তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন-বিটিআরসিকে এখন থেকেই ফাইভজি প্রযুক্তির জন্য পুরোদমে প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। সম্প্রতি টেলিযোগাযোগ বিভাগে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে ফাইভজির প্রস্তুতি নিতে বিটিআরসিকে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
এ সময় বৈঠকে জয় বলেন, দেশে কোন স্পেকট্রাম ব্যান্ডে ফাইভজি দেওয়া হবে তা নির্ধারণে বিটিআরসিকে এখনই কাজ শুরু করতে হবে। এছাড়া ফাইভজির ইকোসিস্টেম তৈরির জন্য পরিকল্পনা ও করণীয়গুলো দ্রুতই ঠিক করতে বলেন তিনি।
বৈঠকে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- টেলিযোগাযোগ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস, বিটিআরসির চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হকসহ বিভাগ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরের শীর্ষ পর্যায়ের প্রতিনিধিরা।
সম্প্রতি মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে মোবাইল যোগাযোগ শিল্পের বৈশ্বিক সংগঠন জিএসএমএর সঙ্গে বাংলাদেশি প্রতিনিধি দলের বৈঠকে ফাইভজি বাস্তবায়নে করণীয় নিয়ে বাংলাদেশকে পরিকল্পনা দেওয়ার কথা জানায়।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার জিএসএমএর এশিয়ার প্যাসিফিক শীর্ষস্থানীয়দের সঙ্গে ফেব্রুয়ারিতে ওই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বাংলাদেশের দলে নেতৃত্ব দেন। বিটিআরসির চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হকও এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ ফাইভজি পরীক্ষাকারী বিশ্বের প্রথম কয়েকটি দেশের মধ্যে একটি।
প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ২০১৮ সালের জুলাইয়ে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে বাংলাদেশ ফাইভ জি সামিটে ওই পরীক্ষার উদ্বোধন করেছিলেন। সেখানে দেশে ফাইভজি প্রযুক্তির পরীক্ষায় গতি উঠেছিল ৪ দশমিক ১৭ জিবিপিএস।
ইতোমধ্যে সরকার ২০২১ হতে ২০২৩ এর মধ্যে দেশে ফাইভজি চালু করার কথা ঘোষণা দিয়েছে। এজন্য প্রযুক্তিগত সক্ষমতা তৈরি, কৌশলগত পরিকল্পনায় দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সমন্বয়ে জোর দেওয়া হচ্ছে।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড