‘মেসির মন খারাপ’

বার্সেলোনা ছেড়ে অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদে যোগ দিয়েছেন উরুগুইয়ান তারকা লুইস সুয়ারেজ। যোগ দিয়েছেন না বলে বার্সা ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন বললেই বেশি মানানসই হয়। আর সুয়ারেজের এমন বিদায়ে বার্সা কর্তৃপক্ষের উপর নিজের ক্কগোভ ঝেড়েছেন দলের আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসি। এবার সুয়ারেজের বিদায়ে মেসির খারাপ খারাপ লেগেছে বলে মন্তব্য করলেন বার্সার নতুন কোচ রোনাল্ড কোম্যান। তবে এর প্রভাব মেসির মাঠের পারফরম্যান্সে পড়বে না বলেও বিশ্বাস করেন বলে জানিয়েছে কোম্যান।

দীর্ঘ ছয় বছর সুয়ারেজের সঙ্গে ড্রেসিংরুম শেয়ার করেছেন মেসি। এছাড়া মাঠের বাইরেও এ দুজনের দারুণ সম্পর্ক ছিল। তবে সুয়ারেজ অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদে যোগ দেওয়ায় এ দুইজনকে আর একসঙ্গে মাঠে নামতে দেখা যাবে না।

সুয়ারেজকে যেভাবে বিদায় দেওয়া হয়েছে তা একদমই পছন্দ হয়নি মেসির। ওই দিনই ইন্সটাগ্রামে ক্ষোভ প্রকাশ করে মেসি লেখেন, এমন বিদায় তার প্রাপ্য নয়। মৌসুম শুরু আগে মেসিও ক্লাব ছাড়তে চেয়েছিলেন। পরে নানা জটিলতার মাঝে ইচ্ছের বিরুদ্ধে আরও এক মৌসুম থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে রবিবারের ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে বার্সর এবারের মোসুম। মাঠের আগের নানা জটিলতা ম্যাচে প্রভাব ফেলবে না বলে ম্যাচের আগের দিনের সংবাদ সম্মেলনে জানালেন কোম্যান।

কোম্যান বলেন, ‘বন্ধু ক্লাব ছেড়ে চলে যাওয়ায় সে কষ্ট পেয়েছে, এটাই স্বাভাবিক। তারা অনেক বছর একসঙ্গে খেলেছে। তবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, সে অনুশীলন করছে এবং খেলছে। সে সবার জন্য উদাহরণ। তার মন খারাপ, তবে ফেরার পর সে প্রচুর উৎসাহ দেখিয়েছে। সে মাঠেও তাই দেখাবে।’

কোম্যান বার্সার দায়িত্ব নেওয়ার পরই গুঞ্জন উঠে, সুয়ারেজকে তিনি তার পরিকল্পনায় রাখছেন না। তবে সুয়ারেজকে বিদায় করা তার একার সিদ্ধান্ত ছিল না বলেও সংবাদ সম্মেলনে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন বার্সেলোনা কোচ।

তিনি বলেন, ‘অনেকের ধারণা, এসব কিছুর মূলে আমি, কিন্তু তা ঠিক নয়। তাকে আমি সম্মান দেখিয়েছি। আমি তাকে বলেছিলাম, সম্ভবত সে অনেক মিনিট খেলার সুযোগ পাবে না। তবে সে থাকলে তার ওপর আমি আস্থা রাখতাম। এটা কেবল আমার সিদ্ধান্ত ছিল না, ক্লাবেরও সিদ্ধান্ত ছিল।’

কোম্যান আরও বলেন, ‘অনেক তরুণ খেলোয়াড় আছে যাদের দলে জায়গা পাওয়ার সুযোগ আছে এবং এটাই ফুটবল। লুইস ও আমি এখনও একে অপরকে সম্মান করি। সে চলে গেছে, আমি তার মঙ্গল কামনা করি।’