২৪ ঘণ্টাই গ্রাহকের অভিযোগ নেবে বিটিআরসি

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) শর্টকোড ১০০ তে ২৪ ঘণ্টাই গ্রাহকের অভিযোগ গ্রহণ করার ব্যবস্থা চালু করতে যাচ্ছে।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের নির্দেশনায় গ্রাহক সেবার এই সময় বৃদ্ধি করা হচ্ছে। ফলে টেলিকম সেবা সংক্রান্ত অভিযোগ জানানোর পরিসর আরও বড় হচ্ছে।

বর্তমানে কেবল অফিস চলাকালীন এই ১০০ নম্বরে ডায়াল করে অভিযোগ দেওয়া যায়।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার জানান, এতে গ্রাহক নিজের মতো সময়ে যখনই কোনো সমস্যায় পড়বে, তখনই অভিযোগ জানাতে পারবে। এছাড়া বিটিআরসি আরও বেশি অভিযোগ নিতে পারবে, যা টেলিকমে ভালো গ্রাহক সেবায় ভূমিকা রাখবে।

এখন অফিস চলাকালে বিটিআরসি যেভাবে সেবা দেয়, তাতে বছরে খরচ তাদের হচ্ছে মাত্র আট লাখ টাকা। তবে ২৪ ঘণ্টার জন্যে সেবাটি চালু করতে হলে ২২ লাখ টাকা খরচ হবে।

নিয়ন্ত্রণ সংস্থাটি ইম্পেল সার্ভিস অ্যান্ড সলিউশন লিমিটেড বা আইএসএসএল নামের একটি কোম্পানির কাছ থেকে এই অভিযোগ গ্রহণের সেবা নিয়ে আসছে। কোম্পানিটি একেকটি সিটে প্রতি ঘণ্টার জন্যে ৭৮ টাকা চার্জ করে।

এখন থেকে বিটিআরসি প্রতিদিন ১০টি করে সিট নেবে, যেখানে সকালে চারটি, বিকালে চারটি এবং রাতে দুটি সিট থাকবে। ফলে যে কোনো সময় যে কোনো সমস্যায় গ্রাহকরা বিটিআরসির কাছে ১০০ নম্বরে ফোন করে অভিযোগ জানাতে পারবেন।

২০১৮ সালের মে হতে ২০১৯ সালের এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোর বিভিন্ন সেবা নিয়ে বিটিআরসি ৭ হাজার ৯০৮টি অভিযোগ পেয়েছে।

অভিযোগের মধ্যে সিম বার, কোয়ালিটি অব সার্ভিস, নেটওয়ার্ক ইস্যু, রিচার্জ বা বিলিং, ট্যারিফ রেট, এসএমস, ডেটার গতি, ডেটা ভলিউম ব্যবহার মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস, প্রতারণামূলক কার্যক্রম, কলড্রপ, প্যাকেজ মাইগ্রেশন, কুইজ বা প্রাইজ বা অ্যাওয়ার্ড, সোশ্যাল মিডিয়া ও সাইবার সম্পর্কিতসহ বেশ কিছু বিষয় রয়েছে।

এখানে গ্রামীণফোনের বিরুদ্ধে ২ হাজার ৪১৩টি, রবি ও এয়ারটেলের বিরুদ্ধে ৩ হাজার ৪২৭, বাংলালিংকের বিরুদ্ধে ১ হাজার ১৫৭ এবং টেলিটকের বিরুদ্ধে ৯১১টি অভিযোগ ছিল। অভিযোগের মধ্যে বেশিরভাগই সিম বার সম্পর্কিত অভিযোগ।

এসব অভিযোগের বেশিরভাগই বিটিআরসি সমাধান করেছে। এই সময়ে মাত্র ৫১৮টি অভিযোগ সমাধান হয়নি বা সমাধানের অপেক্ষায় রাখা হয়েছিল।

ওডি/টিএফ