সুলতান আহমেদ, মান্দা প্রতিনিধি, নওগাঁ
নওগাঁর মান্দায় বর্ষা মৌসুমে চাহিদা বেড়েছে মাছ ধরার ব্যতিক্রমী উপকরণ খলসুনের। উপজেলার বিভিন্ন হাটে বিক্রি হচ্ছে বাঁশ থেকে তৈরি করা এসব খলসুন। স্থানীয় জেলেসহ অনেকেই মাছ ধরার কাজে খলসুন ব্যবহার করেন। উপজেলার সতীহাট বাজারে গিয়ে দেখা যায় সারিবদ্ধভাবে খলসুন নিয়ে বসে আছেন বিক্রেতারা।
মান্দা উপজেলার গনেশপুর ইউনিয়নের শ্রীরামপুর ঋষিপাড়ায় বসবাস করেন ১২৫-১৩০টি পরিবার। তারা সবাই বর্তমানে মাছ ধরার খলসুন তৈরি করে থাকেন। পুরুষদের পাশাপাশি নারীরা তৈরি করে থাকেন। বর্ষা মৌসুমে দিন-রাত চলে খলসুন তৈরির কাজ।
খলসুন কারিগর শ্যামল কুমার ও হরিপদ জানান, তারা সতীহাট বাজারসহ আশপাশের অনেক হাটে বাজারে এই খলসুন বিক্রি করেন। সারা বছর খলসুন বিক্রি হলেও জ্যৈষ্ঠ-শ্রাবণ এই তিন মাস খলসুনের চাহিদা সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে। পরিবারের সকল সদস্য সম্মিলিত ভাবে খলসুন তৈরি করে থাকেন। পরিবারের সকলে মিলে সপ্তাহে ১০-১২টি খলসুন তৈরি করতে পারেন। তারা দুই ধরনের খলসুন তৈরি করেন। আকারে ছোট খলসুনগুলো ১০০-১৫০ টাকা এবং বড় খলসুনগুলো ২৫০-৩০০ টাকায় বিক্রি করেন।
অপর খলসুন কারিগর খগেন, হরি ও বিষু বলেন, খলসুন তৈরি করে বিক্রি করায় তাদের একমাত্র পেশা। বৃষ্টি হলে বিক্রি ভালো হয়, কিন্তু বৃষ্টি না হলে খলসুনের চাহিদা থাকে না এবং বিক্রিও তেমন হয় না। ফলে পরিবার পরিজন নিয়ে কষ্টে দিন যাপন করতে হয়।
উপজেলার নবগ্রাম থেকে আগত খলসুন ক্রেতা গণি জানান, সতীহাটে তিনি খলসুন ক্রয়ের জন্য এসছেন। তিনি প্রতিদিন বাড়ির পাশে ক্ষেতের আলে, খালের কিনারাসহ বিভিন্ন ডোবা-জলাশয়ের খলসুন পাতেন এবং তা থেকে মাছ সংগ্রহ করেন।
ওডি/এমবি
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড