• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩১ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

খারাপ সময়ে রোনালদোর পাশে পর্তুগালের প্রধানমন্ত্রী

  অধিকার ডেস্ক    ০৮ অক্টোবর ২০১৮, ০৫:৩৩

পর্তুগালের প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে রোনালদো
পর্তুগালের প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে রোনালদো

পর্তুগিজ সুপারস্টার ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো একের পর এক দুঃসংবাদ শুনছেন। মার্কিন এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এই জুভেন্তাস তারকার বিরুদ্ধে। ফুটবল অঙ্গনে এই নিয়ে শুরু হয়েছে তোলপাড়! এই ঘটনায় গভীর প্রভাব পড়েছে জুভেন্তাসের শেয়ার বাজারে। ইতালির মিলান স্টক এক্সচেঞ্জে ক্লাবটির ৬% স্টক মূল্য কমে গেছে। এছাড়াও ইএ স্পোর্টস গেমসের দুনিয়ায় সেরা (ফিফা ভিডিও গেমের সাইটেও ছবি সরানো হয়েছে)। ২০১৮ ও ২০১৯ সালের জন্য যে কপিটি তারা তৈরি করেছিলেন সেখান থেকে রোনালদোর ছবিটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ধর্ষণ মামলা রোনালদোর ইমেজ ভ্যালুও কমিয়ে দিয়েছে। বলা যায় ক্যারিয়ারে সম্ভবত সবচেয়ে বাজে সময় পার করছেন জুভেন্তাস তারকা। তবে, বিপদের সময় একজনকে কাছে পেলেন রোনালদো। নিজ দেশের প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টোনিও কোস্টার সমর্থন পেলেন তিনি। দেশের সেরা তারকার পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন কোস্টার। এবং সবাইকে অনুরধ করেছেন যে, খারাপ সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত রোনালদোর পাসে থাকতে।

যুক্তরাজ্য ভিক্তিক দৈনিক পত্রিকা 'দ্য সান'কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কোস্টার বলেছেন, 'কিছু-কিছু সময় মানুষের বুঝা উচিত। অনুমান করে একজন মানুষকে কিছু বলা ঠিক নয়। তাকে অসন্মান করার জন্য অভিযোগটি ছিল যথেষ্ট।'

৫৭ বছর বয়সী এই পর্তুগিজ প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, 'যদি অন্যায় কিছু থাকে তবে আমাদের প্রমাণ আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করা উচিত। প্রমানের জন্য অপেক্ষায় রয়েছি। রোনালদোর এমন যার মধ্যে রয়েছে অসাধারণ পেশাদারিত্ব, অসাধারণ খেলোয়াড় এবং একজন অসাধারণ ফুটবলারও। রোনালদোর সে যে কিনা দেশের (পর্তুগালের) সন্মান উজ্জ্বল করেছে।' তবে, নিজ দেশের প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও রোনালদোর বিরুদ্ধে ওঠা ধর্ষণের অভিযোগে পাশে দাঁড়িয়েছে জুভেন্তাস ও পর্তুগাল কোচ ফের্নান্দো সান্তোস।

৩৪ বছর বয়সী ক্যাথরিন মায়োরগা নামের এক মার্কিন নারী ২০০৯ সালে লাস ভেগাসে একটি হোটেলে রোনালদোর থেকে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এমন অভিযোগে পুরো বিশ্বে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।

মার্কিন এই তরুণীর করা অভিযোগ জার্মান সংবাদমাধ্যম প্রকাশ করে বলেছিল, ধর্ষণের পর ক্যাথরিনের মুখ বন্ধ রাখার জন্য নাকি রোনালদো বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৩ কোটিরও বেশি টাকা দিয়েছিলেন। তবে, এ সব অভিযোগ ভিত্তিহীন 'ফেক' বলে উড়িয়ে দিয়েছেন রোনালদো।

বুধবার (৩অক্টোবর) এক টুইট বার্তায় ৩৩ বছর বয়সি পর্তুগিজ তারকা লিখেছিলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ আমি সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করছি। ধর্ষণ একটি জঘণ্য অপরাধ। আমার বিশ্বাস ও অবস্থানের সঙ্গে এটি কিছুতেই যায় না। আমার বিবেক পরিস্কার। আমি তাই ভয় পাই না। এমনকি তদন্ত নিয়েও না।’ এতোদিন পর অভিযোগ তোলা হলো কেন, সেই প্রশ্নও তুলেছেন রোনালদো।

মায়োরগার দাবি, আদালতে না যাওয়ার জন্য রোনালদো তাকে এই অর্থ দেন। সেই সময় ওই পরিমাণ অর্থ পেয়ে ও কিছুটা ভয়েই মুখ খোলেননি ওই মার্কিন নারী।

মার্কিন এই নারীর অভিযোগটি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাস মেট্রোপলিটন পুলিশ। এর আগেও এই নিয়ে তদন্ত করেছিল তারা। পুনরায় আবার বিষয়টি নিয়ে নতুন করেন তদন্ত শুরু করছে জানিয়ে একটি বিবৃতিও দেওয়া হয়েছে।

তবে রোনালদোর পক্ষ থেকে ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করে তার আইনজীবি জানিয়েছিলেন, ২০০৯ সালে ক্যাথরিন তার সঙ্গে স্বেচ্ছায় যৌনতায় লিপ্ত হয়েছিলেন। ফলে তাতে ধর্ষণের অভিযোগ ভিত্তিহীন।

সূত্র : লা গাজেত্তা দেল্লো স্পোর্ত

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড