উত্তর বারিধারার বিপক্ষে শেখ জামালের হোঁচট

উত্তর বারিধারার বিপক্ষে যেন অচেনা শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব! এই ম্যাচে নিজেদের ছায়া হয়ে থাকল আগের ম্যাচে দাপুটে জয় পাওয়া দলটি। বিক্ষিপ্ত কিছু আক্রমণ করলেও সেগুলো ছিল ধারহীন। তাতে স্বাধীনতা কাপের ২০১৩ সালের রানার্সআপদের রুখে দিল প্রথমার্ধে উজ্জীবিত ফুটবল খেলা উত্তর বারিধারা।

আজ বুধবার (১ ডিসেম্বর) কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে ‘বি’ গ্রুপে গোলশূন্য ড্র হয়েছে দুই দলের ম্যাচটি। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীকে ৩-০ গোলে হারিয়ে গ্রুপ পর্বে যাত্রা শুরু করেছিল শেখ জামাল। নিজেদের প্রথম ম্যাচে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের কাছে ১-০ গোলে হেরেছিল উত্তর বারিধারা।

দুই ম্যাচে একটি করে জয় ও ড্রয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে কোয়ার্টার-ফাইনালের পথে ভালোভাবেই আছে শেখ জামাল। ১ পয়েন্ট পেলেও আশা বেঁচে আছে উত্তর বারিধারার।

প্রথম ম্যাচে এক বিদেশি নিয়ে খেলা উত্তর বারিধারার খোলনলচে পাল্টে যায় একাদশে তিন বিদেশি মিশরের ফরোয়ার্ড মোস্তফা মাহমুদ, উজবেকিস্তানের মিডফিল্ডার ইভজেন্তি কোচনেভ ও ডিফেন্ডার সাইদোস্তোন ফজিলভকে পাওয়ায়। শুরু থেকে আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে দলটি। কিন্তু তাদের ফিনিশিংয়ের দুর্বলতা ফুটে ওঠে বারবার।

ম্যাচের সপ্তদশ মিনিটে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায়। ভালিজনোভ ওতাবেককে একবার দুই হাত দিয়ে স্বজোরে চাপ দেওয়ার পর কনুই দিয়ে গুঁতো মেরে বসেন উত্তর বারিধারার পাপন সিং। রেফারি পরিস্থিতি ঠাণ্ডা করেন পাপনকে হলুদ কার্ড দিয়ে। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই উত্তর বারিধারার মোস্তফা মাহমুদকে কড়া ট্যাকল করে হলুদ কার্ড দেখেন ওতাবেক।

প্রথমার্ধের শেষ দিকে কিছুটা ধার ফিরে শেখ জামালের আক্রমণে। কিন্তু সোহেল রানার ক্রসে গোলমুখ থেকে দুর্বল হেডে গোলরক্ষক সাইফুল ইসলাম খানের হাতে বল তুলে দিয়ে প্রথম ভালো সুযোগটি নষ্ট করেন সোহানুর রহমান সোহান।

দ্বিতীয়ার্ধে আবারও সেই ধারহীন শেখ জামাল। উত্তর বারিধারা প্রথমার্ধের উজ্জীবিত ফুটবলও যেন ঝিমিয়ে পড়ে। এরই মধ্যে ৮০তম মিনিটে শেখ জামালের মোহাম্মদ আতিকুজ্জামানের ক্রসে গাম্বিয়ার ফরোয়ার্ড সলোমন কিংয়ের দুর্বল হেড জমে যায় গোলরক্ষকের গ্লাভসে। আট মিনিট পর বক্সের একটু বাইরে থেকে উজবেকিস্তানের এই ফরোয়ার্ডের ফ্রি কিক ক্রসবার কাঁপিয়ে ফিরলে জয়সূচক গোল পাওয়া হয়নি গত লিগে রানার্সআপ হওয়া শেখ জামালের।

ওডি/কেএ