• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৭ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

থিতু হওয়ার আগেই মুশফিকের বিদায়

  ক্রীড়া প্রতিবেদক

০৭ ডিসেম্বর ২০২১, ১৫:৪৫
মুশফিকুর রহিম (ছবি: সংগৃহীত)

পাকিস্তানের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টের প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ব্যাটারদের যাওয়া-আসার মিছিলে সামিল হয়েছেন মুশফিকুর রহিম। ৮ বলে ব্যক্তিগত ৫ রান করে সাজঘরে ফিরে গেছেন তিনি। ডানহাতি এই ব্যাটারকে ফেরত পাঠিয়েছেন সাজিদ খান। তাতে প্রথম চার উইকেটের তিনটিই তুলে নিলেন এই অফস্পিনার।

১৩তম ওভারের তৃতীয় বলে মিড উইকেট দিয়ে তুলে মারতে গিয়েছিলেন মুশফিক। কিন্তু বল চলে যায় সেখানে থাকা ফাওয়াদ আলমের হাতে। এতে করে ৩১ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়েছেন বাংলাদেশ।

এর আগে ইনিংসের শুরুতেই দুই ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় ও সাদমান ইসলামের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। সেই চাপ বাড়িয়ে সাজঘরে ফিরে যান চারে ব্যাটিংয়ে নামা মুমিনুল হক। দলীয় ২২ রানে ব্যক্তিগত ১ রান করে ফিরেছেন এই বাঁহাতি ব্যাটার।

১১তম ওভারের প্রথম বলে রান আউট হয়েছেন দলীয় অধিনায়ক। তাতে চট্টগ্রাম টেস্টের মতো মিরপুর হোম অব ক্রিকেটেও ব্যাট হাতে ব্যর্থতার খোসল ভাঙতে পারেননি তিনি। চট্টগ্রামে প্রথম ইনিংসে ৬ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে ০ রানে আউট হয়েছিলেন মুমিনুল।

ইনিংসের শুরুতে ফিরে যান অভিষিক্ত ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়। ৭ বল খেলে কোনো রান না করেই সাজঘরের পর ধরেন তরুণ এই ওপেনার। সাজিদের অফ স্টাম্পের বাইরের বল খেলতে গিয়ে স্লিপে বাবর আজমের হাতে ক্যাচ দেন তিনি।

ব্যক্তিগত সংগ্রহ বাড়াতে পারেননি আরেক ওপেনার সাদমান ইসলাম। সাজিদের এক্সটা বাউন্স ডেলিভারি পয়েন্টে খেলতে গিয়ে সেখানে থাকা হাসান আলীর হাতে ক্যাচ দেন সাদমান। এতে ২৮ বলে মাত্র ৩ রান করেই ফিরতে হয় তাকে। সাদমান ফিরে যাওয়ায় ২০ রানে দুই ওপেনার হারিয়ে কিছুটা বিপাকে বাংলাদেশ।

বৃষ্টির বাঁধায় ভেস্তে গিয়েছিল ঢাকা টেস্টের দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিন। মাঠ খেলার অনুপযোগী থাকায় চতুর্থ দিন সকালের প্রথম ঘন্টায়ও খেলা শুরু করা সম্ভব হয়নি। তবে সকাল ১০:৫০ মিনিটে খেলা শুরু হলে ওভারকাস্ট কন্ডিশনের সুবিধা কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ ব্রেক থ্রু এনে দেন খালেদ আহমেদ এবং এবাদত হোসেন।

বৃষ্টিতে তৃতীয় দিনের পুরোটা পরিত্যক্ত হওয়ার পর নির্ধারিত সময়ের এদিন ৮০ মিনিট পর চতুর্থ দিনের খেলা শুরু হয়। যেখানে শুরুতেই দুই সেট ব্যাটার আজহার আলী ও বাবর আজমকে সাজঘরে পাঠান বাংলাদেশের দুই পেসার এবাদত হোসেন ও খালেদ আহমেদ।

এরপর ফাওয়াদ-রিজওয়ানের বিপক্ষেও বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করেন এবাদত-খালেদ-তাইজুল ইসলামরা। কিন্তু কখনও রিভিউ না নেওয়ার হতাশা, আবার কখনও ক্যাচ ছেড়ে দেওয়া- বারবার বেঁচে যান পাকিস্তানের দুই ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত ১০৩ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি নিয়েই ইনিংস শেষ করেন তারা।

দ্বিতীয় দিন শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ ছিল ৬৩.২ ওভারে ২ উইকেটে ১৮৮ রান। তৃতীয় দিন মাঠে গড়ায়নি একটি বলও। আজ খালেদের অসমাপ্ত ওভার দিয়ে শুরু হয় চতুর্থ দিনের খেলা। ওভারের বাকি থাকা চার বলে কোনো রান দেননি খালেদ।

পরের ওভারে স্বাভাবিকভাবেই আক্রমণে আনা হয় আরেক পেসার এবাদতকে। তার ওভারের দ্বিতীয় বলে দিনের প্রথম রান নেন বাবর। পরের বলেই স্কয়ার লেগ দিয়ে বাউন্ডারি হাঁকান আজহার।

পরে ৪ উইকেটে ৩০০ রান করে নিজেদের প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে পাকিস্তান। ফাওয়াদ আলম ৫০ ও উইকেটরক্ষক ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ান ৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন।

ওডি/কেএ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড