• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

সৌর বিদ্যুতে বদলেছে চরাঞ্চলবাসীর জীবন

  হুমায়ুন কবির সূর্য্য, কুড়িগ্রাম

০৪ জুলাই ২০১৯, ২০:৩৭
সৌর বিদ্যুত
সৌর বিদ্যুতের আলোয় পড়াশোনায় করছে এক শিক্ষার্থী (ছবি : দৈনিক অধিকার)

কুড়িগ্রামে সৌর বিদ্যুতের আলোয় বদলে যাচ্ছে চরাঞ্চলবাসীদের জীবনমান। সরকারের দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ঘরে-ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেবার ধারাবাহিকতায় প্রত্যন্ত চরাঞ্চলে সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পের মাধ্যমে সুফল পাচ্ছে জনগণ। এতে করে জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার সাড়ে তিন হাজার চরাঞ্চলবাসী আর্থিক লাভের পাশাপাশি পড়াশোনায় এগিয়ে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরাও।

জানা যায়, কুড়িগ্রামে ১৬টি নদ-নদীতে রয়েছে প্রায় সাড়ে চার শতাধিক চর। এতে বসবাস করে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ। মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন এই জনপদের মানুষের কাছে বিদ্যুৎ ছিল এক স্বপ্নের নাম। এখানে সূর্য অস্ত যাবার সঙ্গে সঙ্গে চারদিকে নেমে আসে নিস্তব্ধ নীরবতা। নিকষ কালো আঁধারে ছেয়ে যেত গোটা চরাঞ্চল। যুগ যুগ ধরে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত এসব মানুষের জীবনে নেই কোনো লোডশেডিংয়ের ঝামেলা। রাতের কাজকর্ম সারতে হতো বাতি, কুপি বা হারিকেনের আলোয়।

তবে বর্তমান সরকারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ঘরে-ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেবার লক্ষ্যে সোলার প্রকল্প পাল্টে দিয়েছে এখানকার মানুষের জীবন-জীবিকা। সোলারের আলোয় আলোকিত হয়ে যাচ্ছে চরাঞ্চলের প্রায় সাড়ে তিন হাজার পরিবার। ঘরকে আলোকিত করার পাশাপাশি মোবাইল, কম্পিউটার, টেলিভিশন, ফ্যান, রেফ্রিজারেটরসহ ইলেকট্রনিক সামগ্রী ব্যবহার করার সুযোগ পাচ্ছেন তারা। রাত জেগে নিজেদের পড়াশোনার মান এগিয়ে নিচ্ছে চরাঞ্চলের শিক্ষার্থীরা। প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে পিছিয়ে পরা এ জনপদের মানুষ। বিনামূল্যে সরকারের পক্ষ থেকে ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে ২০ ওয়াট হতে ১২০০ ওয়াট পর্যন্ত সোলার বিতরণ করা হচ্ছে।

নাগেশ্বরী উপজেলা বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন ব্যাপারী জানান, বিনামূল্যে সৌর বিদ্যুতের আলো আসার কারণে অভাবী চরাঞ্চলবাসীর জীবনমানে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে।

নাগেশ্বরী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সিরাজুদ্দৌলা জানান, নাগেশ্বরী উপজেলার চরাঞ্চল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মন্দিরসহ বিভিন্ন এলাকার প্রায় সাড়ে তিন হাজার পরিবারের মধ্যে বিনামূল্যে সোলার প্যানেল বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও বিগত ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে টিআর ও কাবিটা প্রকল্পের অধীনে এক হাজার ৬৭৭টি সোলার প্যানেলের জন্য দুই কোটি ৯৬ লাখ ৩৩ হাজার ৮৯৭ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।

এ ব্যাপারে নাগেশ্বরী উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী অফিসার আল ইমরান জানান, চরাঞ্চলে বৈদ্যুতিক খুঁটি দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহের সুযোগ না থাকায় সোলার প্যানেল এলাকায় বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। বর্তমান সরকার চরবাসীর এসব সমস্যার কথা বিবেচনা করে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে তাদেরকে আলো সরবরাহের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।

ওডি/এএসএল

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড