• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৩ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

নিরাপত্তাজনিত কারণ দর্শিয়ে হুয়াওয়ের সঙ্গে প্যানাসনিকের ব্যবসা স্থগিত

  প্রযুক্তি ডেস্ক

২৩ মে ২০১৯, ১৬:০৭
প্যানাসনিক
ছবি : সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রে হুয়াওয়েকে কালো তালিকাভুক্ত করার পর নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে জাপানের ইলেকট্রনিক কোম্পানি প্যানাসনিক হুয়াওয়ের সাথে সব ধরনের ব্যবসা স্থগিত করেছে। বৃহস্পতিবার (২৩ মে) প্রতিষ্ঠানটি এক বিবৃতিতে এমনই জানিয়েছে।

শুধু তাই নয়, একই কারণ দেখিয়ে জাপানের তোশিবা কোম্পানিও হুয়াওয়েতে তাদের চালান সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে।

হুয়াওয়ের নতুন স্মার্টফোন আনতে বিলম্ব হতে পারে, এমন ঘোষণার পরেই জাপান থেকে এ পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা এলো। এই সিদ্ধান্তের ফলে বিশ্বের দ্বিতীয় প্রধান স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ের ওপর অনেক চাপ সৃষ্টি হতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্র হুয়াওয়েকে ‘কালো তালিকাভুক্ত’ করার কারণে হুয়াওয়ে দেশটিতে লাইসেন্স ব্যতীত কোনো পণ্য কেনাবেচা করার সুযোগ পাবে না। নিষেধাজ্ঞা অনুযায়ী, যেসব কোম্পানি যুক্তরাষ্ট্রের ২৫ শতাংশ পর্যন্ত পণ্য ব্যবহার করে, তারা মানতে বাধ্য।

প্যানাসনিকের মুখপাত্র জোয়ে ফ্লিন বলেন, ‘আমরা হুয়াওয়ে এবং এই গ্রুপের ৬৮টি কোম্পানির সাথে সকল ইলেক্ট্রনিক্স ব্যবসা বন্ধ করেছি। মার্কিন সরকার এই কোম্পানিগুলোকে নিষিদ্ধ করায় এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে’।

তিনি আরও বলেন, হুয়াওয়ের সাথে প্যানাসনিকের ‘ইলেক্ট্রনিক্স যন্ত্রাংশ’ সরবরাহের ব্যবসা রয়েছে। তবে তিনি এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানান নি।

এদিকে বুধবার চিপ ডিজাইনার কোম্পানি এআরএম জানায়, তাদের নকশায় যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। এজন্য তারা মার্কিন সরকারের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত ও এ সংক্রান্ত সব বিধি-নিষেধ মেনে চলবে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি হুয়াওয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

মূলত এআরএমের প্রযুক্তি ব্যবহার করে হুয়াওয়ের বেশির ভাগ চিপ নকশা করা হয়। ফলে এ নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকলে হুয়াওয়ে নিজস্ব চিপ তৈরি করতে বেকায়দায় পড়বে।

অন্যদিকে হুয়াওয়ে এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আমরা আমাদের অংশীদারদের সঙ্গে বিদ্যমান সুসম্পর্কের কদর করি।কিন্তু আমরা এটাও বুঝতে পারছি, তাদের মধ্যে কেউ কেউ রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের কারণে বর্তমানে বেশ চাপের মুখে রয়েছে। আমরা আত্মবিশ্বাসী যে, খুব শিগগিরই এই পরিস্থিতির নিরসন হবে। বিশ্বজুড়ে আমাদের গ্রাহকদের কাছে বিশ্বমানের প্রযুক্তিসম্পন্ন পণ্য পৌঁছে দেওয়াই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।’

এর আগে গত সোমবার মার্কিন টেক জায়ান্ট গুগল ঘোষণা দেয়, এখন থেকে হুয়াওয়ের অ্যান্ড্রয়েড অপারেট সিস্টেমে কিছু সেবার আর কোনো আপডেট ভার্সন দেবে না।এর ফলে নতুন হুয়াওয়ে স্মার্টফোনগুলোতে জিমেইল, ইউটিউব, গুগল ম্যাপসের মতো অ্যাপগুলো আর থাকবে না।

পরে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যমন্ত্রী উইলবার রস এক বিবৃতিতে জানান,হুয়াওয়ের ওপর নির্ভরশীল প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এ নিষেধাজ্ঞা তিন মাসের জন্য শিথিল করা হয়েছে।

এছাড়া হুয়াওয়ার সঙ্গে প্রসেসর সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান কোয়ালকম,ইন্টেল ব্রডকমও তার কর্মীদেরকে হুয়াওয়ের সঙ্গে সব লেনদেন স্থগিত রাখার ব্যাপারটি নোটিশের মাধ্যমে জানিয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত এই নিয়মের পরিবর্তন হবে না।

২০১৮ সালে হুয়াওয়ের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ আনে যুক্তরাষ্ট্র। টেলিকম নেটওয়ার্কে হুয়াওয়ের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা দেশগুলো এতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। তবে বরাবরই হুয়াওয়ে এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

প্রতিষ্ঠানটি বলছে, চীন সরকারের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই, তারা সরকারের চেয়ে স্বাধীন। দেশ জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্ন তুলে অনেকে ফাইভজি নেটওয়ার্ক থেকে এর যন্ত্রপাতি ব্যবহার বন্ধ করেছে।

তবে পশ্চিমা দেশগুলোর চীনের এই প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানটিকে ঘিরে সন্দেহ বাড়তে থাকে। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দারা হুয়াওয়ের ওপর কড়া নজর রাখছেন। শুধু তাই নয়, এর জের ধরে গত বছর কানাডায় হুয়াওয়ের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা (সিএফও) মেং ওয়ানঝু গ্রেফতার হন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড