• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩০ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

সহিংসতা থেকে নারীকে বাঁচাবে হাতে থাকা স্মার্টফোন

  প্রযুক্তি ডেস্ক

২৩ আগস্ট ২০১৯, ১৪:০৯
নারী
(ছবি: সংগৃহীত)

পুরুষের সাথে তাল মিলিয়ে নারীর পদচারণা আজ ঘরে বাইরে সব জায়গাতেই মুখরিত। তারা তাদের কর্মক্ষেত্রের পরিসীমা বৃদ্ধি করেছে সর্বত্র। তবে কাজের প্রয়োজনে নারীকে অনেক সময় অনেক রাত করে বাড়ি ফিরতে হয়। তাই সমাজের নারীরা এখনো নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে।

তাই প্রযুক্তির হাত ধরে সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোনটি নিশ্চিত করতে পারে তার নিরাপত্তা। কোনো বিপদে পড়লে হাতের স্মার্টফোনের কোনো একটি বাটন চাপ দিলেই বিপদের সময়ে বার্তা চলে যাবে কোনো বন্ধু অথবা জরুরি সাহায্য সংস্থার কাছে তার বার্তা। স্মার্টফোনের যুগে এমন বহু অ্যাপ ইতোমধ্যেই নানা দেশে চালু আছে।

বাংলাদেশেও এখন পরীক্ষামূলকভাবে এই অ্যাপ চালুর চেষ্টা করা হচ্ছে। দেখার চেষ্টা চলছে প্রযুক্তির মাধ্যমে কিভাবে নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনায় দ্রুত সাড়া দেওয়া যায়, তা রোধ করা যায়, অথবা সহিংসতার শিকার নারী ও শিশুর জন্য পরবর্তী সময়ে দরকারি চিকিৎসা ও আইনি সহায়তা কিভাবে দ্রুত পাওয়া যায়।

অ্যাসিড সারভাইভার্স ফাউন্ডেশন বগুড়া ও নরসিংদী জেলার ১৬টি ইউনিয়নে এমন একটি প্রকল্প পরিচালনা করছে- যার মাধ্যমে দেখা হচ্ছে নারী নির্যাতন প্রতিরোধে প্রযুক্তিকে কীভাবে কাজে লাগানো যেতে পারে।

সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক সেলিনা আহমেদ জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত তারা ১৩৪ জনকে এ ধরনের সহায়তা দিয়েছেন।

তিনি জানান, নারী ও মেয়ে শিশুদের প্রতি সহিংসতা দূর করতে একটি হেল্প ডেস্ক ও হেল্প লাইন চালু, ই-ক্লিনিকের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা প্রদান, সহিংসতার ঘটনায় একটি তথ্যভাণ্ডার তৈরি-এসব কাজ করা হচ্ছে। পাশাপাশি মোবাইল ফোনের একটি অ্যাপের সাহায্যে সংযোগ তৈরিরও চেষ্টা চলছে।

হেল্প ডেস্কের অফিসার মুসাম্মৎ মিতু খাতুন জানান, শুধু স্বেচ্ছাসেবীদের কাছেই এই অ্যাপটি রয়েছে। এর মাধ্যমে কোন কোন জায়গায় নারীর ওপর সহিংসতার আশঙ্কা আছে সে সব সম্পর্কেও আগেভাগে তথ্য পাওয়া সম্ভব।

কীভাবে সেটি হচ্ছে তার ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘স্বেচ্ছাসেবীরা গ্রামের নানা বাড়িতে যান। তখন যদি দেখেন যে কোনো বাড়িতে সমস্যা আছে, তখন তিনি সেটি অ্যাপের মাধ্যমে জানিয়ে দেন। তখন ওই বাড়িটার ওপর নজর রাখা হয়।’

তবে বর্তমানে খুব স্বল্প পরিসরে মাত্র ১৬ ইউনিয়নে এখন পর্যন্ত এই কাজ চলছে। সেলিনা আহমেদ জানান, এই অ্যাপটি যেন এক সময় গুগল প্লে স্টোর বা অ্যাপ স্টোরের মাধ্যমে সবার হাতে পৌঁছায়, সে জন্যই তারা কাজ করে যাচ্ছেন।

ওডি/টিএফ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড