ক্রীড়া ডেস্ক
ইতিহাস গড়লেন ফুটবলের রাজপুত্র লিওনেল মেসি। ২০১৯ সালের বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ হিসেবে লরিয়াস ক্রীড়া পুরস্কার জিতলেন তিনি। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বার্লিনে এক জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে দেওয়া হয় এ পুরস্কার।
এতেই ইতিহাসে নাম লেখান আর্জেন্টাইন সুপারস্টার। কারণ প্রথম কোনো ফুটবলার হিসেবে এ পুরস্কার জিতলেন মেসি। অবশ্য একা বর্ষসেরা ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব হতে পারেননি বার্সেলোনা তারকা। ফর্মুলা ওয়ান তারকা লুইস হ্যামিল্টনের সঙ্গে যৌথভাবে এ পুরস্কার জেতেন তিনি। এ নিয়ে ২০ বছরের ইতিহাসে প্রথমবার দুজন বিজয়ী পেলেন লরিয়াস পুরস্কার।
বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ হিসেবে লরিয়াস ক্রীড়া পুরস্কার চালু হয় ২০০০ সালে। প্রথম বছরই মর্যাদার এ পুরস্কার জেতেন বিশ্ববিখ্যাত গলফার টাইগার উডস। সর্বাধিক ৫ বার এ পুরস্কার জিতেছেন টেনিস মহারথী রজার ফেদেরার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪ বার জিতেছেন গতিদানব উসাইন বোল্ট ও টেনিস তারকা নোভাক জকোভিচ।
মেসি ও হ্যামিল্টন বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ হলেও মানুষের ভোটে পুরস্কার জেতেন ক্রিকেট কিংবদন্তী শচীন টেন্ডুলকার। গেল ২০ বছরে সেরা ক্রীড়া মুহূর্তের পুরস্কার জিতেছেন তিনি। ২০১১ বিশ্বকাপ জয়ের পর টেন্ডুলকারকে ঘাড়ে তুলে উদযাপন করে ভারতীয় দল। সেই স্মৃতি এখনো সমর্থকদের মনে সতেজ। সে কারণে পুরস্কারটি জিতেছেন তিনি।
বর্ষসেরা নারী ক্রীড়াবিদ হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জিমন্যাস্ট তারকা সিমোনা বাইলস। আর বিশ্বসেরা দল নির্বাচিত হয়েছে ২০১৯ সালের দক্ষিণ আফ্রিকার বিশ্বকাপজয়ী রাগবি দল। ইয়ুর্গেন ক্লপের লিভারপুল ও যুক্তরাষ্ট্রের নারী ফুটবল দলকে হারিয়ে এ পুরস্কার জিতল তারা।
ছুটিতে থাকায় প্রথম ফুটবলার হিসেবে লরিয়াস জেতার মুহূর্তে থাকতে পারেননি মেসি। তবে এক ভিডিও বার্তায় বলেছেন, ‘কোনো দলীয় খেলা থেকে প্রথম ব্যক্তি হিসেবে এই পুরস্কার জেতায় আমি গর্বিত।’
আরও পড়ুন : অপ্রতিরোধ্য লিভারপুলের বাধা আজ অ্যাতলেটিকো
আর স্টিভ ওয়াহর কাছ থেকে সেরা মুহূর্তের পুরস্কার বুঝে নেওয়া টেন্ডুলকার বলেছেন, ‘এখানে অনেক অ্যাথলেট আছেন, যাদের অনেক কিছু ছিল না। তবু তারা তাদের পাওয়া সুযোগের সর্বোচ্চ ব্যবহার করেছেন। খেলাকে পেশা হিসেবে বেছে নেওয়ায় এবং নিজের স্বপ্ন পূরণ করে তরুণদের অনুপ্রাণিত করায় আমি তাদের ধন্যবাদ দিই। এ পুরস্কার শুধু আমার নয়, তাদের সবার।’
ওডি/এনএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড