ক্রীড়া ডেস্ক
রকিবুল হাসান যখন আনকোলেকারের বলটি ডিপ মিড উইকেটে পাঠিয়ে দিয়ে প্রান্ত বদল করতে শুরু করেছেন তখনই ডাগ আউট থেকে ভোঁ দৌড়ে বাংলাদেশের বাকি খেলোয়াড়রা মাঠে ঢুকে পড়ে। শুরু হয়ে যায় উদযাপন। কেউ স্ট্যাম্প নিতে কাড়াকাড়ি করছে। কেউ হইহুল্লোড় করছে। তখনও মাঠে ছিল ভারতের খেলোয়াড়রা। তাদের ঘিরেই নাচতে শুরু করে বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা।
ফাইনালে উদযাপন করতে গিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের কয়েকজন ক্রিকেটার নিজেদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কিতে জড়িয়ে পড়েন। পুরো ম্যাচ জুড়ে যে তীব্র আবেগ ও উত্তেজনার রেশ ছিল তারই কিছুটা বহিঃপ্রকাশ ঘটে উভয় দলের তরুণ ক্রিকেটারদের মধ্যে। তবে ক্রিকেটে এমন আচরণের অনুমতি নেই। আর তাই সেদিনের ফাইনালের ভিডিও ফুটেজ দেখে আইসিসি উভয় দলের ৫ জন খেলোয়াড়কে কয়েকটি ম্যাচ নিষিদ্ধ করেছে।
অভিযুক্ত ক্রিকেটাররা তাদের দোষ স্বীকার করে নিয়েছেন। শাস্তিপ্রাপ্ত বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের তিন ক্রিকেটার হলেন তৌহিদ হৃদয়, শামীম হোসেন ও রকিবুল হাসান। এছাড়া ভারতের দুই ক্রিকেটার হলেন আকাশ সিং এবং রবি বিষ্ণু।
হৃদয়, শামিম ও আকাশ সিংয়ের নামের পাশে ৬ ডিমেরিট এবং রকিবুল ও বিষ্ণুর নামের পাশে যোগ হয় ৫ ডিমেরিট পয়েন্ট। এছাড়া ভারতের রবি বিষ্ণইকে অভিষেক দাসের উইকেটের পর অশোভন অঙ্গভঙ্গির দায়ে আরও ২ ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়া হয়।
শাস্তি হিসেবে ১০ ম্যাচ নিষিদ্ধ হয়েছেন হৃদয়। আর শামীম ৮ ম্যাচ ও রকিবুল ৪ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন। আর আকাশ সিংকে ৬ ও বিষ্ণুকে ৫ ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করেছে আইসিসি। অনূর্ধ্ব-১৯ বা ‘এ’ দলের হয়ে সামনের ওয়ানডে অথবা টি-টুয়েন্টি ম্যাচে এই নিষেধাজ্ঞার শাস্তি ভোগ করবেন শাস্তিপ্রাপ্ত ক্রিকেটাররা।
আরও পড়ুন : টিনের ছোট্ট ঘর থেকেই বিশ্বজয় রকিবুলের
আইসিসি জানিয়েছে, ফাইনাল ম্যাচ শেষে নিজেদের মধ্যে বিতর্ক এবং ধাক্কাধাক্কি করে এই ক্রিকেটাররা ক্রিকেটের স্পিরিট নষ্ট করেছেন। মাঠের খেলোয়াড় ও সাপোর্টিং স্টাফদের মধ্যে আইসিসির বিধি বিধানের লেভেল তিন ভঙ্গ করেছেন। তাই এই শাস্তি।
ওডি/এএপি
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড