সম্ভব স্বাচ্ছন্দ্য দেওয়ার চেষ্টা করছি আমরা।’’
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড