প্রযুক্তি ডেস্ক
এখন থেকে চীনভিত্তিক স্মার্টফোন নির্মাণকারী ব্র্যান্ড হুয়াওয়ের কাছে অ্যান্ড্রয়েড সেবা না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন টেক-জায়ান্ট গুগল। ফলশ্রুতিতে হুয়াওয়ের নতুন মডেলের হ্যান্ডসেটগুলোতে ইউটিউব, জিমেইল, ক্রোম ব্রাউজার, গুগল ম্যাপের মতো জনপ্রিয় গুগল অ্যাপসগুলো আর থাকবে না। শুধু তাই নয়, তারা হুয়াওয়ের ডিভাইসগুলোতে কোনো ধরনের আপডেট ভার্সন ও দেবে না।
বিবিসি অনলাইন ও ডয়চে ভেলের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সাইবার গুপ্তচরবৃত্তির আশঙ্কায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত বুধবার দেশের বাইরের ঝুঁকিপূর্ণ কোম্পানির তৈরি টেলিযোগাযোগ সরঞ্জাম ক্রয়, সংযোজন অথবা ব্যবহার নিষিদ্ধ করে এক নির্বাহী আদেশে সই করেন। নতুন এই আদেশের ফলে হুয়াওয়ের সঙ্গে বাণিজ্য করতে হলে মার্কিন কোম্পানিগুলোকে লাইসেন্স নিতে হবে। এরপরই গুগল এই সিদ্ধান্তের কথা জানাল।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন প্রশাসনের ‘ব্ল্যাকলিস্ট’ হওয়ার কারণে গুগল হুয়াওয়ের সঙ্গে চলমান দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বন্ধ করতে যাচ্ছে। তবে হুয়াওয়ের স্মার্টফোনগুলোতে ‘ওপেন সোর্স প্ল্যাটফর্মে’ থাকা সফটওয়্যারগুলোই শুধু সচল থাকবে।
সংবাদমাধ্যম দুটি আরও জানিয়েছে, চীনে গুগল ব্যবহার সীমিত আকারে থাকায় এ সিদ্ধান্ত সেখানে খুব একটা প্রভাব ফেলবে না। কিন্তু চীনের বাইরে অন্যান্য দেশগুলোতে অ্যান্ড্রয়েড এবং গুগলের নানারকম অ্যাপস বেশ জনপ্রিয় এবং বহুল ব্যবহৃত। ফলে সেসকল দেশগুলোতে হুয়াওয়ে ডিভাইস ব্যবহারকারীরা বেশ বড় রকমের বিপাকে পড়তে যাচ্ছেন। শুধু তাই নয়, এটি তাদের বৈশ্বিক ব্যবসায় প্রভাব ফেলবে।
যুক্তরাষ্ট্রে হুয়াওয়েকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘কালোতালিকা’ ভুক্ত করার সিদ্ধান্তের পরেই গুগল নিজেদের সিদ্ধান্ত জানায়। তাই হুয়াওয়ের নতুন হ্যান্ডসেটগুলোতে এখন আর অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম থাকছে না। ‘গুগল প্লে’ অ্যাপ স্টোরও থাকবে না। তবে বর্তমান হুয়াওয়ের ডিভাইস ব্যবহারকারীদের গুগল প্লে স্টোরের অ্যাকসেস থাকায় তারা এখনো গুগলের অ্যাপ্লিকেশনের আপডেট ডাউনলোড করতে পারবেন।
গুগলের এমন সিদ্ধান্তের বিষয়ে হুয়াওয়ের পক্ষ থেকে এখনো কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে হুয়াওয়ে ‘সম্ভাব্য’ সব উপায় খতিয়ে দেখছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
হুয়াওয়ে ও আরেক চীনা কোম্পানি জেডটিইর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্র দেশগুলো বরাবরই অভিযোগ করে আসছে যে তারা চীনের গোয়েন্দা সংস্থার কাছে ব্যবহারকারীদের তথ্য পাচারের মাধ্যমের গুপ্তচরবৃত্তিতে লিপ্ত রয়েছে। এমনকি প্রতিষ্ঠান দুটিকে যুক্তরাষ্ট্রে ফাইভজি সেবার কাজে নিষিদ্ধও ঘোষণা করা হয়।
ওডি/টিএফ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড