• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি যেন ডাকছে ভ্রমণ পিপাসুদের

  রিফাত আহমেদ রাসেল, দুর্গাপুর, নেত্রকোণা

১৪ জুন ২০১৯, ১৬:০০
নেত্রকোণা
পাহাড়ের মাঝে নদী (ছবি : দৈনিক অধিকার)

পর্যটকদের পদচারণায় মুখর পাহাড় ও নদীর অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি নেত্রকোণার দুর্গাপুর। দীর্ঘ কয়েক বছর পর যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় আবারও পর্যটকরা আসতে শুরু করেছেন এখানে। তবে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় পর্যটন কেন্দ্রগুলোর পাশে হোটেল-মোটেল করা গেলে এই খাতে আরও উন্নতি সম্ভব বলে মনে করছে পর্যটকরা।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি অপার সম্ভাবনার পর্যটন এলাকা এটি। এখানে রয়েছে পাহাড় নদীর গভীর মিতালি। মুগ্ধ হবার মতোই পাহাড়ি কন্যা সোমেশ্বরীর নদীর স্বচ্ছ পানি। উপজেলার কুল্লাগড়া পুরো ইউনিয়নটি জুড়ে রয়েছে উপভোগ করার মতো প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের নানা স্থাপনা। যা ভ্রমণ পিপাসুদের হাতছানি দিয়ে ডাকে। বিজয়পুর সীমান্ত সড়কের পাশেই চোখে পড়বে ক্যাথলিক গির্জা রানিখং মিশনসহ নানা স্থাপনা। এছাড়াও ইউনিয়নটির প্রায় সাত কিলোমিটার জুড়ে খনিজ সম্পদ চিনামাটির পাহাড়। ভেতরে তার নীল পানি। দেখে প্রাণ জুড়িয়ে যায়।

শুভ্র মেঘ, বিশাল আকাশ আর পাহাড়ের মেলবন্ধনে এ যেন ছবির ক্যানভাস (ছবি : দৈনিক অধিকার)

এ সকল সৌন্দর্য উপভোগ করতে এ বছর ঈদের ছুটিতে অনেকেই আসছেন এখানে। আর তাই পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে এই অঞ্চল। প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যটকরা আসছেন এখানে।

কর্ম জীবনের ব্যস্ততা ছেড়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে হারিয়ে যাচ্ছেন তারা। চার পাশের খোলা মাঠ আর উঁচু উঁচু পাহাড় মন কাড়ে সকলের। কখনো চিনা মাটি পাহাড়ের চূড়ায় কখনো আবার নদীতে ছোট ছোট নৌকায় চড়তে দেখা যায় অনেককে। কেউ কেউ আবার নদী স্বচ্ছ পানি দেখে গা ভাসাতে নেমে পড়েছে সোমেশ্বরীতে। এ যেন ক্ষণিকের জন্য হলেও ছোট বেলায় হারিয়ে যাওয়ার মতো একটি সুন্দর মুহূর্ত।

এ দিকে পর্যটকদের জন্য আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল বিরিশিরি কালাচারাল একাডেমির অথিতিশালা, ওয়াইএমসি, জিবিসি, সোমেশ্বরী লাক্সারিয়াসসহ বিভিন্ন হোটেল ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান। আগাম বুকিং থেকে শুরু করে বিভিন্ন সুবিধাও রেখেছেন তারা। তবে পর্যটন কেন্দ্রগুলোর আশে পাশে থাকা খাওয়ায় কোনো ব্যবস্থা না থাকায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ঘুরতে এসে কিছুটা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে ভ্রমণ পিপাসুদের।

সোমেশ্বরী পার হয়ে যেতে হয় এ সকল সৌন্দর্য দেখতে। আর তাই নদী পাড়ি দেওয়া যেন এক যুদ্ধের ময়দান হয়ে দাঁড়িয়েছে পর্যটকদের সামনে।

পর্যটকরা বলছেন, এই জায়গাটি অনেক সুন্দর। তাই বার বার এখানে আসতে মন চায়। কিন্তু পর্যটন কেন্দ্রগুলো আশে পাশে থাকা খাওয়ায় কোনো ব্যবস্থা নাই। যদি সরকারিভাবে এখানে হোটেল-মোটেল করা যেত তাহলে আরও ভালো হতো।

স্থানীয়রাও বলেন, দেশের অন্য সব পর্যটন এলাকা থেকে এই এলাকা কোনো অংশে কম নয়। যদি এই এলাকাটিকে পর্যটন এলাকা হিসেবে ঘোষণা করে তাহলে পর্যটকদের পাশাপাশি স্থানীয়রাও লাভবান হতো।

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ঝুমা তালুকদার বলেন, এক পাশে পাহাড় আর অন্য পাশে নদী এমন সৌন্দর্য দুর্গাপুর ছাড়া দেশের আর কোথায় দেখা যায়? এই এলাকাটিকে পর্যটন এলাকা হিসেবে গড়ে তুলে পর্যটন কেন্দ্রগুলোর আশে পাশে সরকারিভাবে মোটেল করার চিন্তা রয়েছে আমাদের। এছাড়াও ব্যক্তিগত উদ্যোগেও অনেকেই হোটেল-মোটেল স্থাপনের কাজ শুরু করে দিয়েছেন।

ওডি/এমবি

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড