• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

চীনা কোম্পানির টাকা ছাড়া আইপিএল আয়োজন অসম্ভব!

  ক্রীড়া ডেস্ক

২৬ জুলাই ২০২০, ১৩:৫১
চীনা কোম্পানির টাকা ছাড়া আইপিএল আয়োজন অসম্ভব!
আইপিএলের তারকা ক্রিকেটাররা (ছবি : ইএসপিএন)

দিন কয়েক আগেও এক টেলিভিশন শোতে ভারতের জাতীয় দলের সাবেক দুই ক্রিকেটার আইপিএল প্রসঙ্গে অনেক কথাই বলেছিলেন। সেখানে গৌতম গম্ভীরের দাবি, আইপিএল শুরু হলে দেশের চেহারাই পালটে যাবে। প্রতি বছর মানুষ আইপিএলের দিকে তাকিয়ে থাকেন। সবাই টিভির সামনে বসে পড়েন। লকডাউনে কী আর করা যাবে, খেলা শুরু হলে এগুলো নিয়ে ভাবতে হবে না। মানসিক অবসাদ থেকে বেরিয়ে অনেকে ক্রিকেট আড্ডায় মেতে উঠবেন।

এ সময় সঙ্গী ইরফান পাঠান বলছিলেন, এই টুর্নামেন্টের দিকে বিশ্বের অধিকাংশ ক্রিকেটাররাই তাকিয়ে থাকেন। কারণ বড় মঞ্চে খেলে নিজেদের প্রমাণ করতে পারলে বাড়তি সুবিধা পাওয়া সম্ভব। এমনকি আর্থিক দিক থেকে লাভবানের বিষয়টিতো আছেই।

এবার কেবল তারাই নয়, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই), রাজ্য ক্রিকেট সংস্থা, ব্রডকাস্টার কোম্পানির সঙ্গে জড়িয়ে থাকা মানুষের সঙ্গে আরও অনেকে এই সুবিধা পান। তাই আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর আইপিএল শুরু হলে অনেক কিছুর সমাধান হয়ে যাবে।

সত্যিই কী তাই! দেশে চার মাসের লকডাউনে অনেক প্রশ্ন উঠে আসছে। কত মানুষের চাকরি গিয়েছে। যারা এখনো চাকরি করছেন, তাদের বেতন অর্ধেক কাটা হয়েছে। ব্যবসায়ীরাও মার খাচ্ছেন। সর্বত্র একটাই কথা- টাকা নেই, আয়ও বন্ধ।

আরও পড়ুন : দেখা গেছে 'ভিনগ্রহী যান'! অপেক্ষা আনুষ্ঠানিক ঘোষণার

সত্যিই তো এই অবস্থায় টাকা আসবে কোথায় থেকে? এর আঁচ ক্রিকেটে পড়বে না? ধাক্কা লেগেছে ক্রিকেটেও। আইপিএলের দিনক্ষণ ঠিক হওয়ার পর থেকেই নানা দিক থেকে শোনা যাচ্ছে, স্পন্সররা নাকি আইপিএল থেকে সরে যাচ্ছেন। মূলত তারা আগ্রহই নাকি হারিয়ে ফেলেছেন কেননা সেখানেও তো একই অবস্থা। লকডাউনে দেশের যা হাল, তাতে ব্যবসা করে তারাও সুবিধা করতে পারছেন না।

লকডাউনের আগের ছবি কখনই এমন ছিল না। ঠিক ছিল, ২৯ মার্চ টুর্নামেন্ট শুরু হবে। তখনও করোনার প্রকোপ দেশটিতে সেভাবে ছড়ায়নি। আইপিএল ফ্রাঞ্চাইজিরাও ৯৫ শতাংশ স্পন্সর নিশ্চিত করে ফেলেছিলেন। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে ভারতে লকডাউন শুরু হতে সব গোলমাল হয়ে যায়।

এক সময় মনে হচ্ছিলো, আইপিএল সম্ভবত বাতিল করতে হবে। আইসিসি টিটোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে ঢিলেমি করতে বোর্ডও চাপে পড়ে যায়। শুরুতেই আইসিসি বিশ্বকাপ বাতিল করলে হাতে কিছুটা সময় থাকত। এখন টুর্নামেন্ট শুরু হতে হাতে দু’মাসও নেই। এর মধ্যে ফ্রাঞ্চাইজিরা কীভাবে টাকা নিয়ে আসবেন? স্পন্সররা একবার ব্যাক ফুটে গেলে এখন নতুন করে কাউকে পাওয়াও কঠিন।

আরও পড়ুন : এবার হজের খুতবা হবে বাংলাতেও

প্রশ্ন আছে, এবার কারা টুর্নামেন্ট থেকে সরে যাওয়ার কথা বলছেন? প্রথমেই আসছে সিকো সিকোর কথা। তারা সরে যাওয়ার পিছনে কারণ হিসেবে জুন মাসের ব্যবসার কথা বলেছেন। অদ্ভুত লাগলেও এটাই ঘটনা, গত মাসে তাদের জিরো বিলিং হয়েছে।

যার অর্থ, বিশ্বে তাদের কোনো প্রোডাক্ট বিক্রি হয়নি। তাই তারা আইপিএল থেকে নিজেদের সরিয়ে নেওয়ার কথা বলছে। এরপর আছে লিংক. খাদিম, ডি ভ্যালি। এর মধ্যে কেকেআরের তিনটি স্পন্সর। তারা এখন কোথায় যাবে? মাত্র দুই মাসের মধ্যে নতুন করে কাউকে নিয়ে আসাও সম্ভব নয়। শোনা যাচ্ছে, রাজস্থান রয়্যালস, হায়দরাবাদ সানরাইজার্সের অবস্থাও নাকি এক। টাইটেল স্পন্সরও নাকি আগ্রহ দেখাচ্ছে না। আগে আইপিএলে ঢোকার জন্য বিভিন্ন কোম্পানির লাইন পড়ে যেত। কিন্তু এবার তাদের সঙ্গে কথা বলে রাজি করানো যাচ্ছে না।

দেশের বদলে বিদেশের মাঠে আইপিএল হওয়ায় ফ্রাঞ্চাইজিদের মতো বোর্ডকেও বাড়তি খরচের কথা মাথায় রাখতে হচ্ছে। শুরুতে টুর্নামেন্ট করে যে টাকা আয়ের কথা তারা ভেবেছিল, এখন তা পাওয়া যাবে না। আরব আমিরাতে টুর্নামেন্ট হওয়ায় টাকার বদলের কথাও ভাবতে হচ্ছে। তার উপর চীনা মালিকানাধীন কোম্পানিদের বাদ দিয়ে এগোতে বলা হচ্ছে।

আরও পড়ুন : মার্কিন বাহিনীর বিরুদ্ধে মামলা করবেন ইরানের বিমান যাত্রীরা

ব্যাপারটি এখন চূড়ান্ত না হলেও শোনা যাচ্ছে, কেন্দ্রীয় সরকার থেকে বার্তা দেওয়া হয়েছে, ভিভোকে নিয়ে চলা যাবে না। এর সঙ্গে আরও দুএকটি স্পন্সর বাতিল করতে হবে। করোনার মাঝে কথা হয়েছিল, এবার ভিভোকে রেখে পরের আসর থেকে অন্য স্পন্সরের কথা ভাবা হবে। যদিও বিষয়গুলো নিয়ে এখন উলটো কথাও সামনে আসতে শুরু করেছে।

সূত্র : এই সময়

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড