অধিকার ডেস্ক ২৬ মার্চ ২০১৯, ১৫:৩৩
মোবাইল অপারেটরদের বৈশ্বিক সংগঠন ‘জিএসএমএ’র স্বীকৃতি পেল বাংলাদেশের অন্যতম মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন। সংগঠনটি দক্ষিণ এশিয়ায় এনবি-আইওটি নেটওয়ার্ক সুবিধা চালু করার স্বীকৃতি প্রদান করে।
ফলে বাংলাদেশের প্রথম টেলিকম অপারেটর হিসেবে গ্রামীনফোন এ স্বীকৃতি অর্জন করেছে। আইওটির বিশ্ব মানচিত্রে এই স্বীকৃতি একই সঙ্গে বাংলাদেশ ও গ্রামীণফোনকে জায়গা করে দিয়েছে।
গ্রামীণফোনের এক্সটার্নাল কমিউনিকেশন্সের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মুহাম্মদ হাসান সোমবার (২৫ মার্চ) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ন্যারো ব্যান্ড ইন্টারনেট অব থিংস (এনবি-আইওটি) এক ধরনের অত্যাধুনিক যোগাযোগ প্রযুক্তি, যা প্রতিদিন ওয়েস্ট বিন ও পাওয়ার মিটারের মতো কোটি মানুষের জন্য যোগাযোগে সংযোগ নিশ্চিত করে। এই প্রযুক্তি অনেক বেশি জ্বালানি সাশ্রয়ী। নিয়মিত ফোরজি যোগাযোগে যে ব্যান্ডউইথ প্রয়োজন হয়, এনবি-আইওটি প্রযুক্তি ব্যবহার করলে তা অনেক সাশ্রয়ী হবে।
এদিকে, গ্রামীণফোন বিদ্যমান ফোরজি নেটওয়ার্কের সঙ্গে এনবি-আইওটির সক্ষমতা বৃহৎ পরিসরে আইওটি যোগাযোগের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে। ফলে এখন থেকে প্রতিষ্ঠান, ইউটিলিটি ও মিউনিসিপ্যালিটিকে আইওটি যোগাযোগে আলাদা নেটওয়ার্ক তৈরি ও চালানোর প্রয়োজন হবে না। এর পরিবর্তে তারা গ্রামীণফোনের উন্নতমানের আইওটি নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে পারবে। স্মার্ট ইলেকট্রিসিটি/গ্যাস/ওয়াটার ইটারিং, সিটি লাইটিং, সিটি পার্কিং, যানবাহনে এই নেটওয়ার্ক যুক্ত করে বিভিন্ন শিল্পখাতে অটোমেশন সমাধান করা যাবে।
এই সেবার উন্মোচনকালে গ্রামীণফোনের ডেপুটি সিইও ও সিএমও ইয়াসির আজমান বলেন, গ্রামীণফোন সবসময়ই অত্যাধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। এনবি-আইওটি নেটওয়ার্ক নিয়ে আসার ক্ষেত্রে এশিয়ার অপারেটরদের মধ্যে অন্যতম হতে পেরে আমরা অত্যন্ত গর্বিত। আইওটি ও এআই একসঙ্গে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সমৃদ্ধি এবং কার্যদক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।
একইসাথে ফাইভজি প্রযুক্তির সঙ্গে আইওটির সমন্বয় দেশের প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলেও জানান তিনি।
ওডি/টিএফ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড