ক্রীড়া ডেস্ক
ব্যর্থতা থেকে বের হতে পারলেন না পর্তুগিজ কোচ হোসে মরিনহো। চ্যাম্পিয়নস লিগের দুইবারের শিরোপা জেতা কোচ এ নিয়ে টানা ৭টি নকআউট পর্বের প্রথম ম্যাচ হারলেন। গতকাল (বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি) শেষ ষোলোর প্রথম লেগে জার্মানির লিপজিগের কাছে একমাত্র গোলে হেরেছে গত আসরের ফাইনালিস্ট টটেনহ্যাম।
ইউরোপ সেরার এই প্রতিযোগিতায় কোনো নকআউট পর্বের প্রথম লেগে মরিনহোর সবশেষ জয় ২০১৩ সালের ৩ এপ্রিল। সেদিন ঘরের মাঠে কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে মরিনহোর রিয়াল মাদ্রিদ ৩-০তে হারিয়েছিল গ্যালাতাসারাইকে। দ্বিতীয় লেগে ৩-২ গোলে হেরেও তারা উঠে যায় সেমিতে। এরপর প্রথম লেগে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের মাঠে ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত হয়ে ছিটকে যায় আসর থেকে। সেই থেকে চ্যাম্পিয়নস লিগে নকআউট পর্বের প্রথম লেগে হার শুরু মরিনহোর।
এবার মরিনহোর স্পার শিবির ছিল চোটে জর্জরিত। ফলে প্রতিপক্ষ লিপজিগ প্রিমিয়ার লিগের দলটিকে ম্যাচের শুরু থেকে একের পর এক আক্রমণে কোণঠাসা করে রাখে। দুই মিনিটেই লিড নিতে পারত জার্মান জায়ান্টরা; তবে টিমো ওয়ের্নারের শট প্রতিহত হওয়ার পর অ্যাঞ্জেলিনোর ফিরতি শটও ফিরে আসে পোস্টে বাধা পেয়ে।
৩৬ মিনিটেও অতিথিদের হতাশ করেন জার্মান তারকা ওয়ের্নার। সতীর্থের পাস ডি-বক্সে ফাঁকায় পেয়েও গোলরক্ষক বরাবর শট নেন তিনি। ৫৮ মিনিটে অবশেষে কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায় লিপজিগ। ডি-বক্সে অস্ট্রিয়ার মিডফিল্ডার কনরাড লাইমারকে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন ডিফেন্ডার বেন ডেভিস, পেনাল্টি পায় সফরকারীরা। স্পট কিকে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন ওয়ের্নার। আসরে তার গোল হলো ৪টি, মৌসুমে ২৬টি।
আরও পড়ুন : হেরে অ্যাতলেটিকোকে হুমকি দিলেন ক্লপ
পাঁচ মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ হতে পারত। কিন্তু ফাঁকায় বল পাওয়া চেক প্রজাতন্ত্রের স্ট্রাইকার প্যাট্রিক শিকের জোরালো শট রুখে দেন গোলরক্ষক হুগো লরিস। ৭৩ মিনিটে সমতায় ফিরতে পারত টটেনহ্যাম, তবে জিওভান্নি লো সেলসোর ফ্রি-কিক শট ভেস্তে যায় লিপজিগ গোলরক্ষক পিটার গুলাসির কল্যাণে। আগামী ১০ মার্চ ফিরতি লেগে লিপজিগের মাঠে খেলবে হোসে মরিনহোর টটেনহ্যাম।
ওডি/এনএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড