• মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৪ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

সামাজিক বাধাকে অতিক্রম করে তারা এখন স্বাধীন

  গাইবান্ধা প্রতিনিধি

১৮ নভেম্বর ২০১৯, ১৫:৪১
গাইবান্ধা
সাইকেল নিয়ে স্কুলে আসা ছাত্রীরা (ছবি : দৈনিক অধিকার)

সকাল ৯টা বাজতেই এক এক করে আবার কখনো দল বেঁধে রোদে পুড়ে, কখনো বা বৃষ্টিতে ভিজে কালো কুয়াশা ভেদ করে প্রত্যন্ত অঞ্চলের এই মেয়েরা বাইসাইকেল চালিয়ে বিদ্যালয়ে আসতে শুরু করে। শিক্ষার আলোয় আলোকিত হতে সামাজিক সকল বাধা অতিক্রম করে তারা এখন নিয়মিত স্কুলে আসে। গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার তালুকজামিরাসহ বেশ কয়টি গ্রামের মেয়েরা বাইসাইকেল চালিয়ে স্কুলে যাওয়া আসা করে।

১৯৬৭ সালে তালুকজামিরা দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়টি ৫শ শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করলেও বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১২শ। যার মধ্যে বেশির ভাগই ছাত্রী। শিক্ষক রয়েছেন ২২ জন। এর মধ্যে খণ্ডকালীন শিক্ষক একজন।

উপজেলার হরিনাথপুর ইউনিয়নের তালুকজামিরা দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্লাস শুরু হওয়ার আগে কিংবা শেষ হলে এমন মনোরম দৃশ্য সকলের চোখে পড়ার মতো। শুধুমাত্র শিক্ষার আলো পেতে প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ কিলোমিটার দূর থেকে সাইকেলে যাতায়াত করে শিক্ষার্থীরা।বিশেষ করে সদর উপজেলার বাদিয়াখালী, পলাশবাড়ীর কুমোদপুর, তালুক ঘোড়াবান্ধা, হরিনাবাড়ি, চৌরাস্তা, চশবরুল, মরাদাতিয়া, মোহম্মদপুরসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে মেয়েরা বাইসাইকেল চালিয়ে স্কুল আসে।

আয়েশা আক্তার নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, আমার বাড়ি স্কুল থেকে সাত কিলোমিটার দূরে। প্রতিদিন বাইসাইকেল চালিয়ে স্কুলে যাতায়াত করতে হয়। প্রথম প্রথম সমস্যা হতো, কিন্তু এখন কোনো সমস্যা হয় না।

দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী জুই আক্তার বলেন, আগে পায়ে হেঁটে স্কুলে আসতে অনেক সময় লাগত। তাই নিয়মিত স্কুলে আসা হতো না। এখন বাইসাইকেল নিয়ে আসার কারণে অনেক সময় বেচে যায়। রাস্তাঘাটে ছেলেরা ইভটিজিং করার সাহস পায় না।

সাইকেল নিয়ে স্কুলে যাচ্ছে ছাত্রীরা (ছবি : দৈনিক অধিকার)

অভিভাবকরা সাইকেল চালানোর ব্যাপারটা এখন ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। তারা মনে করেন এতে করে নারী শিক্ষার প্রসারের পাশাপাশি সামাজিক বন্ধন সৃষ্টি হচ্ছে।

সহকারী শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, আগে সাইকেল চালানোর ব্যাপারটা সমাজে সহজ ছিল না। এখন একে অপরের দেখা-দেখি সাইকেল চালিয়ে আসে। এতে স্কুলে মেয়েদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি রাস্তাঘাটে ইভটিজিং কমে গেছে।

পলাশবাড়ী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মুহাম্মদ মাহতাব হোসেন দৈনিক অধিকারকে বলেন, মেয়েদের সাইকেল চালিয়ে বিদ্যালয়ে আসা একটা ভালো দিক। এটি এই উপজেলাসহ সারা দেশের জন্য একটি মডেল হতে পারে বলে তিনি মনে করেন।

ওডি/এমবি

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড