রমেশ-এম্বুলদেনিয়ার ঘূর্ণিতে লন্ডভন্ড উইন্ডিজ 

লাসিথ এম্বুলদেনিয়ার সঙ্গে দশম উইকেটে ১০৭ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে শেষ দিন শুরু করেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। শ্রীলঙ্কার হাতে তখন তিন উইকেট ও ৩২৮ রানের পুঁজি। স্কোরবোর্ডে ১৭ রান যোগ হতেই ভাঙল এম্বুলদোনিয়া ও ধনঞ্জয়ার ১২৪ রানের জুটি। এরপর ৯ উইকেটে ৩৪৫ রানে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে স্বাগতিকরা। তাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ পায় ২৯৭ রানের কঠিন লক্ষ্য।

এত বড় লক্ষ্য ছুঁতে পারেইনি উইন্ডিজ, হার মেনেছে ১৬৪ রানের বিশাল ব্যবধানে। তাতে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে তাদের ২-০ তে হোয়াইটওয়াশ করেছে শ্রীলঙ্কা। গলেতে আগের ম্যাচ স্বাগতিকরা জিতেছিল ১৮৭ রানে।

প্রায় তিন সেশনের পুরোটা সময় হাতে পেয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জেতার চেষ্টা না করে ড্র করলেও করতে পারত তারা। কিন্তু এম্বুলদেনিয়ার সঙ্গে স্পিন বিষ ছড়ালেন রমেশ। দশ উইকেটের একটিও আর কাওকে নিতে দেননি তিনি। সমান ৫টি করে উইকেট শিকার করে উইন্ডিজকে গুটিয়ে দিলেন ১৩২ রানের মধ্যে। চা বিরতি পর্যন্তও যায়নি সফরকারীদের লড়াই। গলেতে আরেকবার পাঁচ উইকেট নিলেন এম্বুলদেনিয়া।

দলীয় ১৫ রানে রমেশের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট (৬)। তারপর জার্মেইন ব্ল্যাকউডের সঙ্গে এনক্রুমাহ বোনারের অর্ধশতক ছোঁয়া জুটিতে স্বস্তিতে ছিল ক্যারিবিয়ানরা। এই জুটির ৫০ পূর্ণ হতেই ব্ল্যাকউডকে (৩৬) ফেরান এম্বুলদেনিয়া। এরপর মধ্যাহ্ন বিরতিতে যায় দুই দল।

দ্বিতীয় সেশনে বোনারকে উপযুক্ত সঙ্গ দিচ্ছিলেন শাই হোপ। কিন্তু ৪৪তম ওভারে রমেশের স্পিন বিষে নীল উইন্ডিজ। প্রথম বলে হোপ (১৬), দ্বিতীয় ডেলিভারিতে নেই রোস্টন চেজ (০)। ওই ওভারের শেষ বলে রমেশের শিকার হয়ে শূন্য হাতে ফেরেন কাইল মায়ার্সও।

৯২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে উইন্ডিজ। বোনারকে (৪৪) হাফ সেঞ্চুরিবঞ্চিত করেন এম্বুলদেনিয়া। পরে কেবল দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেন কেমার রোচ (১৩)। বীরাস্বামী পারমলকে (১) ফিরিয়ে একই ম্যাচে দ্বিতীয়বার পাঁচ উইকেট নেন রমেশ। জোমেল ওয়ারিকানকে (৩) ফিরিয়ে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে ইনিংসে পাঁচ উইকেট পান এম্বুলদেনিয়া।

ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন দ্বিতীয় ইনিংসে অপরাজিত ১৫৫ রান করে শ্রীলঙ্কাকে উদ্ধার করা ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। দুই ম্যাচে ১৮ উইকেট নিয়ে সিরিজের সেরা খেলোয়াড় রমেশ।

ওডি/কেএ