পঞ্চগড় প্রতিনিধি
মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদ উপলক্ষে পঞ্চগড়ে শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে কুরবানির পশুর হাট। জেলার বড় হাটগুলোতে পশুর আমদানি কম থাকলেও দূর-দূরান্ত থেকে সাধারণ মানুষ কুরবানির পশু কিনতে হাটে আসছেন। এসব হাটগুলোতে নানা সাইজের গরু নিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। কুরবানির পশু কিনতে এসব হাটগুলোতে ছুটছেন নানা বয়সের ক্রেতারা।
পঞ্চগড় জেলার রাজনগড় গরুহাটসহ পাঁচ উপজেলার বেশকিছু হাট ঘুরে লক্ষ্য করা গেছে গরুর দাম নিয়ে ক্রেতা বিক্রেতার পাল্টাপাল্টি অভিযোগ রয়েছে। তবে বিগত বছরের তুলনায় এ বছর হাটগুলোতে পশু আমদানি কম। হাটগুলোতে সব্বোর্চ দেড় লাখ টাকা থেকে সর্বনিম্ন ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত গরুর দাম উঠেছে। তাছাড়া এ বছর পশুর দাম নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিলেও দেখে শুনে সাধ্যের মধ্য থেকে গরু কিনবেন বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা। তবে দাম বেশি নেওয়ার অভিযোগ করলেও গরু ক্রয় করেই কিন্তু বাড়ি ফিরছে মধ্যবিত্ত উচ্চবিত্ত এমনকি কৃষক শ্রেণির ক্রেতারা।
শুক্রবার জেলা শহরের প্রধান পশুর হাট রাজনগর হাট, বোদা উপজেলার নগরকুমারি হাট, তেঁতুলিয়ার শালবাহান হাটসহ কয়েকটি পশুর হাট ঘুরে দেখা যায় গেছে, শেষ মুহূর্তে ক্রেতা-বিক্রেতায় জমজমাট হয়ে উঠেছে পশুর হাটগুলো। অধিকাংশ পশুর হাট যদিও ভারতীয় গরুর দখলে। কিন্তু জেলার বাইরে থেকে আসা ফড়িয়া-ব্যাপারীদের জন্য কুরবানির গরুর দাম গতবারের তুলনায় বেশি বলে দাবি ক্রেতাদের।
জেলার সীমান্ত এলাকাসহ বিভিন্ন পশুর হাট থেকে ব্যাপারীরা প্রতিদিন কয়েকশ ট্রাকে গরু কিনে দেশের বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে যাচ্ছেন। পঞ্চগড়ে গরু কিনে বেশ লাভের মুখ দেখছেন বলে জানালেন ব্যাপারীরা।
পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাড়িভাষা ইউনিয়নের পাহাড়বাড়ি গ্রাম থেকে আসা কমিরুল নামে এক কৃষক বলেন, এবারে ধানের দাম কম পেয়েছি মনের ইচ্ছেমত ওজনের গরু কিনতে পারিনি, তবুও অনেক কষ্টে ছত্রিশ হাজার টাকায় একটি আড়িয়া গরু কিনেছি। কারণ কুরবানিতো দিতেই হবে।
তেঁতুলিয়া উপজেলার মমিনপাড়া পাড়া এলাকার হুমায়ুন কবির বলেন, আরও একটা হাট পাব গরু কেনার জন্য সেদিনই গরু কিনব আজ যাচাই বাছাই করে চলে এলাম। তাছাড়া গরুর দামও কিছুটা বেশি।
জেলা প্রাণী সম্পদ অফিস জানায়, পঞ্চগড়ের পাঁচ উপজেলায় ১২ টি স্থায়ী গরু ছাগলের হাট এবং ১৮-২০টি ছোট-বড় বাণিজ্যিক গরুর খামার আছে এছাড়াও দশ হাজার চব্বিশ জন গরু পালনকারী পঞ্চগড় জেলায় গরু পালন করে আসছে।
এ বিষয়ে জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা দেবাশিষ কুমার বলেন, এবারের কুরবানি ঈদে প্রায় ৫০ হাজার গরু মজুদ রয়েছে। প্রাণীসম্পদ অফিসের পক্ষ হতে প্রতিটি স্থায়ী হাটে গরু ও কুরবানির পশুদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আলাদা আলাদা টিম গঠন করেছি। আশা করি এবার আমাদের যে পরিমাণ গরু মজুদ আছে তা দিয়ে পঞ্চগড় এর চাহিদা মিটিয়ে দেশের অন্যান্য অঞ্চলে গরুর চাহিদা কিছুটা হলেও মিটানো সম্ভব হবে।
ওডি/এমবি
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড