• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৯ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

মুজিববর্ষে দেশে প্রথমবার হবে মৃতের কিডনি প্রতিস্থাপন

  অধিকার ডেস্ক

২২ জানুয়ারি ২০২০, ১০:৩৯
মুজিববর্ষ
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া (ছবি- সংগৃহীত)

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে মুজিববর্ষে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ‘ক্লিনিক্যালি ডেড’ অর্থাৎ মৃত ব্যক্তির কিডনি নিয়ে প্রতিস্থাপন করা হবে।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবে সোসাইটি অব অর্গান ট্রান্সপ্লান্টেশন, ‘মরণোত্তর দেহদান ও সংযোজন’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘আশা করি আমরা দেশে শিগগিরই মরণোত্তর অঙ্গ প্রতিস্থাপন অস্ত্রোপচার করতে পারব। এটা অবশ্যই মুজিব বর্ষে হবে এবং এমনকি মুজিব বর্ষ শুরুর আগেই তা করতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাব।’

ডা. কনক কান্তি তার বক্তব্যে আরও জানান, এখন পর্যন্ত রাজধানীসহ সারাদেশের কিডনি সার্জন ও চিকিৎসকরা সফলভাবে প্রায় ২ হাজার কিডনি প্রতিস্থাপন করেছেন। তার মধ্যে বিএসএমএমইউতে ৫৫৭টি কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।

এ সময়, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা মরণোত্তর কিডনি প্রতিস্থাপন করতে পুরোপুরি প্রস্তুত আছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য রাখেন কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতাল ও গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং সোসাইটি অব অর্গান ট্রান্সপ্লান্টেশনের প্রতিষ্ঠাতা ডা. হারুন আর রশিদ।

তিনি বলেন, প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী ২ কোটি মানুষ কিডনি রোগে আক্রান্ত হন এবং তাদের মধ্যে ৪০ হাজারের কিডনি পুরোপুরি কার্যক্ষমতা হারায়। কিন্তু মাত্র ২০ শতাংশ মানুষ কিডনি রোগের চিকিৎসা পায় এবং বাকিরা এর বাইরে থেকে যায়।

ডা. রশিদ জানান, উন্নত বিশ্বে ৬০ ভাগের বেশি মানুষ মরণোত্তর কিডনি প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে জীবনের নতুন অধ্যায় পাচ্ছেন। বাংলাদেশে ১৯৮২ সাল থেকে কিডনি সংযোজন ও ডায়ালাইসিস সেবা চালু থাকলেও অপর্যাপ্ত জীবিত দাতার অভাবে রোগীরা কিডনি পাচ্ছেন না।

আরও পড়ুন- ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে হবে মুজিববর্ষ উদ্বোধন

কিডনি দাতাদের ওপর করা পরিসংখ্যানের ফল তুলে ধরে তিনি বলেন, ৩০৬ জন কিডনি দাতার ওপর পরিচালিত জরিপে দেখা যায়, তাদের মধ্যে ৬০ শতাংশ রোগীর মা, ৩৪ শতাংশ রোগীর ভাই বা বোন, ২ দশমিক ৬ শতাংশ স্বামী বা স্ত্রী এবং ২ দশমিক ৪ শতাংশ অন্য আত্মীয়।

উল্লেখ্য, মস্তিষ্কের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যাওয়া অর্থাৎ ‘ব্রেন ডেথ’ ব্যক্তির অঙ্গ সংগ্রহ করে কোনো রোগীকে দেয়ার প্রক্রিয়াকে মরণোত্তর অঙ্গ প্রতিস্থাপন বলে।

ওডি/এনএম

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড