ক্রীড়া ডেস্ক
ঘরের মাঠে ২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারানোর পর টেস্টে হঠাৎ হারিয়ে যায় বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ড সফরে দুই টেস্টে ইনিংস ব্যবধানে হার দিয়ে শুরু এরপর আফগানিস্তান, ভারত, পাকিস্তানের কাছে আরও চার টেস্টে হেরে যায় তারা। ছয় টেস্টের মধ্যে পাঁচ টেস্টে ইনিংস হারের লজ্জা ছিল মুমিনুলদের। এর চেয়েও বেশি কষ্টের ছিল নবীন আফগানিস্তানের কাছে হেরে যাওয়া।
অন্ধকারে নিমজ্জিত বাংলাদেশ টেস্ট খেলার মানসিকতাই যেন হারিয়ে ফেলে। বিশেষ করে ব্যাটিংয়ে টেকনিক্যালি বেশ দুর্বলতা স্পষ্ট হয় তাদের। ফলে হারের আগে হেরে যাওয়ার জন্য কটূকথা শুনতে হয়েছে বাংলাদেশকে।
অবশেষে মিরপুর টেস্টে এসে জয় তুলে নিল টাইগাররা। স্পষ্ট করে বললে বলতে হবে, ক্ষুধার্ত বাঘের হুংকারে উড়ে গেল জিম্বাবুয়ে। ক্রেইগ আরভিনদের ইনিংস ও ১০৬ রানের ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এর মধ্য দিয়ে অবসান ঘটল ১৪ মাস বা ৪৫০ দিনের অপেক্ষার।
টিম পারফরম্যান্সেই এই বিশাল জয় পেল বাংলাদেশ। তবু আলাদা করে বেশি নজর কেড়েছেন চার জন। তারা হলেন মুশফিকুর রহীম, নাঈম হাসান, মুমিনুল হক, তাইজুল ইসলাম ও আবু জায়েদ রাহী। জিম্বাবুয়েকে রানের বোঝা চাপিয়ে দিয়েছে মূলত মুশফিকের ২০৩ রানের অপরাজিত ইনিংস। তার অন্যতম সঙ্গী হিসেবে ছিলেন অধিনায়ক মুমিনুল। ১৩২ রান করে আউট হন এ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। মূলত মুশফিক-মুমিনুলের ২২২ রানের জুটিতেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় স্বাগতিকরা।
এ দিকে, বল হাতে জিম্বাবুয়েকে সবচেয়ে বেশি ভুগিয়েছেন নাঈম হাসমান। ১৯ বছর বয়সী এই অফ স্পিনার দুই ইনিংস মিলে তুলে নিয়েছেন ৯ উইকেট। দুই ইনিংসেই তিনি ছিলেন দলের সেরা বোলার। প্রথম ইনিংসে ৭০ রানে ৪ উইকেট ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৮২ রানে ৫ উইকেট নেন এ অফ স্পিনার।
আরও পড়ুন : স্ত্রীর কথা রাখতেই মুমিনুলের ‘০৭’
কম যাননি বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলামও। দ্বিতীয় ইনিংসে নাঈমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তিনি নিয়েছেন ৪ উইকেট। প্রথম ইনিংসে শিকার করেন দুই উইকেট। পেসার আবু জায়েদ চৌধুরীর কথাও উল্লেখ করার মতো। দ্বিতীয় ইনিংসে তেমন বোলিংয়ের সুযোগ না পেলেও প্রথম ইনিংসে ৭১ রানে চার উইকেট তুলে নেন রাহী।
ওডি/এনএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড