• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৭ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

ঐতিহাসিক টেস্টে বাংলাদেশের অর্জন কেবল ‘টস জয়’

  ক্রীড়া ডেস্ক

২২ নভেম্বর ২০১৯, ২১:৫৯
মুমিনুল হক
এভাবেই আত্মসমর্পণ করে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা (ছবি: সংগৃহীত)

ইডেন গার্ডেন্সে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ব্যাকফুটে রয়েছে বাংলাদেশ। প্রথমবারের মতো দিবারাত্রির টেস্ট খেলতে নেমে দলের ব্যাটসম্যানদের বাজে ব্যাটিংয়ে মাত্র ১০৬ রানেই গুটিয়ে গেছে মুমিনুলরা। ৬৮ রানে এগিয়ে থেকে দিন শেষ করেছে ভারত।

বাংলাদেশের গোলাপি বলের টেস্টের শুরুটা জয় দিয়েই হয়। অধিনায়ক মুমিনুল হক সিরিজে টানা দ্বিতীয়বারের মতো টসে জিতেন। তবে এ টস জয় ছাড়া পুরো দিনে বলার মতো আর কোনো অর্জনই পায়নি বাংলাদেশ।

প্রথম ম্যাচের মতো এ ম্যাচেও ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন মুমিনুল। অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে ভুল প্রমাণে ব্যস্ত হয়ে পড়েন ব্যাটসম্যানরা। বাংলাদেশ প্রথম ধাক্কা খায় ১৫ রানে। মাত্র ৪ রান করে আউট হয়ে সিরিজে নিজের ব্যর্থতার ধারাবাহিকতা ধরে রাখেন ইমরুল কায়েস। ইনিংসের সপ্তম ওভারে ইশান্ত শর্মার প্রথম ওভারেই একবার আউট হন তিনি। রিভিউ নিয়ে সেবার বেঁচে যান এ বোলার। তবে একই ওভারের তৃতীয় বলে রিভিউ নিয়েও আর বাঁচতে পারেননি ইমরুল।

দলীয় ২৬ রানের মধ্যে আরও তিন উইকেট হারায় বাংলাদেশ। মুমিনুল, মিথুন ও মুশফিক এ তিন ব্যাটসম্যান শুধু আউটই হননি, গড়েছেন লজ্জার ইতিহাস। উপমহাদেশের মাটিতে প্রথমবার দলের তিন, চার ও পাঁচ নম্বর ব্যাটসম্যান হিসেবে তারা আউট হয়েছেন শূন্য রানে।

তরুণ সাদমান কিছুক্ষণ লড়াই করার চেষ্টা চালালেও মাত্র ২৯ রান করেই তিনিও পথ ধরেন সাজঘরের। ৩৮ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে ১০০ রানের নিচে অলআউট হওয়ার শঙ্কা জাগে বাংলাদেশ শিবিরে। সে শঙ্কা আরও বাড়িয়ে দেন দলীয় ৬০ রানে মাহমুদউল্লাহ আউট হয়ে।

ধ্বংসস্তূপ থেকে লিটন আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের চেষ্টা চালায়। মাত্র ২৭ বলেই তিনি করে ফেলেন ২৪ রান। তবে লিটনও বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। আউট না হলেও এক বাউন্সারে মাথায় আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়েন এ ব্যাটসম্যান।

নাঈম হাসানের ১৯ রানে ১০০ পেরোয় বাংলাদেশ। তবে বেশিদূর যেতে পারেননি তারা। লিটনের পরিবর্তে বদলি হিসেবে মিরাজ নামেন। ১২ জন ব্যাটিং করেও দলের বিপর্যয় থামাতে পারেননি। প্রথমবার গোলাপি বলে ব্যাট করতে নেমে ১০৬ রানেই অলআউট বাংলাদেশ।

জবাবে ব্যাটিং করতে নেমে ভারতও শুরুতেই উইকেট হারায়। ভারতের স্কোরবোর্ডে ২৬ রান উঠতেই প্রথম সাফল্য পায় বাংলাদেশ। মায়াঙ্ক আগারওয়ালকে মেহেদি মিরাজের ক্যাচে পরিণত করে টাইগারদের পক্ষে গোলাপি বলে প্রথম উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করেন আল আমিন। এরপর দ্রুতই রোহিত শর্মাকেও প্যাভিলিয়নের ফেরাতে পারত বাংলাদেশ। প্রথম উইকেট শিকার করে নায়ক বনে যাওয়া আল আমিন এবার ভিলেনের ভূমিকায়। রাহির বলে বাউন্ডারিতে ক্যাচ তুলে দেন রোহিত। সহজ সে ক্যাচ ফেলে দেন আল আমিন।

আল আমিনের ক্যাচ মিসের আফসোস বেশি বাড়তে দেয়নি এবাদত হোসেন। ভারতের ৪৩ রানের মাথায় রোহিত শর্মাকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন তিনি। এরপর ভারতের হাল ধরেন কোহলি ও পুজারা। এ দুইজনের ৯৪ রানের জুটিতে বাংলাদেশের রান টপকে লিড নেয় ভারত। ৫৫ রান করা পুজারাকে আউট করে তাদের জুটি ভাঙেন এবাদত। দিনের বাকিসময় ভারতের আর কোনো উইকেট পড়েনি। ৩ উইকেটে ১৭৪ রান নিয়ে দিন শেষ করেছে কোহলির দল। তারা এগিয়ে ৬৮ রানে। দ্বিতীয় দিনে ৫৫ রান নিয়ে কোহলি ও ২৩ রান নিয়ে রাহানে ব্যাটিংয়ে নামবেন।

ওডি/এমএমএ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড