ক্রীড়া ডেস্ক
না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন কিংবদন্তি ফুটবলার দিয়েগো ম্যারাডোনা। তার চিরবিদায়ে বিশ্ব ফুটবলের এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের পতন ঘটেছে। আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জেতানো এ মহানায়ক বুধবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে নিজের বাড়িতে প্রয়াত হন।
বেঁচে থাকতেই নানা বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন কিংবদন্তি এ ফুটবলার। মৃত্যুর পর তাঁর পিছু ছাড়ছে না বিতর্ক। ইতোমধ্যেই বিশ্বসেরা এ ফুটবলার মৃত্যুর তদন্ত শুরু হয়েছে। তল্লাশি চালানো হয়েছে ম্যারাডোনার ব্যক্তিগত চিকিৎসকের বাড়িতে।
এবার ম্যারাডোনাকে নিয়ে আরেক বিতর্কের জন্ম দিলেন সান্তিয়াগো লারা নামে ১৯ বছর বয়সী এক যুবক। নিজেকে ম্যারাডোনার অবৈধ সন্তান বলে দাবি করলেন তিনি। তার দাবি, ম্যারাডোনার দেহ যেন কবর থেকে তুলে ডিএনএ টেস্ট করা হয়। তা হলেই সব প্রমাণ হয়ে যাবে।
৬০ বছর বয়সে মারা গেলেন ম্যারাডোনা। রেখে গিয়েছেন ৯০ মিলিয়ন ডলারের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি। সারা জীবনে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করেছেন তিনি। খরচও করেছেন দু’হাতে। তবুও বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি তিনি রেখে গিয়েছেন। আর সেই সম্পত্তি নিয়েই এবার যতো জটিলতা।
আসলে সারা জীবনে বহু সঙ্গীনীর সঙ্গে রাত কাটিয়েছেন ম্যারাডোনা। তাদের মধ্যে অনেককে জীবিত অবস্থায় স্বীকৃতি দিয়ে গিয়েছেন। আর্থিক সুরক্ষা দিয়েছেন। তবে অনেককেই আবার তিনি স্বীকৃতি দেননি।
প্রথম স্ত্রী ক্লদিয়া ও দুই কন্যা দালমা ও গিয়ানিয়ার সঙ্গে ম্যারাডোনার প্রায়ই ঝগড়া ঝামেলা লেগে থাকতো। রাগ করে ম্যারাডোনা একবার বলেছিলেন, তিনি তার সব সম্পত্তি দান করে যাবেন। কাউকে এক টাকাও দেবেন না। যদিও পরে মেয়েদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো হয়েছিলো।
কিন্তু এখন ম্যারাডোনার মৃত্যুর পর তার সন্তান বলে নিজেকে দাবি করে বসেছেন নুনেজ। তবে তিনি জানিয়েছেন, ম্যারাডোনার ছেলে হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়াই তার কাছে আসল। সম্পত্তি নিয়ে তিনি চিন্তিত নন।
অনেকেই হিসাব করে বলেন, দুই মেয়ে ছাড়া আরও দুই ছেলে ও তিন কন্যা রয়েছে ম্যারাডোনার। তবে আর্জেন্টিনায় অনেকেই ঠাট্টা করে বলেন, অবৈধ সন্তানদের নিয়ে ম্যারাডোনা ফুটবল দল গড়তে পারতেন। ফলে বুঝতেই পারছেন, ম্যারাডোনার সম্পত্তির ভাগভাগি এতো সহজে হবে না।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড