ক্রীড়া ডেস্ক
উরুগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচটি ছিল ২০১৯ সালে আর্জেন্টিনার শেষ ম্যাচ। শেষ ম্যাচে জয় না পেলেও দারুণ খেলে আর্জেন্টিনা। পিছিয়ে পড়েও শেষ মুহূর্তের গোলে দলকে সমতায় ফেরান লিওনেল মেসি।
বয়স যত বাড়ছে ততই যেন বার্সেলোনার জার্সিতে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছেন লিও। ১০ বছর বয়স থেকে বার্সেলোনায় আছেন মেসি। নাগরিকত্ব আছে আর্জেন্টিনা ও স্পেনের। প্রস্তাব পেয়েছিলেন লা রোহাদের হয়ে খেলার। আর তা হলে হয়তো ২০১০ সালে স্পেনের হয়ে বিশ্বকাপ জেতার স্বাদও পেয়ে যেতেন এই ফুটবল কিংবদন্তি। কিন্তু মেসি বেছে নেন জন্মভূমি আর্জেন্টিনাকে।
২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপে আকাশি-নীলদের ফাইনালে তুললেও নিন্দুকদের মুখ বন্ধ করতে পারেননি মেসি। দেশের জার্সিকে ভালোবাসার অভাব রয়েছে, এমন মন্তব্যও শুনতে হয়েছে তাকে। তার মধ্যে ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপে দলের ভরাডুবির জন্য দায়ী করা হয় মেসিকে। যার কারণে হতাশ ও বিরক্ত হয়ে জাতীয় দল থেকে সাময়িক বিরতিও নেন।
তবে যখন ফিরলেন তখন যেন আরও ভয়ঙ্কর অস্ত্র হয়েই ফিরলেন। দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার পাশাপাশি ড্রেসিংরুমে তরুণ সতীর্থদের ভরসাস্থল হয়ে ওঠেন মেসি। যারা বলত, মেসি সতীর্থদের সঙ্গে কথা বলেন না, তারাও অবাক হয়ে দেখল মেসির নেতৃত্বগুণ।
কোপা আমেরিকায় আর্জেন্টিনাকে সেমিফাইনালে পৌঁছে দিলেন মেসি। কিন্তু দুর্দান্ত খেললেও স্বাগতিক ব্রাজিলের বিপক্ষে হেরে ফাইনালের টিকিট কাটতে ব্যর্থ হয় লিওনেল স্কালোনির দল। তার মধ্যে তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে চিলির গ্যারি মেডেলের সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়িয়ে দেখে বসেন লাল কার্ড। তবে এসবের মধ্যেও কমেনি মেসির ফুটবল দ্যুতি।
২০১৯ সালে এসে দেশের সঙ্গে সম্পর্কটা আরও জোরদার করেছেন মেসি। বছর শেষ করার আগে জাতীয় দলের হয়ে ১০ ম্যাচে করেছেন ৫ গোল। সৌদি আরবে চির প্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলের বিপক্ষে তার একমাত্র গোলে জয় পায় আর্জেন্টিনা। পরে উরুগুয়ের বিপক্ষেও আর্জেন্টিনার ত্রাণকর্তা হলেন মেসি।
ওডি/এনএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড