• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩১ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

ম্যারাডোনার ক্লাবের সঙ্গে মেসির লড়াই

  ক্রীড়া ডেস্ক

২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১১:১৯
মেসি যখন ম্যারাডোনার শহরে
মেসি যখন ম্যারাডোনার শহরে (ছবি : সংগৃহীত)

মাঠের ফুটবলে একসময় বিশ্ব মাতিয়েছেন আর্জেন্টিনার ফুটবল ঈশ্বর ডিয়েগো ম্যারাডোনা। আলবেলিস্তাদের হয়ে জিতেছেন ১৯৮৬ বিশ্বকাপ। অখ্যাত ইতালিয়ান জায়ান্ট নাপোলিকে তার জাদুর ছোঁয়ায় ইতালি ও ইউরোপে এনে দিয়েছেন সাফল্য। সেরি আর ক্লাবটি ইতিহাসের পাতায় নিজেদের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখায় ফুটবল ঈশ্বর ম্যারাডোনার আমলে।

নাপোলিতে ম্যারাডোনা তার পেশাদার ক্যারিয়ারের শিখরে পৌঁছান। খুব দ্রুত ক্লাবের সমর্থকদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন এবং সেই সময়টিই ছিল নাপোলির ইতিহাসের সফলতম যুগ। ম্যারাডোনার অধীনে নাপোলি ১৯৮৬–৮৭ ও ১৯৮৯–৯০ মৌসুমে ‘সিরি আ’য় চ্যাম্পিয়নশিপ জিতে এবং ১৯৮৯–৮৮ ও ১৯৮৮–৮৯ মৌসুমে তারা রানার-আপ হয়। এছাড়া এই আর্জেন্টাইনের সময়ে নাপোলি একবার কোপা ইতালিয়া জিতে (১৯৮৭) এবং একবার রানার-আপ (১৯৮৯) হয় এবং ১৯৯০ সালে ইতালীয় সুপার কাপ জিতে। ১৯৮৭–৮৮ মৌসুমের সেরি আ-তে ম্যারাডোনা সর্বোচ্চ গোলদাতা ছিলেন।

১৯৮৪ সাল থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত ম্যারাডোনা গ্লি আজ্জুরিদের হয়ে মাঠ মাতান। ইতিহাস গড়েন একের পর এক। সেই সম্মানার্থে ম্যারাডোনার আইকনিক ‘১০’ নম্বর জার্সি আজীবন তুলে রাখার সিদ্ধান্ত নেয় নাপোলি কর্তৃপক্ষ।

গোটা ফুটবল দুনিয়ায় আর কোনো দল পাওয়া যাবে না, যারা কোনো একজন ফুটবলারকে এত ভক্তি করে। ম্যারাডোনাকে তারা এখনো ঈশ্বরের মতোই ভক্তি, শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা ভরেই স্মরণ করেন। ম্যারাডোনা নাপোলি ছেড়েছেন ২০ বছর আগে। কিন্তু ওই ক্লাবে এখনো ঈশ্বর তিনি।

এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডে সেই ম্যারাডোনার দলের সামনে দাঁড়িয়েছে স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনা। মজার বিষয় হচ্ছে- ম্যারাডোনা একজন আর্জেন্টাইন, আর এই কিংবদন্তির সাবেক ক্লাবের বিপক্ষে লড়াই করবে আরেক আর্জেন্টাইনের ক্লাব বার্সেলোনা; বলছি ছয়বারের ব্যালন ডি’অর বিজয়ী লিওনেল মেসির কথা।

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগের খেলায় নাপোলির মাঠে যাবে কাতালান ক্লাব বার্সা। গত বছরের সেপ্টেম্বরে দুটি প্রীতি ম্যাচে মুখোমুখি হওয়ার পর আজ আবারও মাঠে নামবে দুদল। বাংলাদেশ সময় রাত ২টায় শুরু হবে লড়াই; ম্যাচটি সরাসরি দেখা যাবে সনি টেন-২ তে।

দুদলের মুখোমুখি লড়াইয়ে কিন্ত এগিয়ে বার্সা। এখন পর্যন্ত চারবার দুদলের লড়াইয়ে তিন জয় কাতালানদের; বিপরীতে এক জয় নাপোলির। তবে এখানে একটা মজার বিষয় রয়েছে- এই প্রথম নাপোলির মাঠে খেলতে যাচ্ছে বার্সা! হ্যাঁ; চারবারের দেখায় একবারও নাপোলির মাঠে আতিথ্য নেয়নি লা লিগা চ্যাম্পিয়নরা।

দলের খবর যদি বলি- কিকে সেতিয়েনের দলের ইনজুরি সমস্যা সবারই জানা; সুয়ারেজ-দেম্বেলে নেই স্কোয়াডে। তবে স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের দেওয়া সুযোগে দেম্বেলের জায়গাতে একজন স্ট্রাইকার নিয়েছে বার্সা। লেগানেস থেকে স্ট্রাইকার মার্টিন ব্রাথওয়েটকে দলে নেয় তারা; এসেই অবশ্য জ্বলে উঠেছেন ডেনমার্কের এই স্ট্রাইকার। প্রথম ম্যাচে গোল না পেলেও সতীর্থদের দিয়ে দুটি গোল করিয়েছেন। এটিই তো দরকার বার্সার। তবে আজ বার্সার আক্রমণে তাকে দেখা যাবে না। মেসি-গ্রিজ্যামের সঙ্গে থাকবেন হয়তো তরুণ আনসু ফাতি।

এ দিকে, স্বাগতিকদের রক্ষণের সমস্যার উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে দলের মধ্যে আত্মবিশ্বাসও বৃদ্ধি পেয়েছে। যদিও বার্সার বিপক্ষে ম্যাচে দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ডিফেন্ডার সদস্য কালিদু কৌলিবালিকে দলে পাচ্ছেন তারা। ইনজুরিতে ছিটকে গেছেন তিনি। ফার্নান্দো ইয়োরেন্তে, আর্কাদিউজ মিলিক- এই দুইজনের ফিটনেস নিয়ে সংশয় আছে। শুরুতে না থাকলে এদের যে কেউ বদলি হিসেবে নেমে বার্সার রক্ষণের জন্য দুশ্চিন্তার কারণ হতে পারেন। এছাড়া সেতিয়েনের দলকে আলাদা করে ভাবতে হবে লরেঞ্জো ইনসিনিয়ে ও ড্রিস মার্টেনসকে নিয়ে। পরের জন ক্লাবের সর্বোচ্চ গোলদাতাদের রেকর্ডে ম্যারাডোনাকে টপকে গেছেন। সামনে আছেন কেবল ক্লাবের সাবেক অধিনায়ক মারেক হামসিক।

আরও পড়ুন : ম্যানসিটির রেকর্ড ভাঙল লিভারপুল

বার্সার জন্য আরও একটি আতঙ্কের নাম কনস্তানিওস মানোলাস । বার্সেলোনার পুরনো শত্রু মানোলাস। তার সঙ্গে ফের দেখা হয়ে যাচ্ছে। মানোলাস গোল করে দুই বছর আগে বার্সেলোনাকে বিদায় করে দিয়েছিলেন কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে। সেই মানোলাস রোমা ছেড়ে এবার যোগ দিয়েছিলেন নাপোলিতে। বার্সার বিপক্ষে তেঁতে থাকার কথা তার।

ওডি/এএপি

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড