নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজের শখ টাকে ধীরে ধীরে বাস্তব রূপ দিয়ে নতুন পরিচয় সৃষ্টি করায় উদ্যোক্তার কাজ। আর এমন সব উদ্যোক্তা ও ছোট মাঝারি ব্যবসায়ীদের নিয়ে পথ চলা শুরু করেন কুনাউ (কুষ্টিয়ার নারী উদ্যোক্তা)। যদিও পথচলার শুরুটা সীমিত পরিসরে ছিল। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে মাত্র এক মাসে কুনাউ আজ পাঁচ হাজারেরও বেশী সদস্যের একটি পরিবার।
কুনাউ শুধু উদ্যোক্তাদের নিয়ে কাজ করে বিশ্বাসী নন। নতুন নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি ও তাদের পরামর্শ দিয়ে সফলতার পথ দেখিয়ে দেন। এখানে প্রতিটা সদস্যই যেন একে অন্যের পরিপূরক।
কুনাউ তার পথ চলা শুরু করে ২০২০ সালের জুলাই মাসের ২০ তারিখে। এই গ্রুপটির প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন মো. খায়রুল বাসার তৌহিদ এবং মোছা. জ্যোতি আক্তার। সেই সাথে এই গ্রুপটির সহযোগী হিসাবে কাজ করছেন- লুবনা ইয়াসমিন, রুকাইয়া ফেরদৌস, মৌমিতা তারিন, শেখ আজমিরি খানম, প্রত্যাশা, মিথিলা ফারজানা ও ওয়াহেদুর রহমান।
কুষ্টিয়ার নারী-পুরুষ সকল উদ্যোক্তা ও ক্রেতাদের জন্য তৈরি এই গ্রুপটি খোলা হলেও বর্তমানে দেশের সকল জেলার মানুষ এবং অনেক প্রবাসীরাও এই গ্রুপে যুক্ত হয়েছেন। দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে কুনাউ এর সদস্য পরিসর। তবে অন্যান্য অনেক উদ্যোক্তা গ্রুপ থেকে এই গ্রুপটি একটু ভিন্ন। কেননা উদ্যোক্তারা তাদের তৈরি পণ্য এই গ্রুপে বিক্রিও করতে পারেন। সকল সদ্যরাই এই গ্রুপে পোস্ট করতে পারবেন কিন্তু তার জন্য গ্রুপের নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম মেনে পোস্ট করতে হবে।
গ্রুপটির প্রধান মোছা. জ্যোতি আক্তারের সাথে কথা বললে তিনি দৈনিক অধিকারকে জানান, প্রথমত আমি একজন উদ্যোক্তা। উদ্যোক্তা হবার পরে আমি অনুভব করেছি আমাদের কুষ্টিয়ার জন্য একটি সুন্দর উদ্যোক্তা প্লাটফর্ম প্রয়োজন। কারণ একটি সঠিক প্লাটফর্ম একজন সফল উদ্যোক্তা গড়তে পারে।কিন্তু আমরা কুষ্টিয়াবাসী অনেক পিছিয়ে আছি। কুষ্টিয়ার উদ্যোক্তাদের যে সুপ্ত প্রতিভা, সৃজনশীলতা আছে আমরা সেগুলো সমগ্র দেশের সামনে তুলে ধরতে চায়। নিজেদের কাজের মাধ্যমে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই কুষ্টিয়া জেলাকে। মূলত এই চিন্তাধারা থেকেই গ্রুপ খোলার চিন্তাটা মাথায় আসে। আর ভবিষ্যতে উদ্যোক্তাদের জন্য ইনশাআল্লাহ কিছু ট্রেনিং এর ব্যবস্থা রাখতে চাই। এছাড়া উদ্যোক্তা ফান্ড তৈরি করার ইচ্ছা আছে যার মাধ্যমে নতুন উদ্যোক্তাদের আর্থিক সাহায্য প্রদান করা হবে। নতুন উদ্যোক্তাদের সাপোর্ট করার জন্য বিভিন্ন রকম পরিকল্পনা করছি ইনশাআল্লাহ খুব দ্রুত বিস্তারিত জানাবো।
গ্রুপটির অপর প্রধান মো. খায়রুল বাসার তৌহিদের সাথে কথা বললে তিনি দৈনিক অধিকারকে জানান, এ গ্রুপটি নারী পুরুষ উভয়ের জন্যই, পরিবার যেমন নারী পুরুষ উভয়ের সম্মিলিত রূপ এটিও তেমন। এখানে ক্রেতা বিক্রেতা উভয়েই রয়েছে। আমরা গ্রুপটির পরিবেশ যথেষ্ট শৃঙ্খল রেখেছি। এখানে নতুন উদ্যোক্তা রা অন্যান্য অভিজ্ঞ উদ্যোক্তাদের শিক্ষণীয় পোষ্টের মাধ্যমে শিখে নিজেদের কাজে লাগাতে পারছে। আমাদের গ্রুপে নতুন পুরাতন, ছেলে-মেয়ে ভেদাভেদ ছাড়াই সুন্দরভাবে পরিচালনা করছি। উপযুক্ত কিছু নিয়ম রেখেছি সে অনুসারে সবাই গ্রুপে ভালোভাবে ক্রয়-বিক্রয় করছে। কুষ্টিয়ার নারী উদ্যোক্তাদের একটা প্ল্যাটফর্ম দরকার ছিল কুনাউ সেই জায়গা হয়ে উঠেছে। কুষ্টিয়ার নারী উদ্যোক্তা 'গ্রুপে কুষ্টিয়ার পাশাপাশি অন্যান্য জেলার উদ্যোক্তারাও তাদের পণ্য তুলে ধরছে। অনেকের সুপ্ত প্রতিভা প্রকাশ পাচ্ছে কুনাউকে ভরসা করে। উদ্যোক্তাদের পণ্য ডেলিভারি নিয়েও নানা সমস্যা দেখা দেয় কুষ্টিয়ার উদ্যোক্তাদের এই সমস্যার সমাধানে আমি ডেলিভারি সিস্টেম নিয়েও কাজ করছি উদ্যোক্তাদের এগিয়ে যাওয়ার পথ সুগম করতে। কুনাউকে একটা সুশৃঙ্খল ও বৃহৎ প্লাটফর্ম হিসেবে দেখতে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।
কুনাউ এর সহযোগী শেখ আজমিরি খানমের সাথে কথা বললে তিনি দৈনিক অধিকারকে জানান, কুনাউ এমন একটা প্লাটফর্ম যেখানে ক্রেতা বিক্রেতা সহজেই এক এ অপরের সাথে যোগাযোগ করতে পারে। অনেকে তার প্রতিভা ও কাজ প্রকাশ করতে পারে। আপনি হয়তো দেখবেন কুনাউ এর মাধ্যমে অনেকের সেল হচ্ছে এটা আমাদের প্রাপ্তি। সবার পোস্ট পড়ে অনেকে অনেক শিক্ষণীয় বিষয় জানতে পারছে। নতুন উদ্যোক্তারা আত্মবিশ্বাস পাচ্ছে। আমাদের সবার চেষ্টা দিয়ে আমরা কুনাউ কে এগিয়ে নিয়ে যেতে চায়, যেখানে মানুষের সুপ্ত প্রতিভা গুলো তাদের কাজ গুলো নির্দ্বিধায় প্রকাশ করতে পারবে।
কুনাউ এর সহযোগী লুবনা ইয়াসমিনের সাথে কথা বললে তিনি দৈনিক অধিকারকে জানান, আমি একজন উদ্যোক্তা। আমি গ্রুপটিতে মোডারেটর হিসেবে কাজ করি। যখন জোতি আপু আমাকে গ্রুপটিতে মোডারেটর হতে অফার করে আর গ্রুপের লিংক দেয় আমার নাম টি দেখেই ভালো লেগে যায়। নিজ জেলার প্রতি ভালোবাসা ও নিজের জেলাকে উপস্থাপনা করার সুযোগ এটা। আমি আপুকে বলি আমি মোডারেটর হিসেবে কাজ করব। কি পেয়েছি❓আপাতত আমি গ্রুপের শত শত মেম্বারের কাছে পরিচিতি আর ভালোবাসা পেয়েছি। সেল হয়নি গ্রুপে তবে অন্যদেরতো হচ্ছে। কুষ্টিয়া উদ্যোক্তারা এক সাথে এখানে কাজ করছে একে অপরের প্রয়োজনে পাশে থাকছে। এই গ্রুপের উদ্দেশ্য সৎ কারণ কুষ্টিয়াতে এই গ্রুপটি অনেক মেয়ের মনোবল বাড়াচ্ছে নিজে কিছু করার। আমার ইনবক্সে প্রতিদিন নতুন উদ্যোক্তা আপুরা নানান প্রশ্ন করেন তাদের যথাসাধ্য উপদেশ দিয়ে সাহায্য করি। এখানে অনেকের নিয়মিত সেল হচ্ছে। ভবিষ্যতে সবার ভালোবাসায় কুনাউ আরও অনেক দূরে এগিয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
কুনাউ এর সহযোগী রুকাইয়া ফেরদৌসের সাথে কথা বললে তিনি দৈনিক অধিকারকে জানান, কুনাউ সকলের জন্য একটা মুক্ত প্লাটফর্ম। যেখানে সবাই তাদের প্রতিভা গুলো কে প্রকাশ করতে পারে। কুষ্টিয়া বা কুষ্টিয়ার বাইরের অনেক উদ্যোক্তা ও কুনাউ তে নিয়মিত হচ্ছেন তাদের পরিচিত বাড়ছে এবং সেল ও বাড়ছে। আমরা মোডারেটরা তাদের এগিয়ে যেতে সবসময় সাথে আছি এবং সাথে থাকবো। অনেকে অফলাইন এ সেল করলেও অনলাইন এ সেল করেনা। তারাও এই গ্রুপে জয়েন করে নিজের পণ্য কে সবার সামনে তুলে ধরতে পারছে। গ্রুপে অনেক শিক্ষণীয় পোস্ট থাকে যেগুলো পড়ে পুরাতন নতুন সকল উদ্যোক্তা অনেক কিছু শিখতে পারছে। এক জনের কাজ দেখে আরেকজন কাজ করার অনুপ্রেরণা পাচ্ছে। এগুলোই আমাদের অনেক বড় পাওয়া এবং গ্রুপের নিয়ম বজায় রেখে সকল কে এগিয়ে যেতে আমরা সবসময় সাহায্য করবো। ইনশাআল্লাহ কুনাউ আরও বড় হবে এবং সকল উদ্যোক্তা কে নিয়ে আমরা এগিয়ে যাব।
কুনাউ এর সহযোগী প্রত্যাশার সাথে কথা বললে তিনি দৈনিক অধিকারকে জানান, কুনাউ এর মাধ্যমে নিজ জেলাকে অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপনা করার সুযোগ পেয়েছি আর কুনাউ থেক ক্রেতা ও বিক্রেতারা সহজেই নিজেদের পরিচিতি বাড়াতে পারছে এবং যোগাযোগ ও করতে পারছে। সবথেকে বড় কথা নিজেদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস ও মনোবল তৈরি করতে পারছে উদ্যোক্তারা এবং নিজেদের সৃজনশীলতা জ্ঞানের ও অনেকটা বিকাশ ঘটাতে সক্ষম হচ্ছে। এখানে অনেকের নিয়মিত সেল হচ্ছে। আর সবার গঠনমূলক পোষ্ট ও কমেন্টর মাধ্যমেও অনেক শিক্ষণীয় বিষয় জানতে পারছে সবাই। আমাদের সবার চেষ্টা ও ভালোবাসা দিয়ে ভবিষ্যতে কুনাউ আরও অনেক দূরে এগিয়ে যাবে। আর যারা নতুন উদ্যোক্তা হবে বা হওয়ার জন্য চেষ্টা করবে গ্রুপের নিয়ম-কানুন মেনে আমরা সবসময় তাদের সাহায্য করার জন্য প্রস্তুত থাকবো ইনশাআল্লাহ।
কুনাউ এর সহযোগী মিথিলা ফারজানার সাথে কথা বললে তিনি দৈনিক অধিকারকে জানান, আমি বলবো সবার ভালোবাসা আর দোয়া পেয়েছি এই গ্রুপ থেকে। এখানে কেউ হতাশ হলে তাকে সাপোর্ট দেওয়া হয়, তাকে সবকাজে উৎসাহিত করা হয়। গ্রুপ টাকে যদি কিছু দিতে চাই তাহলে আমি বলবো গ্রুপের প্রতিটি কাজেই পাশে থাকতে চাই, গ্রুপ টাকে অনেক দুর নিয়ে যেতে চাই। এই গ্রুপের মাধ্যমে বিশেষ করে নারীরা যেন স্বাবলম্বী হতে পারে সেই টাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য। নতুন উদ্যোক্তা দের প্রতিটি কাজে সাপোর্ট দেওয়া হবে। প্রতিদিনই এই গ্রুপে অসংখ্য শিক্ষণীয় পোস্ট আসে সেই গুলো পড়লে নতুনদের মনোবল বাড়বে এবং কাজের প্রতি উৎসাহ বাড়বে।
কুনাউ এর সহযোগী মৌমিতা তারিনের সাথে কথা বললে তিনি দৈনিক অধিকারকে জানান, গ্রুপের নাম টা দেখেই খুব বেশি ভালোলাগা কাজ করেছিলো। কারণ নিজের জেলার গ্রুপ। যখন আমি গ্রুপে আসি তখন ৭০/৮০ মতো মেম্বার ছিলো। সেদিন আমার লিস্টের সবাইকে ইনভাইট করি। তার কারণ গ্রুপ টাকে অনেক আপন মনে হয়েছিলো। এখন গ্রুপটাকে পরিবার মনে হয়। অনেক অনেক আপু ভাইয়া সাথে পরিচিত হতে পেরেছি। আমি কি পেয়েছি গ্রুপ থেকে যদি বলি তাহলে আমার মন বলে গ্রুপের প্রাপ্তি মানেই আমার প্রাপ্তি। যখন আপু/ভাইয়াদের সেল হয়েছে দেখি তখন অনেক বেশি খুশি লাগে। ক্রেতা -বিক্রেতার সন্তুষ্টি আমাদের পরিবারের বড় প্রাপ্তি। নতুন উদ্যোক্তাদের সাহায্য করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব সবসময়।
কুনাউ এর সহযোগী ওয়াহেদুর রহমানের সাথে কথা বললে তিনি দৈনিক অধিকারকে জানান, কুনাউ আমাকে আমার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার অনেকটাই পথ সহজ করে দিয়েছে। স্বপ্ন ছিলো রান্নাঘরকে স্বাস্থ্যকর ও নিরাপদ করার লক্ষে রান্নাঘরের সকল মসলা ও অন্যান্য আইটেম নিয়ে কাজ করবো। সেই লক্ষে গত ১.৫ বছর হলো মসলা নিয়ে বিভিন্ন এনালাইসিস করেছি। কিন্তু জনসম্মুখে আসিতে পারিনাই। শুধু ইনডোরেই মধ্যে ছিলাম। বাহিরে পোডাক্ট নিয়ে কাজ করতে ভয় হচ্ছিলো কেবা কি বলবে, এটা নিয়ে। কিন্তু কুনাউ আমাকে সহজ করে দিয়েছে। এখন আলহামদুলিল্লাহ স্বপ্ন পূরুণের দিকেই এগুচ্ছি। এটাই অনেক পাওয়া। গ্রুপের উন্নয়নের জন্য আমি এবং আমার প্রতিষ্ঠান সর্বদা আছে ও থাকতে চাই। যেকোনো ধরনের সহযোগিতা করে যাবো কুনাউয়ের জন্য। কুনাউকে কুষ্টিয়ার একটি বড় অনলাইন প্লাটফর্ম করতে চাই। ইনশাআল্লাহ কুনাউ ও আমরা বড় হবো এটা আমাদের সকলের স্বপ্ন। নতুনদের জন্য সর্বদা আছি ও থাকবো। তাদের যে কোন প্রকার সমস্যা সমাধান করা, উপদেশ দেওয়া, তাদের ব্যবসার জন্য নতুন নতুন আইডিয়া শেয়ার করা, ব্যবসার সঠিক মডেল তৈরি করনে সহযোগিতা করা। নতুনদের বলবো আপনি আপনার প্রতিষ্ঠানকে কবে কোথায় দেখতে চান সেটার একটা চার্ট করে ফেলুন ঝটপট। আমরা কুনাউয়ের সকল মেম্বারদের পাশে আছি।
এই পরিবারের একজন সদস্য আঁখি বলেন, কুনাউ এর মাধ্যমে মানুষ একে অপরকে চিনছে, অনলাইন বিজনেসের প্রতি বিশ্বাস আস্থা এসেছে।
এই পরিবারের অপর এক সদস্য কাকন ঐশী বলেন, এখান থেকে কি পেয়েছি এর লিস্টে সবার উপরে আছে আমার প্রাণের শহর কুষ্টিয়ার অসংখ্য নতুন, পুরাতন উদ্যোক্তাদের সাথে পরিচিত হতে পেরেছি। কুষ্টিয়াতে এখনও অনলাইন বিজনেস তেমন একটা প্রসার লাভ করে নাই কিন্তু এখান থেকে সবাই নিজ নিজ স্থান থেকে চেষ্টা করছে এগিয়ে নেওয়ার। অনলাইন কেনাকাটার ক্ষেত্রে আস্থা বাড়ছে কারণ এখানে বিক্রেতাকে আগে চেনা জানার পর গ্রাহক তার থেকে পণ্য নিচ্ছে। কুষ্টিয়ার সব উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ীরা এখানে আছে এর থেকে বড় পাওয়া আর কি হতে পারে।
কুনাউ পরিবারের অন্যতম একজন সদস্য মরিয়ম ইয়াসমিনের সাথে কথা বললে তিনি দৈনিক অধিকারকে বলেন, এডমিনগণ এই গ্রুপ টি খোলার মাধ্যমে আমাদের সকল মেম্বারদের কে এমন একটি প্লাটফর্ম দিয়েছে যেখানে আমরা আমাদের কাজ কে সুন্দর করে তুলে ধরতে পারি এবং সেটার মাধ্যমে আমাদের পরিচিতি বাড়াতে পারি, একজন বিক্রেতা যেমন এখানে এসে অনেক ক্রেতা পাচ্ছে তেমন ই ক্রেতা ও অনেক কিছুর মধ্যে থেকে বাছাই করে জিনিস ক্রয় করার সুবিধা পাচ্ছে। এই গ্রুপ এর মাধ্যমে প্রতিনিয়ত আমরা সবার থেকে নতুন এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানতে পারছি। আশা করি আমরা সকলে ভবিষ্যতেও এভাবেই ভালোবাসা ও সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণের মাধ্যমে এই গ্রুপটাকে সামনের দিকে অগ্রসর হতে সহযোগিতা করবো।
এমন আরও অনেক কুনাউ সদস্যদের সাথে কথা বলে জানা যায়, কম হোক আর বেশি হোক সবাই এই গ্রুপ থেকে অনেক উপকারিতা পেয়েছে। বড় বড় উদ্যোক্তা যারা পৃথিবীতে সফল হয়েছেন তাদের দিকে দৃষ্টি দিলে আমরা দেখতে পাই তারা মানুষের সমস্যাকে নিজের সমস্যা হিসেবে দেখেছেন। তাদের সমস্যা সমাধান করতে গিয়ে মানুষের উপকারের কথা চিন্তা করেছেন, কিভাবে সমস্যার সমাধান করা যায়। সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে কতো মানুষ উপকৃত হয় তা নিয়ে ভেবেছেন। এভাবে উদ্যোক্তারা অন্যের প্রয়োজন মেটাতে এগিয়ে এসেছেন।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড