• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৭ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

শৈত্যপ্রবাহে বোরো ধানের বীজতলা নিয়ে আতঙ্কে নওগাঁর কৃষক

  কাজী কামাল হোসেন, নওগাঁ

২৩ জানুয়ারি ২০২০, ১৬:১৫
বোরো ধান
ঘন কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহে নষ্ট হচ্ছে বোরো ধানের বীজতলা (ছবি : দৈনিক অধিকার)

নওগাঁয় ঘন কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহে নষ্ট হচ্ছে বোরো ধানের বীজতলা। বীজতলা রক্ষায় পানি, কীটনাশক ও পলিথিন ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা।

গত দুই দিনে জেলার মান্দা, মহাদেবপুর, সাপাহার, পত্নীতলা, বদলগাছী, রানীনগর ও নওগাঁ সদর উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, কৃষি বিভাগের পরামর্শে বীজতলা রক্ষায় পানি এবং বিভিন্ন কোম্পানির কীটনাশক ছেটাচ্ছেন কৃষকেরা।

কেউ কেউ ঘন কুয়াশার হাত থেকে বীজতলা বাঁচাতে পলিথিন দিয়ে আবার কেউ কলা গাছের পাতা দিয়ে বীজতলা ঢেকে রাখছেন। ইতোমধ্যে যাঁদের বীজতলা নষ্ট হয়েছে, তাঁরা নতুন করে বীজতলা তৈরির চেষ্টা করছেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এবারে নওগাঁ জেলায় প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। উপজেলা ভিত্তিক বীজতলার পরিমাণ নওগাঁ সদরে এক হাজার ২০ হেক্টর, মান্দায় এক হাজার ৪০ হেক্টর, মহাদেবপুরে এক হাজার ৮৩০ হেক্টর, নিয়ামতপুরে এক হাজার ৫০ হেক্টর, সাপাহারে ৩১৫ হেক্টর, পোরশায় ৪৮০ হেক্টর, পত্নীতলায় ৯৮০ হেক্টর, ধামুইরহাটে ৮৮৫ হেক্টর, বদলগাছিতে ৬৯০ হেক্টর, আত্রাইয়ে এক হাজার ৪৫ হেক্টর এবং রানীনগরে ৯১০ হেক্টর নির্ধারণ করা হয়েছে।

পত্নীতলা উপজেলার গগনপুর ইউনিয়নের জামগ্রামের কৃষক নুরুজ্জামান জানান, এ বছর দুই একর জমিতে বোরো চাষের জন্য তিনি ২৫ শতাংশ জমিতে বীজতলা তৈরি করেছেন। কিন্তু ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতের প্রকোপে ইতোমধ্যে বীজতলার আংশিক চারা নষ্ট হয়ে গেছে।

নওগাঁ সদরের শিকারপুর ইউনিয়নের সরাইল গ্রামের কৃষক আব্দুস সালাম বলেন, শৈত্যপ্রবাহ ও ঘন কুয়াশার কারণে আমার এক বিঘা বীজতলার আংশিক পচে যাওয়ায় গত সপ্তাহে আরও ১০ কাঠা জমিতে নতুন করে বীজতলা তৈরি করেছি।

আরও পড়ুন : পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষের ঘর পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ

নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে উপপরিচালক পরিচালক কৃষিবিদ মো. সিরাজুল ইসলাম দৈনিক অধিকারকে জানান, ঘন কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহের মতো বৈরী আবহাওয়ার হাত থেকে বীজতলা রক্ষায় কৃষকদের আগেই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বীজতলা রক্ষায় পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখা, আক্রান্ত বীজতলা পানি দিয়ে কিছুক্ষণ ডুবিয়ে রাখা এবং প্রয়োজনে চারার মধ্যে জমে থাকা শিশির শক্ত কিছু দিয়ে ফেলে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

তিনি বলেন, যেসব কৃষক আগেই বীজতলা তৈরি করেছেন ওই সব চারার কিছুটা সমস্যা হতে পারে। তবে যারা দেরিতে বীজতলা তৈরি করছেন তাদের সমস্যা কিছুটা কম হবে। সব মিলিয়ে বোরো ধান চাষে নওগাঁয় খুব বেশি প্রভাব পড়বে না কারণ এবারে কৃষকেরা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি বীজতলা তৈরি করেছেন।

ওডি/এএসএল

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড