• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

দিনাজপুরে বাড়ছে উচ্চ ফলনশীল কলার আবাদ

  সুবল রায়, দিনাজপুর

২০ এপ্রিল ২০১৯, ১৪:৩২
দিনাজপুর
কলা চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা (ছবি : দৈনিক অধিকার)

দিনাজপুরে উচ্চ ফলনশীল কলার আবাদ বাড়ছে। অনেকে কলা আবাদ করে হচ্ছেন স্বাবলম্বী।

কলা চাষিরা জানান, উচ্চ ফলনশীল কলা চাষে খরচ কম এবং লাভজনকও। পরিচর্যায় শ্রম-সময় কম লাগে। ফলে জেলায় এ কলার আবাদ বাড়ছে। অনেক ভূমিহীন কৃষক জমি লিজ নিয়ে কলা চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন।

জেলার কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সদরসহ ১৩ উপজেলায় কলার আবাদ বেড়েছে। উচ্চ ফলনশীল জাত হিসেবে মেহের সাগর, সাগর, সবরি ও সুন্দরী (মালভোগ) জাতের চাষ বেশি হচ্ছে আর দেশি জাতের মধ্যে চিনিচম্পা। কলা আবাদ লাভবান হওয়ায় ভালো জাতের কলা উৎপাদনে চাষি ও ব্যবসায়ীদের প্রতিযোগিতা বেড়েছে।

জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বরাতে জানা যায়, চলতি বছর এক হাজার হেক্টরের অধিক জমিতে কলা চাষ হয়েছে। আর চাষিদের অধিকাংশই ভূমিহীন কৃষক। তারা পরিত্যক্ত ও অনাবাদী জমি লিজ নিয়ে কলা চাষ করছেন। তাছাড়া জেলার কিছু অঞ্চলের জমি কলা চাষের উপযোগী হওয়ায় ভালো ফলনও পাওয়া যাচ্ছে। চারা রোপণের তিন-চার মাসের মধ্যে থোড় আসছে। প্রতি কাঁদিতে ছয় থেকে আটটি ছড়া কলা পাওয়া যাচ্ছে।

এদিকে জেলার দশমাইল মোড়, তের মাইল গড়েয়া, রানীরবন্দরে কলা বিক্রির সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার গড়ে উঠেছে। এসব বাজারে দিনে ২০-২৫ ট্রাক কলা বিক্রি হয়। আর ছোট ও উপজেলা পর্যায়ে বাহাদুর বাজার, এন এ মার্কেট, চক বাজার, শিকদার হাট, রেলবাজার এবং গোপালগঞ্জ বাজারেও কেনাবেচা ভালো। জেলায় উৎপাদিত কলা এসব পাইকারি বাজারের মাধ্যমে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশাল, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, জয়পুরহাট এবং ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে সরবরাহ হচ্ছে।

কলা চাষি কুদ্দুস জানান, তিনি পর পর কয়েক বছর কলা চাষ করছেন। কলা চাষে স্বল্প পুঁজি বিনিয়োগ করলে ভালো লাভ পাওয়া যায়। প্রতি একরে উৎপাদন খরচ পড়েছে গড়ে ৩৫ হাজার টাকা। বিক্রি হবে ৭০ হাজার টাকা। অনেক ভূমিহীন চাষি জমি লিজ নিয়ে কলা চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন।

তিনি আরও জানান, তারা উৎপাদিত কলা মাঠ থেকে আড়তদার ও ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে দেন। ফলে বাজারজাত করার পরিবহন খরচ লাগছে না।

এদিকে অভিযোগ রয়েছে, কিছু ব্যবসায়ী অধিক লাভের আশায় মাঠ থেকে অপরিপক্ব কলা কেটে মাটির ঘর বানিয়ে তার মধ্যে মজুদ করে। পরে কেরোসিন চুলা জ্বালিয়ে ধোঁয়া দিয়ে অথবা কেমিক্যাল স্প্রে করে কলা পাকায়।

জেলার কৃষি সম্প্রসারণ পরিচালক মো. তৌহিদুল ইসলাম জানান, জেলায় চলতি বছরে ১ হাজার ১১৬ হেক্টর জমিতে উচ্চ ফলনশীল কলার আবাদ হয়েছে। প্রতি একরে ৯০০ কাঁদি কলা পাওয়া যাবে। একর প্রতি উৎপাদন ব্যয় হয়েছে ৩৫-৪০ হাজার টাকা। প্রতি কাঁদি বিক্রি হবে ১০০-১২০ টাকা। প্রতি একরে উৎপাদিত কলা ৮০-৯০ হাজার টাকায় বিক্রি হবে।

তিনি আরও জানান, খরচের তুলনায় দ্বিগুণ আয় হওয়ায় জেলার চাষিরা কলা আবাদে ঝুঁকেছেন। আর সাধারণ চাষিরা স্প্রে দিয়ে কলা পাকান না। ফসল বিক্রি ও বাইরে সরবরাহের পরে এটা ঘটতে পারে বলে জানান তিনি।

ওডি/এমবি

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড