প্রযুক্তি ডেস্ক
সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এসেছে, দীর্ঘসময় ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের ফলে কিশোর-কিশোরীরা বেশি হতাশ হয়ে পড়ে এবং তা গোপনে বিষণ্ণতা বাড়ায়। কানাডার মন্ট্রিল বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত ওই গবেষণা পত্রটি সপ্তাহের শুরুতেই জ্যামা পেডিয়াট্রিকসে প্রকাশ করা হয়।
ভিডিও গেম খেলা, টেলিভিশন দেখা, কম্পিউটার ব্যবহার এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কী পরিমাণে সময় ব্যয় করা হচ্ছে তার ওপর গবেষণাটি পরিচালনা করা হয়। কিশোর-কিশোরীদের ওপর ওই ডিজিটাল স্ক্রিনগুলো ব্যবহার করে কীরূপ প্রভাব ফেলে, তা দেখা হয়।
গবেষেণাটি কানাডার মন্ট্রিল অঞ্চলের ৭-১১ বছর বয়সী চার হাজার শিক্ষার্থীর ওপর করা হয়। তারা কম্পিউটার ব্যবহার, টেলিভিশন দেখা, ভিডিও গেম খেলা এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কী পরিমাণ সময় তারা ব্যয় করেছে গবেষক দলকে তা নিজেরাই জানায়। গড়ে ছয় থেকে সাত ঘণ্টা তারা প্রতিদিন ওইগুলো ব্যবহার করে বলে জানায়।
গবেষণার প্রধান লেখক হিসেবে কাজ করা প্যাট্রিসিয়া কনরাড নামের একজন মনোবিজ্ঞানের অধ্যাপক বলেন, আমরা চার ধরনের ডিজিটাল স্ক্রিন নিয়ে কাজ করেছি। কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রভাব সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে যে ছবি দেখতে পায়, সেই তুলনায় তাদেরকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চায়। ফলে তাদের মনে এক ধরনের বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।
এই গবেষক জানান, এমনিতেই কিশোর-কিশোরীরা অনেক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়। এ সময় তাদের শারীরিক এবং হরমোনে পরিবর্তন হয়। আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো তাদের মনে এক ধরনের চাপ সৃষ্টি করে। তারা সেলিব্রিটিদের দেখানো অবাস্তব সৌন্দর্যের পেছনে দৌড়াতে শুরু করে। ফলে তাদের মাঝে এক ধরনের হতাশা কাজ করে। নিজেদের ভালো রাখতে তারা জীবনের সঙ্গে যুদ্ধ করা শুরু করে।
আর যারা ইতোমধ্যে হতাশায় ডুবে আছে তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার তাদের হতাশাকে আরও বেশি বাড়িয়ে তুলে। ফলে নেতিবাচক বিষয়গুলোর প্রতি তারা আকৃষ্ট হয়।
তবে গবেষণায় উঠে এসেছে, অনেক সময় ভিডিও গেম খেলার ইতিবাচক প্রভাবও পাওয়া যায়। এটি কিশোর-কিশোরীদের সুখী রাখতে সহায়তা করে। আর যারা ভিডিও গেম খেলে তারা সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন নয়। শতকরা ৭০ শতাংশেরও বেশি কিশোর-কিশোরীরা অন্যান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে অনলাইন বা বাস্তবে গেম খেলেন।
গবেষণায় উঠে এসেছে, কিশোর-কিশোরীদের ওপর এই সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহারের কিছু নেতিবাচক প্রভাব পাওয়া গেছে। আর আমরা এখন এর ঝুঁকি বুঝতে পারছি। কিশোর-কিশোরীদের বিষণ্ণতা কমাতে অভিভাবকদের উচিত ডিজিটাল স্ক্রিনগুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণ আনা।
সূত্র: ট্রিহাগ্গার
ওডি/টিএফ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড