• বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৪ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৭ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

ফিফটি হলো মুশফিকের

  ক্রীড়া ডেস্ক

১৬ নভেম্বর ২০১৯, ১৪:০১
ছবি : সংগৃহীত
ছবি : বিসিসিআই

প্রথম ইনিংসে ৩৪৩ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেছে বাংলাদেশ। চলছে খেলার তৃতীয় দিন।

বাংলাদেশ স্কোর: ১৮৩/৬ (৫২ ওভার)

ফিফটি হলো মুশফিকের

উইকেটে আসা যাওয়ার মিছিলে মুশফিক পেলেন ফিফটি। ১০১ বলে ফিফটি করেন মুশি। এখন মুশফিক ইনিংস কতটা লম্বা করতে পারবেন, তার ওপরেই নির্ভর করছে বাংলাদেশের হারের ব্যবধানটা কত হবে।

মুশফিকের সঙ্গে জুটি গড়ার চেষ্টা করছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

এই রিপোর্ট লেখা অবধি বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৮৩ রান। উইকেটে আছেন মুশফিকুর রহীম (৫২) এবং মিরাজ (৩১)।

বাজে শটে আউট লিটন

আসবেন, দেখার মতো কিছু শট খেলবেন, এরপর জঘন্য একটা শট খেলে বিদায় নেবেন- লিটন দাসের জন্য এটা হয়ে গেছে নিয়ম। এবার অশ্বিনের বলটা ডাউন দ্য উইকেটে এসে খেলতে গেলেন, কিন্তু সরাসরি ক্যাচ গেল অশ্বিনের কাছে। দারুণ ক্যাচের জন্য কৃতিত্ব দিতে হব অশ্বিনকে।

মুশফিকুর রহীমের সঙ্গে দারুণ খেলছিলেন লিটন। দলীয় ৭২ রানে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের বিদায়ের পর উইকেটে এসে নিজের মতোই খেলছিলেন লিটন। কিন্তু তাতে কি কিছুক্ষণ উড়াধুরা খেলে উইকেট দিয়ে ফিরে যাবেন তা তো আগেই অনেকবার হয়েছে; তাই করলেন লিটন।

৩৯ বলে ৩৫ রান করে ফিরতে হলো লিটনকে। সেই সঙ্গে ভাঙল ৬৩ রানের জুটি!

এই রিপোর্ট লেখা অবধি বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৬২ রান। উইকেটে আছেন মুশফিকুর রহীম (৪৬) এবং মিরাজ (১৫)।

হঠাৎ তেতে উঠেছে বাংলাদেশ

দ্বিতীয় ইনিংসে দলীয় ৭২ রানে ব্যক্তিগত ১৫ রানে দলকে বিপদে ঠেলে ফিরেছেন অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এরপর উইকেটে এসে উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান লিটন কুমার দাস খেলছেন নিজের মতোই, দেখতে দেখতে তুলে ফেলেছেন ত্রিশোর্ধ্ব রান। এরই মধ্যে ছয়টিটি বাউন্ডারি হয়ে গেছে লিটনের।

তবে অন্য প্রান্তে থাকা মুশফিকুর রহীমও থেমে নেই। দেখে শুনে খেলছেন তিনিও। বাউন্ডারির বল ঠিকই খেলছেন- তিনিও পৌঁছে গেছেন ত্রিশোর্ধ্ব রানে। হাঁকিয়েছেন পাঁচটি বাউন্ডারি।

এরই মুশফিক-লিটনের ব্যাটে ৫০ রানের জুটি হয়ে গেল বাংলাদেশের। খেলছেন কেবল ৫১টি বল।

শুরুর সেশনেই এলোমেলো বাংলাদেশ

প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও ভারতীয় পেসারদের দাপটে ধুঁকছে বাংলাদেশ। প্রথম চার ব্যাটসম্যান ফিরে গেছেন দলের রান যখন ৪৪! দলীয় ১০ রানে ওপেনার ইমরুল কায়েস ৬ রানে ফিরে যান সাজঘরে। ইমরুলের ফেরাটা যেন মেনে নিতে পারলেন না আরেক ওপেনার সাদমান ইসলাম। তাঁর পরপরই ইশান্ত শর্মার শিকারে পরিণত হয়ে ফিরে যান এই ওপেনারও।

এরপর অধিনায়ক মমিনুল হককে ৭ রানে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন মোহাম্মদ শামি। দলীয় ৪৪ রানে বাংলাদেশ শিবিরে আবারও আঘাত হানেন শামি। মোহাম্মদ মিঠুনকে ১৮ রানে মায়াঙ্ক আগারওয়ালের তালুবন্দি করান এই পেসার।

লাঞ্চ বিরতিতে বাংলাদেশের রান ৪ উইকেটে ৬০। ইনিংস হার এড়াতেই এখনো প্রয়োজন ২৮৩ রান, হাতে ৬ উইকেট। মুশফিকুর রহীম ৯ ও মাহমুদউল্লাহ ৬ রানে অপরাজিত আছেন।

৪৪ রানে নেই বাংলাদেশের ৪ উইকেট

বড় ভাইরা দায়িত্ব নেয়নি; তো আমি নিয়ে কি হবে! হ্যাঁ; এমনটি হয়ত ভেবে উইকেট তুলে দিয়ে ফিরে গেলেন মোহাম্মাদ মিঠুন। মোহাম্মাদ শামির দুই ওভারের ব্যবধানে ফিরে গেলেন মুমিনুল-মিঠুন!

ইনিংসের ১৪তম ওভারে শামির হাফবলির বলটি মিডঅনে দাঁড়িয়ে থাকা মায়াঙ্কের কাছে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান মিঠুন। ২৬ বলে ১৮ রানের মূল্যবান ইনিংস খেলেছেন কুষ্টিয়ার ছেলে মিঠুন।

দলীয় ৪৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে বাংলাদেশ। এর আগে ব্যক্তিগত ৬ রানে ফিরে যান দুই ওপেনার ইমরুল কায়েস ও সাদমান ইসলাম।

৩ উইকেট হারিয়ে চাপে বাংলাদেশ

দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় বাংলাদেশ। দলীয় ১০ রানে ওপেনার ইমরুল কায়েস ৬ রানে ফিরে যান সাজঘরে। ইমরুলের ফেরাটা যেন মেনে নিতে পারলেন না সাদমান ইসলাম। তাঁর পরপরই ইশান্ত শর্মার শিকারে পরিণত হয়ে ফিরে যান এই ওপেনার।

দুই উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়া বাংলাদেশ দলের হার ধরার আগেই ফিরে যান অধিনায়ক মুমিনুল হক। প্রথম ইনিংসে ৩৭ রান করা মুমিনুল দ্বিতীয় ইনিংসে ফিরে যান ৭ রানে! দলীয় ৩৭ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে বাংলাদেশ।

যদিও মুমিনুল বেঁচে যাওয়ার একটা সুযোগ ছিল। মোহাম্মাদ শামির বলটি ডিফেন্ড করে গেলে প্যাডে লেগে যায় মুমিনুলের। জড়াল আবেদন জানান ভারতীয়রা; তবে আম্পায়ারের সিধান্ত ছিল নট আউট! এতে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন বোলার; রিভিউ নিলেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। তাতেই বাঁচা হলো না মুমিনুলের।

আবারও ব্যর্থ ইমরুল-সাদমান

রানের পাহাড় বাংলাদেশের সামনে- হয়ত তৃতীয় দিনে খেলা শেষ হয়ে যেতে যাবে! যদি চতুর্থ দিনে খেলে নিতে হয় তবে টিকে থাকার বিকল্প কিছু নেই বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের সামনে। কিন্তু তা তো করতে রাজি নন টাইগার ওপেনার ইমরুল কায়েস ও সাদমান ইসলাম। দুজনই সোজা বোল্ড হয়ে ফিরে গেলেন।

দুজনের মধ্যে মিলটাও একটু বেশিই। প্রথম ইনিংসে ইমরুল-সাদমান মাত্র ৬ রানে আউট হয়েছিলেন। আর নিজেদের দ্বিতীয় তথা তৃতীয় দিনেও একই রানে প্যাভিলিয়নের গেলেন এই দুই বাংলাদেশের টেস্ট ওপেনার।

ইমরুল বোল্ড হলেন উমেশ যাদবের বলে আর সাদমানকে আউট করলেন ইশান্ত শর্মা।

ইনিংস হার এড়াতে লড়ছে বাংলাদেশ

বাংলাদেশের ওপর রানের বোঝা চাপায়নি ভারত, ইনিংস ঘোষণা করে দিয়েছে স্বাগতিকরা। তৃতীয় দিন সকালে ব্যাট করতে নেমেছে বাংলাদেশ। এখন প্রশ্ন এই টেস্টে আর কতোদূর যাবে বাংলাদেশ?

সাধারণত, টেস্টের মূল গতিপথ তৃতীয় দিনে অনেকটা বোঝা যায়। কিন্তু এই টেস্টের ভাগ্য অনেকটা স্পষ্ট হয়ে গেছে প্রথম দুই দিনেই। মানে বাংলাদেশের সামনে ৪৯৩ রানের উঁচু পাহাড়। ফলে তৃতীয় দিনে এসে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, ম্যাচ কি চতুর্থ দিনে নিতে পারবে টাইগাররা?

ভারতের ইনিংস ঘোষণা

তৃতীয় দিনে আর ব্যাটিংয়ে নামেনি ভারত। আগের দিনের ৬ উইকেটে ৪৯৩ রানে ইনিংস ঘোষণা করেছেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ৩৪৩ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমেছে বাংলাদেশ।

ইন্দোর টেস্টে, চালকের আসনে ভারত

শেষ এক ঘন্টায় যেন বুলবুল ফিরে এলো ইন্দোরে, বাংলাদেশের বোলাররা বুঝতেই পারলেন না কী থেকে কী হচ্ছে। মায়াঙ্ক আগারওয়াল একের পর এক বল আছড়ে ফেললেন গ্যালারিতে। কিছুটা সময় নিয়ে জাদেজাও যোগ দিলেন তার সঙ্গে। আগারওয়াল ফিরে গেলেন ২৪৩ রান করে, তবে উমেশ যাদব এসে এর মধ্যেই মেরেছেন তিনটি ছয়। জাদেজা অপরাজিত আছেন ৬০ রানে, যাদব ৩০ রানে। ৪৯৩ রান নিয়ে দিন শেষ করেছে ভারত, লিড নিয়েছে ৩৪৩ রানের।

আন্তর্জাতিক টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথমবারের মতো টেস্টের সবচেয়ে শক্তিশালী দল ভারতের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। কিন্তু শুরুটা রাঙিয়ে রাখার মতো হয়নি। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) ইন্দোরে প্রথম ইনিংসে মুমিনুল হকরা গুটিয়ে যায় মাত্র ১৫০ রানে। খেলতে পেরেছে মাত্র ৫৮.৩ ওভার।

ওডি/এএপি

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড