ক্রীড়া ডেস্ক
তিন বছর ধরে নিষিদ্ধ থাকা পাকিস্তানি ক্রিকেটার উমর আকমল সাজা কমাতে আপিল করেছিলেন।
আপিলে সাড়া দিয়েছেন পাকিস্তানের সুপ্রিমকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারক ফকির মোহাম্মদ খোকর।
বুধবার তার শাস্তি অর্ধেক কমিয়ে দেড় বছরে নামিয়ে আনা হয়।
উমর আকমলের নিষেধাজ্ঞার শাস্তি কমিয়ে আনাটার বিষয়টিতে ক্ষেপেছেন দেশটির আরেক নিষিদ্ধ ক্রিকেটার সাবেক লেগ স্পিনার দানিশ কানেরিয়া।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) ওপর দ্বৈত আরচণের অভিযোগ আনলেন তিনি।
এক প্রতিক্রিয়ায় কানেরিয়া বলেছেন, ‘পিসিবি সব সময়ই দ্বৈত আচরণ করে। আমার সঙ্গে এক ধরনের আচরণ করল আর উমর আকমলের সঙ্গে আচরণ করল আরেক ধরনের।’
এছাড়াও টুইটারে নিজের ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন এই সাবেক লেগস্পিনার।
তিনি লিখেছেন, ‘জিরো টলারেন্স নীতি শুধু দানিশ কানেরিয়ার ওপরই আরোপ করা হবে, অন্য কারো ওপর নয়? কেউ কি পারবেন আমাকে বলতে যে, কেন আমাকেই শুধু আজীবনের নিষেধাজ্ঞা দেয়া হলো, অন্য কাউকে নয়? এই নীতি শুধু ধর্ম, বর্ণ এবং শক্তিশালী ব্যাকগ্রাউন্ডের ব্যাক্তিদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। আমি একজন হিন্দু। আমি আমার ব্যাকগ্রাউন্ড এবং ধর্ম নিয়ে সব সময়ই গর্ববোধ করি।’
উল্লেখ্য,পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) স্পট ফিক্সিংয়ের খবর জানতেন উমর আকমল। কিন্তু তিনি ক্রিকেট বোর্ডকে বিষয়টি জানাননি। এ ছাড়া তার আচরণও ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। যে কারণে চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে তাকে সাময়িকভাবে নির্বাসিত করা হয়েছিল। পরে দুই নিয়ম ভাঙার দায়ে আকমলকে গত ২৭ এপ্রিল তিন বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে পিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি।
এদিকে দানিশ কানেরিয়া ২০১২ সালে স্পট-ফিক্সিংয়ের অভিযোগে নির্বাসিত হয়েছিলেন। শুরুতে অভিযোগ অস্বীকার করলেও ২০১৮ সালে তিনি তা স্বীকার করেন।
তথ্যসূত্র: টুইটার, ক্রিকেট এডিক্টর
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড