অধিকার ডেস্ক ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ২০:১৪
ইনিংসের শুরুতে দুই উইকেট হারানোর ধাক্কা আফগানিস্তান কাটিয়ে উঠেছিল তৃতীয় উইকেট জুটিতে। কিন্তু বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান আক্রমণে এসে ভেঙে দেন আফগানদের প্রতিরোধ। একে একে তিনি তুলে নিয়েছেন ৪ উইকেট। তার সবশেষ শিকার মোহাম্মদ নবি। তাতে দলীয় ১৬০ রানের মধ্যে সাজঘরে ফিরে গেছেন ৭ আফগান ব্যাটার।
বৃহস্পতিবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আফগানিস্তানের অধিনায়ক আসগর আফগান। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে তাদের সংগ্রহ ৪২ ওভারে ৭ উইকেটে ১৭০ রান। ক্রিজে আছেন গুলবদিন নাইব ১৫ ও রশিদ খান ২ রানে।
এদিন ম্যাচের শুরুতেই আফগান ব্যাটিং লাইনআপে জোড়া আঘাত করেন অভিষিক্ত বাঁহাতি টাইগার পেসার আবু হায়দার রনি। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে আসেন তিনি। ওয়ানডে অভিষেকে নিজের প্রথম ওভারের চতুর্থ বলেই ভেলকি দেখান ২২ বছর বয়সী ফাস্ট বোলার। আফগান ওপেনার ইহসানউল্লাহকে (৮) মোহাম্মদ মিঠুনের ক্যাচে পরিণত করে বাংলাদেশের উইকেট উৎসবের সূচনা করেন তিনি।
ইনিংসের পঞ্চম ওভারের পঞ্চম বলে আবারও রনির আঘাত। এবারে দারুণ এক ডেলিভারিতে রহমত শাহর স্ট্যাম্প উড়িয়ে দেন তিনি। ক্লিন বোল্ড! সাজঘরের পথ ধরার আগে রহমতের ব্যাট থেকে এসেছে ১০ রান।
২৮ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া আফগানিস্তান প্রতিরোধ গড়েছিল তৃতীয় উইকেট জুটিতে। হাশমতউল্লাহ শহিদিকে সঙ্গে নিয়ে একপ্রান্ত আগলে থাকা মোহাম্মদ শাহজাদ সচল রেখেছিলেন দলের রানের চাকা।
তবে ম্যাচে প্রথমবারের মতো বোলিংয়ে এসেই এই জুটি ভাঙেন সাকিব। তাকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অনে রনির দুর্দান্ত এক ক্যাচের কল্যাণে সাজঘরে ফিরে গেছেন শাহজাদ।
তাতে বাংলাদেশের জন্য ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগেই ভাঙে আফগানিস্তানের ৫১ রানের তৃতীয় উইকেট জুটি। ডানহাতি শাহজাদের ব্যাট থেকে আসে ৪৭ বলে ৩৭ রান।
আফগান অধিনায়ক আসগর আফগানকেও (৮) উইকেটে এসে থিতু হওয়ার সুযোগ দেননি সাকিব। দ্রুতই ফেরান তাকে। সাকিবের ঘূর্ণি বল আসগরের ব্যাট-প্যাডের ফাঁক গলে আঘাত হানে স্ট্যাম্পে।
পঞ্চম উইকেটে সামিউল্লাহ শেনওয়ারির সঙ্গে আবারও বাংলাদেশকে পাল্টা জবাব দেওয়ার চেষ্টা করেন হাশমতউল্লাহ। তুলে নেন হাফসেঞ্চুরি। কিন্তু শেনওয়ারির বিদায়ে ফের মড়ক লাগে আফগান ইনিংসে। ২১ রানের মধ্যে তারা হারায় ৩ উইকেট।
১৮ রান করা শেনওয়ারিকে বোল্ড করেন সাকিব। এরপর রুবেল হোসেন তুলে নেন হাশমতউল্লাহর উইকেট। ৯২ বলে ৫৮ রান করে উইকেটের পেছনে লিটন দাসকে ক্যাচ দেন তিনি। তার মন্থর ইনিংসে ছিল ৩টি চার।
মারকুটে অলরাউন্ডার নবিও (১০) উইকেটে টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। তাকে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলেন সাকিব। পরিণত করেন নিজের চতুর্থ শিকারে। তাতে ১৬০ রান তুলতেই ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলে আফগানরা।
এই ম্যাচে একাদশে তিনটি পরিবর্তন নিয়ে খেলতে নেমেছে বাংলাদেশ। চোটে এশিয়া কাপ থেকে ছিটকে গেছেন তামিম ইকবাল। এছাড়া সুপার ফোরের আগে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে মুশফিকুর রহিম ও মুস্তাফিজুর রহমানকে।
রনির পাশাপাশি এই ম্যাচ দিয়ে ওয়ানডে অভিষেক হয়েছে বাঁহাতি ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্তর। আর তিন বছর পর ফের বাংলাদেশের ওয়ানডে দলে জায়গা পেয়েছেন মুমিনুল হক।