• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩১ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

পাকিস্তানিদের ওপর চরম বিরক্ত শোয়েব আখতার

  ক্রীড়া ডেস্ক

২৩ মার্চ ২০২০, ১৪:৫১
শোয়েব আখতার
শোয়েব আখতার (ছবি: সংগৃহীত)

বিশ্বজুড়ে শুরু হয়েছে মৃত্যুর মিছিল। ভয়ংকর করোনা ভাইরাসে থেমে গেছে জনজীবন। প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছে ১৪ হাজারেরও বেশি মানুষ।

মহামারি করোনা প্রথমে তার তাণ্ডব শুরু করে চীনে। বর্তমানে বিশ্বের ১৯০টিরও বেশি দেশে হানা দিয়েছে এ ভাইরাস। এশিয়ার দেশ পাকিস্তানে প্রতিদিনই বাড়ছে এ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। দেশটিতে এ পর্যন্ত ৭৯৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন করোনায়। এছাড়া মৃত্যুবরণ করেছেন ছয়জন।

এমন অবস্থায় সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছেন সাবেক পাকিস্তানি ক্রিকেটার শোয়েব আখতার। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হন না তিনি।

শোয়েব সচেতন হলেও এখনো সচেতন হতে পারেনি অন্যান্য পাকিস্তানিরা। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলেও তা মানছে না আধিকাংশ পাকিস্তানিই। আর তাতেই বিরক্ত হয়েছেন শোয়েব আখতার।

সম্প্রতি নিজের দেখা একটা ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ক্ষোভ ঝাড়েন শোয়েব। নিজের অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে এক ভিডিও বার্তায় শোয়েব বলেন, ‘আমি একটা জরুরি কাজে সেদিন বাইরে গিয়েছিলাম। আমার গাড়ির কাচ নামাইনি, কারও সঙ্গে সেদিন হাত মেলাইনি, মোলাকাত করিনি। কিন্তু আমি দেখলাম একটা মোটরসাইকেলে করে চারজন মানুষ যাচ্ছে। তারা পিকনিক করতে যাচ্ছে। সত্যি এরা অদ্ভুত। অবাক হয়ে দেখছি শহরের বেশিরভাগ রেস্তোরাঁই খোলা। সেখানে মনের আনন্দে দল বেঁধে মানুষ খেয়ে যাচ্ছে। রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছে অজস্র মানুষ। এরা এত অসচেতন কেন? করোনার হুমকিটা পাকিস্তানের মানুষ মোটেও গুরুত্ব দিয়ে দেখছে না।’

পাকিস্তানিদের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করলেও প্রতিবেশী দেশ ভারতের সাধারণ মানুষের প্রশংসা করেন শোয়েব। তিনি বলেন, ‘ভারতের মানুষ কারফিউয়ের মতো করেই ঘরে থাকছে। সরকারি সিদ্ধান্ত তারা আনন্দের সঙ্গে মেনে নিয়েছে। কিন্তু পাকিস্তানে আমরা এগুলো পারছি না। মানুষের ভ্রমণই বন্ধ করতে পারছি না আমরা। যদিও অনেক কিছুই বন্ধ করা যাবে না। কিন্তু পাকিস্তানের মানুষ তো ঘরেই থাকতে চায় না।’

এছাড়া পাকিস্তানকে অবরুদ্ধ করতে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে অনুরোধ করেছেন সাবেক এ গতিতারকা। তিনি বলেন, ‘আমি ইমরান খানের সরকারকে অনুরোধ করব তারা যেন দ্রুততার সঙ্গে গোটা পাকিস্তানকে অবরুদ্ধ করে ফেলেন। খুব দরকারি কাজ ছাড়া কেউ যেন বাড়ির বাইরে না যায়, সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে হবে। আর সাধারণ মানুষকে বলব, এটা ভয়ংকর ছোঁয়াচে একটা ভাইরাস। নিজস্ব ধারণা নিয়ে বসে থাকলে হবে না। তরুণদের করোনা হয় না এটা পুরোপুরি ভুল কথা।’

উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া মহামারি করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) সোমবার (২৩ মার্চ) সকাল পর্যন্ত এক দিনে ১ হাজার ৫৯৭ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এতে মোট মৃতের সংখ্যা ১৪ হাজার ৬৪৭ জনে পৌঁছেছে। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৯৮ হাজার ৬২৭ জন।

ওডি/এমএমএ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড