প্রযুক্তি ডেস্ক
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে ফেসবুক ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে হাজির হচ্ছে। জানা গেছে, চলতি মাসের শেষ দিকেই প্রতিষ্ঠানটি ক্রিপ্টোকারেন্সি আনছে।
‘প্রোজেক্ট লিব্রা’র মাধ্যমে ফেসবুক ক্রিপ্টোকারেন্সির উন্নয়ন করছে। এর মাধ্যমে ফেসবুকে লেনদেন করা যাবে। শুধু তাই নয়, বিশ্বের যে কোনো দেশ থেকে এর মাধ্যমে যে কোনো লেনদেন এবং পারচেজ করা যাবে।
সংবাদ মাধ্যম এনগ্যাজেট জানিয়েছে, ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে মার্চেন্টদের বোনাস দেওয়া যাবে এবং এর সঙ্গে খাপ খাওয়াবে। এছাড়াও এর সঙ্গে জড়িত কর্মীরা চাইলে তাদের বেতনও ক্রিপ্টোকারেন্সি বা এই ভার্চুয়াল মুদ্রায় নিতে পারবেন।
ফেসবুকের সিকিউরিটি ব্যবস্থাকে এই ভার্চুয়াল মুদ্রা আরও শক্তিশালী করবে। এই মুদ্রা বিটকয়েনের মতো অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গেও লেনদেন সুবিধা বাড়াতে সহায়তা করবে।
ফেসবুক জানিয়েছে, প্রথাগত মুদ্রায় ফেসবুকের পার্টনারদের বার্ষিক অন্তত এক কোটি ডলার তৃতীয় কোনো পক্ষের হাতে দিতে হয়। কিন্তু এটি চালু হলে ফেসবুক পার্টনাররা সেই অর্থ সাশ্রয় করতে পারবে।
অন্যদিকে ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, এমনও হতে পারে, ব্লকচেইন প্রযুক্তি দিয়ে ফেসবুকে লগইন করতে হবে।
তবে জাকারবার্গের কথা সত্যি হলে তবে ফেসবুক ব্যবহারে অর্থ গুণতে হবে।
মার্চ মাসের হিসাব অনুযায়ী, ফেসবুকের সক্রিয় ব্যবহারকারী ২৩৮ কোটি। এদের জন্যই ফেসবুক এই ক্রিপ্টোকারেন্সি আনছে।
ধারণা করা হচ্ছে, প্রতিষ্ঠানটির আনা ক্রিপ্টোকারেন্সি বা ডিজিটাল মুদ্রার নাম লিব্রা রাখা হতে পারে। কেননা কিছুদিন আগেই ফেসবুক জেনেভাতে লিব্রা নেটওয়ার্কস নামে একটি প্রতিষ্ঠান খুলেছে।
আয়ারল্যান্ডের ফেসবুক গ্লোবাল হোল্ডিংস ২ সুইজারল্যান্ডে খোলা ওই প্রতিষ্ঠানটির মালিকানায় রয়েছে ।লিব্রা নেটওয়ার্কস ব্লকচেইন, লেনদেন, অ্যানালিটিকস, বিগ ডেটা এবং পরিচয় ব্যবস্থাপনার মতো ক্রিপ্টোকারেন্সি বিষয়ক সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার বানাতে কাজ করবে।
এছাড়া গত ফেব্রুয়ারিতে জানা গেছে, ফেসবুক তাদের মাধ্যমে এবং হোয়াটসঅ্যাপে ব্যবহারের জন্য ভার্চুয়াল মুদ্রা আনতে ৫০ সদস্যের দল গঠন করেছে।
ওডি/টিএফ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড