ক্রীড়া ডেস্ক
শুরুতে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর গোলে লিড নিলেও হারতে হয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে। নেতিবাচক পরিকল্পনায় ফুটবল খেলার মাশুল গুনতে হয়েছে তাদের। ইউরোপিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের আসরে শুরুটাই হলো পরাজয় দিয়ে। তুলনামূলক দুর্বল ও নবাগত দল ইয়াং বয়েজের কাছে ২-১ গোলে হেরে গেছে ইংলিশ জায়ান্টরা।
মঙ্গলবার রাতে এফ গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলতে ইয়াং বয়েজের মাঠে গিয়েছিল ইউনাইটেড। মাত্র ১৩ মিনিটেই গোল করেন রোনালদো। কিন্তু এরপর আর আশা জাগানিয়া ফুটবল খেলতে পারেনি তারা। ম্যাচের একদম শেষ সময়ে গোল করে ম্যাচ জিতে নিয়েছে স্বাগতিকরা।
পুরো ম্যাচজুড়েই আধিপত্য ছিলো সুইজারল্যান্ডের ক্লাব ইয়াং বয়েজের। পুরো ম্যাচে মাত্র দুইটি শট নেয় ইউনাইটেড, তাও ম্যাচের ২৫ মিনিটের মধ্যে। এরপর শুধু ইয়াং বয়েজের আক্রমণই সামলাতে হয়েছে তাদের। স্বাগতিক দলটি ম্যাচে শট নিয়েছে ১৯টি, যার মধ্যে লক্ষ্যে ছিলো ৫টি।
অথচ এ ম্যাচটি ছিলো রোনালদোর রেকর্ডছোঁয়া ম্যাচ। চ্যাম্পিয়নস লিগ ইতিহাসে রিয়াল মাদ্রিদ কিংবদন্তি ইকার ক্যাসিয়াসের সমান ১৭৭ ম্যাচ খেলার কৃতিত্ব অর্জন করেন তিনি। মাত্র ১৩ মিনিটের মাথায় গোল করে নিজের রেকর্ডের ম্যাচটি আরও উজ্জ্বল করেন পর্তুগিজ তারকা।
স্বদেশি সতীর্থ ব্রুনো ফার্নান্দেসের ক্রস থেকে বল পান রোনালদো। প্রায় ৮ গজ দূর থেকে নেয়া শটে পরাস্ত হন ইয়াং বয়েজের গোলরক্ষক। যার সুবাদে চ্যাম্পিয়নস লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা রোনালদোর গোল সংখ্যা বেড়ে হয় ১৩৫টি। এছাড়া ২০০৯-১০ আসরের পর এবারও টুর্নামেন্টের প্রথম গোলটি করেন তিনি।
তবে এরপর থেকেই পেছাতে থাকে ইউনাইটেড আর তাদের চেপে ধরে ইয়াং বয়েজ। ম্যাচের ২৫ মিনিটের সময় অবশ্য একটা প্রচেষ্টা চালান রোনালদো। সেটি সফল হয়নি। এর মিনিট দশেক পর ইউনাইটেডকে বিপদে ফেলেন অ্যারন ওয়ান বিসাকা, বিপজ্জনক ফাউলে সরাসরি দেখেন লাল কার্ড।
দশজনের দলে পরিণত হওয়ার পর নেতিবাচক পরিকল্পনা ঢুকে যান ইউনাইটেড কোচ ওলে গানার সুলশার। প্রথমে মিডফিল্ডার জেডন সাঞ্চোকে তুলে নামান ডিফেন্ডার ডিয়োগো দালোতকে। পরে দ্বিতীয়ার্ধে আরেক মিডফিল্ডার ডনি ফন ডি বিকের জায়গায় নামান আরেক ডিফেন্ডার রাফায়েল ভারানকে।
অথচ তখনও ১-০ গোলে এগিয়ে ছিলো ইউনাইটেড। তাদের রক্ষণাত্মক হয়ে পড়ার কৌশল দেখে আক্রমণের তেজ আরও বাড়ায় ইয়াং বয়েজ। যার সুফল মেলে ম্যাচের ৬৬ মিনিটে গিয়ে। ডান দিক থেকে আসা বলে ম্যাচে সমতা ফেরান মৌমি এনগামালেও।
ম্যাচে সমতা চলে আসার পর যেখানে গোলের জন্য রোনালদোর মাঠে থাকা ছিলো জরুরি, সেখানে উল্টো ৭৩ মিনিটের সময় তাকে তুলে নেন ইউনাইটেড কোচ। নামান জেসে লিনগার্ডকে। আর এ সিদ্ধান্তই কাল হয় দলের জন্য। কেননা দ্বিতীয় গোলে সরাসরি দায় ছিলো লিনগার্ডের।
দুই দল আর গোলের দেখা না পাওয়ায় মনে হচ্ছিল, ১-১ সমতায়ই শেষ হবে ম্যাচ। তখনই আসে চমক। নির্ধারিত সময় শেষে অতিরিক্ত যোগ করা সময়ের পঞ্চম মিনিটে গোলরক্ষককে ব্যাকপাস দিতে গিয়ে প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়ের পায়ে তুলে দেন লিনগার্ড।
পুরোপুরি ফাঁকায় সেই বল পেয়ে গোল করতে কোনো ভুল হয়নি থিওসন সেবাচুর। এ গোলের সুবাদেই ইউনাইটেডকে হারানোর তৃপ্তি নিয়ে মাঠ ছাড়ে ইয়াং বয়েজ।
ওডি/এমএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড