• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৫ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

দেশজুড়ে মুজিববর্ষের ক্ষণগণনা

  নিজস্ব প্রতিবেদক

১০ জানুয়ারি ২০২০, ২২:৪৫
মুজিববর্ষের ক্ষণগণনা
জমকালো আয়োজনে সারা দেশে মুজিববর্ষের ক্ষণগণনার উদ্বোধন করা হয়েছে (ছবি : দৈনিক অধিকার)

করাচির কারাগার থেকে মুক্তির পর ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে পূর্ণতা পায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা। ওই দিন লন্ডন থেকে দিল্লি হয়ে তেজগাঁওয়ের পুরাতন বিমানবন্দরে অবতরণ করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

ঐতিহাসিক সেই স্থান থেকেই আজ দেশের এই মহানায়কের জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণগণনা শুরু হলো। এরই ধারাবাহিকতায় জন্মশতবার্ষিকী পালনের অপেক্ষয় পুরো জাতি। তাইতো দেশব্যাপী জমকালো আয়োজনে উদ্বোধন হয়েছে স্বাধীনতার স্থপতির জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণগণনা। দৈনিক অধিকারের জেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যের ভিত্তিতে এ নিয়ে ডেস্ক রিপোর্ট-

গোপালগঞ্জ

সারা দেশের মতো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মস্থান গোপালগঞ্জও আনুষ্ঠানিকভাবে তার জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণগণনা শুরু হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় জেলার পৃথক তিনটি স্থানে ক্ষণগণনার ডিভাইসের উদ্বোধন করা হয়েছে।

শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে একযোগে এসব ক্ষণগণনা ডিভাইসের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা। টুঙ্গিপাড়ার পাটগাতি বাসস্ট্যান্ড, শহরের প্রাণকেন্দ্র লঞ্চঘাট এলাকা এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরপ্রবি) জয়বাংলা চত্বরে এই ক্ষণগণনার ডিভাইসের উদ্বোধন করা হয়।

এ দিন জয়বাংলা চত্বরের ডিভাইসের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শাহজাহান। উদ্বোধনকালে জেলা আওয়ামী লীগসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে বিকাল ৩টা থেকে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপন উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রা সহকারে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, আওয়ামী লীগসহ এর অঙ্গ সংগঠন, বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও দেশপ্রেমী হাজার হাজার মানুষ ক্ষণগণনাস্থলে আসতে থাকেন। বিকাল ৪টার মধ্যে ক্ষণগণনাস্থল জনসমুদ্রে পরিণত হয়। পরে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক দলের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মুখরিত হয় ক্ষণগণনাস্থল।

রাজবাড়ী

দেশের অন্যান্য জেলার মতো জমকালো আয়োজনে রাজবাড়ীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণগণনার উদ্বোধন করা হয়েছে। পাশাপাশি মুজিববর্ষের ক্ষণগণনার উদ্বোধন উপলক্ষে এ দিন বিকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

পরে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষণগণনার উদ্বোধনের পর জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগমসহ অতিথিরা ক্ষণগণনার স্থান পরিদর্শন করেন। এ সময় পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমানসহ জেলা পর্যায়ের সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া একই দিন সন্ধ্যায় শহীদ খুশি রেলওয়ে ময়দানে ক্ষণগণনার উদ্বোধনের আনন্দে আতশবাজি ফাটানো হয়।

ফরিদপুর

সারা দেশের সঙ্গে একযোগে ফরিদপুরে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস থেকে মুজিববর্ষের ক্ষণগণনা শুরু হয়েছে। উৎসবমুখর পরিবেশে এ দিন নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ক্ষণগণনার উদ্বোধন করা হয়।

ক্ষণগণনার উদ্বোধন উপলক্ষে শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের অংশগ্রহণে একটি বাইসাইকেল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। এতে জেলার কিশোর-কিশোরী, তরুণ-বৃদ্ধসহ তিন শতাধিক ব্যক্তি অংশ নেন। ফরিদপুর শেখ জামাল স্টেডিয়াম থেকে শুরু হয়ে শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এসে শেষ হয়।

একই দিন ক্ষণগণনার উদ্বোধন উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধা, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সুধীজন, সরকারি ও বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে অপর একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়।

এর আগে সকাল ৯টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনসহ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। পরে দুপুর আড়াইটা থেকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে মুজিববর্ষ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বিকাল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত ঢাকার জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য ও মুজিববর্ষের ক্ষণগণনার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।

চাঁদপুর

সুবিশাল আনন্দ র‌্যালির মধ্য দিয়ে সারা দেশের মতো চাঁদপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণগণনার উদ্বোধন করা হয়েছে। প্রায় ১০ সহস্রাধিক মানুষ এই আনন্দ র‌্যালিতে অংশগ্রহণ করে।

এ দিন বিকালে আয়োজিত এই র‌্যালিটি জেলা স্টেডিয়ামের সামনে থেকে শুরু হয়ে স্টেডিয়াম রোড, মিশন রোড ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সড়ক হয়ে শহরের অঙ্গীকার ভাস্কর্যের পাদদেশে গিয়ে শেষ হয়।

র‌্যালিতে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান। এ সময় পুলিশ সুপার মো. মাহবুবুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ আবু নাঈম পাটওয়ারি দুলাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

চট্টগ্রাম

সারা দেশের সঙ্গে একযোগে জমকালো আয়োজনে চট্টগ্রামে মুজিববর্ষের ক্ষণগণনার উদ্বোধন করা হয়েছে। এ দিন বিকাল ৪টার দিকে আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) সাইদুজ্জামান চৌধুরীর সভাপতিত্বে আনোয়ারা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মুজিববর্ষের ক্ষণগণনার উদ্বোধন করা হয়।

এর আগে বিকাল ৩টায় উপজেলার চাতরী চৌমুহনী এলাকার আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু চত্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণগণনার কাউন্ট-ডাউন বক্লযন্ত্র স্থাপন করা হয়। পাশাপাশি বিকাল ৫টার দিকে ভিডিওচিত্রের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষণগণনার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হয়।

বরিশাল

মুজিববর্ষ পালন উপলক্ষে সারা দেশের মতো বরিশালে জমকালো আয়োজনে ক্ষণগণনার ডিজিটাল ডিভাইসের উদ্বোধন করা হয়েছে। এ দিন বিকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ক্ষণগণনা যন্ত্রের কাউন্ট-ডাউন ডিভাইসের উদ্বোধন করেন। এ সময় নগরীর গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ সাধারণ মানুষ ক্ষণগণনার উদ্বোধনী কার্যক্রম অবলোকন করেন।

ক্ষণগণনার উদ্বোধনকালে বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ, নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম জাহাঙ্গীর, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুস, বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী, ডিআইজি মো. শফিকুল ইসলাম, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান, র‌্যাব-৮-এর সিইও আতিক ইসলাম, জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণগণনার জন্য নগর ভবনের সম্মুখে ডিজিটাল ডিভাইসের স্থাপন করা হয়। এছাড়া সন্ধ্যার পর বিসিসির উদ্যোগে লেজার শো, আতশবাজি প্রদর্শনসহ নৃত্যানুষ্ঠান ও কনসার্টের আয়োজন করা হয়।

রাঙ্গামাটি

সারা দেশের ন্যায় পাহাড়ি জনপদ রাঙ্গামাটিতেও বর্ণাঢ্য আয়োজনে মুজিববর্ষের ক্ষণগণণার উদ্বোধন করা হয়েছে।

শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) বিকালে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে ক্ষণগণনার উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার। এ সময় জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদ, পুলিশ সুপার মো. আলমগীর কবীর, রাঙ্গামাটি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসার মো. মইন উদ্দিন, মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরীসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, স্কুল-কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। পরে আতশবাজি ফাটিয়ে স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।

এ দিন জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুজিববর্ষের ক্ষণগণনার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।

কক্সবাজার

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণগণনার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপলক্ষে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের বালিয়াড়িতে বসেছিল জনতার মিলন মেলা। শুক্রবার সকাল থেকে রং-বেরঙের ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে ছাত্র-জনতা, পেশাজীবী, দলীয় নেতাকর্মীসহ লাখো জনতার উপস্থিতি এ দিন জমকালো করে তুলেছিল ক্ষণগণনার অনুষ্ঠানকে।

জেলা প্রশাসক কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে এবং জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহজান আলীর সঞ্চালনায় ক্ষণগণনার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন- বিভাগীয় কমিশনার আব্দুল মান্নান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর শিরীণ আখতার, সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল, সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ কানিজ ফাতেমা মোস্তাক, কউক চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) ফোরকান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ চৌধুরী প্রমুখ।

এ দিন বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পরবর্তী ভাষণ বড় পর্দায় সম্প্রচার করা হয়ে। একই সঙ্গে সৈকতের আকাশে ১০০ বেলুন ও ১০০ পায়রা উড়িয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষণগণনার শুভ সূচনা করা হয়।

চুয়াডাঙ্গা

দেশের অন্যান্য জেলার মতো চুয়াডাঙ্গাতেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণগণনার উদ্বোধন করা হয়েছে।

এ দিন বিকালে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন চত্বরে ক্ষণগণনার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার। এ সময় চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটনসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও সরকারি দপ্তরের অংশগ্রহণে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় জেলা প্রশাসন চত্বরে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেচ্ছা মুজিবের ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। সবশেষে মুজিববর্ষের ক্ষণগণণা যন্ত্রের ফলক উন্মোচন করা হয়।

পাবনা

সারা দেশের মতো পাবনাতেও মুজিববর্ষের ক্ষণগণনার উদ্বোধন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এ দিন বিকাল ৫টার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘মুজিববর্ষ ক্ষণগণনা’ যন্ত্রের উদ্বোধন করা হয়।

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে আয়োজিত এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ, পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) শাহেদ পারভেজ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোখলেছুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জাহিদ নেওয়াজ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়নাল আবেদিনসহ বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, মুক্তিযোদ্ধা ও সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সাতক্ষীরা

দেশের অন্যান্য জেলার মতো সাতক্ষীরাতেও বর্ণাঢ্য আয়োজনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণগণনার উদ্বোধন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে দুপুরে ঢাক-ঢোল বাজিয়ে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকরে কার্যালয় থেকে ব্যানার-ফেস্টুনসজ্জিত একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়।

জেলা প্রশাসন আয়োজিত এই র‌্যালিতে সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আহমেদ, সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল, পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সাতক্ষীরা শহর প্রদক্ষিণ শেষে র‌্যালিটি শহীদ আবদুর রাজ্জাক পার্কে আয়োজিত মুজিববর্ষের ক্ষণগণনা ঘড়িকে ঘিরে এক অনুষ্ঠানমালায় মিলিত হয়। পরে সেখানে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণসহ শুদ্ধস্বরে সহস্র কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশিত হয়।

এর আগে সকালে মুজিববর্ষের ক্ষণগণনা উপলক্ষে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিং করেন জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল।

জামালপুর

বর্ণাঢ্য নানা আয়োজনে সারা দেশের মতো জামালপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণগণনার উদ্বোধন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে শুক্রবার বিকালে একটি আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়।

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে ক্ষণগণনা উপলক্ষে শহরের বকুলতলা চত্বর থেকে এই আনন্দ শোভাযাত্রার আয়োজন করে জেলা প্রশাসন। পরে শোভাযাত্রাটি জেলা প্রশাসক মো. এনামুল হকের নেতৃত্বে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে দয়াময়ী মোড় এলাকায় গিয়ে শেষ হয়।

এতে পুলিশ সুপার দেলোয়ার হোসেন, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহসহ বিভিন্ন রাজনীতিবিদ, সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করে।

রাজশাহী

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীকে সামনে রেখে বর্ণাঢ্য আয়োজনে সারা দেশের মতো রাজশাহীতে মুজিববর্ষের ক্ষণগণনার উদ্বোধন করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঢাকার তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দরে অবস্থিত জাতীয় প্যারেড স্কয়ার থেকে সারা দেশে একযোগে ৮৭টি স্থানে ক্ষণগণনার উদ্বোধন করা হয়। এর মধ্যে রাজশাহী নগরীতে দুইটি এবং জেলার নয়টি উপজেলাসহ মোট ১১টি স্থানে ক্ষণগণনা কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।

আরও পড়ুন : দেশজুড়ে জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত

ক্ষণগণনা কার্যক্রমের উদ্বোধন উপলক্ষে রাজশাহী নগর ভবন ও সাহেব বাজার বড় মসজিদ চত্বরে দুইটি ক্ষণগণনা যন্ত্র স্থাপন করা হয়েছে। এ দিন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষণগণনার অনুষ্ঠানের উদ্বোধন বড় পর্দায় সরাসরি সম্প্রচারের আয়োজন করা হয়। পাশাপাশি নগর ভবনে সাতটি বড় পর্দায় প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হয়।

ওডি/আইএইচএন

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড