• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৩ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

বৃদ্ধার আর্তি; ‘মুই মরার পরে...’

  সুমন খান, লালমনিরহাট

২০ এপ্রিল ২০১৯, ১৬:৩৬
এছনা খাতুন
এছনা খাতুন (ছবি- দৈনিক অধিকার)

বয়সের ভারে নুয়ে পড়েছেন এছনা খাতুন। সংসারে একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি তার স্বামী আজাহার আলী প্রায় ১৮ বছর আগে দুই মেয়ে রেখে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন। স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে দুই মেয়েকে নিয়ে কঠোর পরিশ্রম করে সংসারের হাল ধরতে হয়েছে তাকে। বয়সের ভারে আর আগের মতো কঠোর পরিশ্রম করতে পারছেন না। এরপরও জীবিকার তাগিদে মানুষের বাড়িতে কাজ করেন বাষট্টি বছরের এ বৃদ্ধা। কোনো পুত্র সন্তান নেই তার। দুটি মেয়েকে কষ্ট করে বিয়ে দিয়েছেন।

বৃদ্ধা এছনা খাতুনের বাড়ি লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বাউরা ইউনিয়নের নবীনগর গ্রামে। বর্তমানে তার বয়স বাষট্টি ছাড়িয়েছে। ১৮ বছর আগে স্বামী মারা যাওয়ার পরও পাচ্ছেন না কোনো ভাতা। চেয়ারম্যান মেম্বারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও পাননি কোনো সুফল। ১০ টাকার রেশনকার্ড, বিধবা ভাতা ও বয়স্ক ভাতা কোনোটিই তার ভাগ্যে জোটেনি।

এছনা খাতুন বলেন, ‘মুই খুব অসহায়, মোর কোনো জমিজায়গা নাই। সরকার বোলে গরিব মানুষকে ১০ টাকা কেজি চাল দেয় বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা দেয়। মোর আর কত বয়স হইলে মুই ১০ টাকার চাল, ভাতা পাইম! না-মুই মরার পরে এগুলা পাইম।’

বাউরা ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ফুলজান বেগমের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, আমরা দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে নতুন করে রেশনকার্ড, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা দিতে পারি নাই। আগের মেম্বার চেয়ারম্যান যাদের দিয়েছে তারাই পাচ্ছে। আমরা তার বিষয়ে খুবই অনুতপ্ত। আমরা কোনো কিছু পেলে ব্যবস্থা করব।

বাউরা ইউপি সদস্য মো. মিজানুর রহমান বাবলু বলেন, বিষয়টা আমার মাথায় আছে। সামনে কোনো সুযোগ-সুবিধা আসলে সবার আগে তার ব্যবস্থা করব।

ওডি/এসএ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড