ক্রীড়া ডেস্ক
দীর্ঘদিন নিষিদ্ধ থাকার পর আবারও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরতে শুরু করে পাকিস্তানে। ২০০৯ সালে দেশটিতে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের উপর সন্ত্রাসী হামলার পর দীর্ঘ সময় ধরে নিরাপত্তার অযুহাতে কোনো দেশ পাকিস্তান সফরে যায়নি।
এই অচল অবস্থার সচল করতে নানা পদক্ষেপ নেয় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। বিভিন্ন দেশকে পাকিস্তানে খেলার আমন্ত্রণ জানায় তারা। সে আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে পাকিস্তান যায় জিম্বাবুয়ে। এরপর পূর্নাঙ্গ সিরিজ খেলতে দুই দফায় পাকিস্তান সফরে যায় শ্রীলঙ্কা।
এরপর বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যকার পূর্ব নির্ধারিত টেস্ট ও টি-টুয়েন্টি সিরিজ পাকিস্তানে আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয় পিসিবি। তবে প্রথমে তাদের সিদ্ধান্তে রাজী হয়নি বিসিবি। কয়েক দফায় আলোচনার পর তিন ধাপে পাকিস্তান যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিসিবি।
ইতোমধ্যেই দুই ধাপে পাকিস্তান গিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলে। চলতি বছরের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি ও এপ্রিলে ২ দফা পাকিস্তান সফর করে বাংলাদেশ। সফরে ছিল ৩টি টি-টুয়েন্টি, ১টি ওয়ানডে ও ২টি টেস্ট ম্যাচ। দুই দফা সফরে ৩টি টি-টুয়েন্টি ও ১টি টেস্ট ম্যাচ শেষ করা গেলেও করোনা মহামারিতে বাকি রয়ে গেছে ১টি ওয়ানডে ও ১টি টেস্ট ম্যাচ। এই দুই ম্যাচের ভাগ্যে কী আছে সেটাই আজ জানালো পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। দেশটির গণমাধ্যম জানিয়েছে, চলতি মৌসুমের ব্যস্ত সূচির কারণে বাংলাদেশ-পাকিস্তানের একটি ওয়ানডে ও একটি টেস্ট সিরিজ আয়োজন করা সম্ভব না বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি)।
পিসিবি থেকে জানায়, ‘চলতি মৌসুমের ব্যস্ততার কারণে ২০২১-২২ মৌসুমে স্থগিত হওয়া সিরিজটি আয়োজন করার চেষ্টা করবে পিসিবি।’
আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে পাকিস্তান সফর করবে জিম্বাবুয়ে। এরপর রয়েছে স্থগিত হওয়া পাকিস্তান সুপার লিগের ৫টি ম্যাচ। পাকিস্তানের নিউজিল্যান্ড সফর। জানুয়ারিতে দেশটিতে সফর করতে পারে দক্ষিণ আফ্রিকা।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি-মার্চে রয়েছে পিএসএল-৬, এরপর রয়েছে পাকিস্তানের দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ে সফর।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড