• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৫ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

ফেসঅ্যাপের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি মার্কিন সিনেটরের

  প্রযুক্তি ডেস্ক

২০ জুলাই ২০১৯, ১৫:৫৯
ফেসঅ্যাপ
(ছবি: সংগৃহীত)

সম্প্রতি ফেসঅ্যাপের সাহায্যে চেহারার ধরন পাল্টানোর বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে। অনেকেই নীতিমালা না পড়ে অ্যাপ ডাউলোড করে তা দিয়ে ‘বুড়ো ছবি’ বানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করছেন। কিন্তু এখন অ্যাপটির বিরুদ্ধে তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠছে।

বৃটিশ গণমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন সিনেটর চাক শুমার ফেসঅ্যাপ নিয়ে এফবিআইকে তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি টুইটারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে লিখেছেন, মার্কিন নাগরিকদের তথ্য বিদেশি শক্তির কাছে চলে যেতে পারে।

ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) ও ফেডারেল ট্রেড কমিশনের (এফটিসি) কাছে শুমার চিঠি দিয়েছেন। সেখানে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে লিখেছেন, রাশিয়ার সরকার আপলোড করা ব্যক্তিগত তথ্যে ঢুকতে পারে। ডেমোক্রেটিক ন্যাশনাল কমিটিও (ডিএনসি) তাঁর মতোই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ।

সিএনএনকে ডিএনসির প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা বব লর্ড বিবিসিকে বলেছেন, অ্যাপটি ঘিরে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। সামান্য একটি সেলফি আপলোড করতে গেলেও এটি ছবির পুরো অ্যাকসেস নিয়ে নেয়। তিনি সবাইকে দ্রুত অ্যাপটি মুছে ফেলার পরামর্শ দেন। ডিএনসির পক্ষ থেকে অবশ্য সতর্ক থাকার কারণ রয়েছে। ২০১৫ ও ২০১৬ সালে তাদের কম্পিউটার নেটওয়ার্কে আক্রমণ হয়েছিল। যাতে প্রচুর তথ্য বেহাত হয়। সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলেন, এর পেছনে রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থার হাত ছিল।

ফেসঅ্যাপ নিয়ে যা হচ্ছে

ফেসঅ্যাপটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে এবং কিছু ফিল্টার ব্যবহার করে ভবিষ্যতে ব্যবহারকারীর চেহারা দেখতে কেমন হবে তা জানিয়ে দেয়।২০১৭ সালে এটির প্রথম সংষ্করণ প্রকাশ হয়েছিল। রাশিয়ান কোম্পানি ওয়ারলেস ল্যাব এই অ্যাপটি তৈরি করেছে।

২০১৭ সালের পর এবার ২০১৯ সালে এসেও গুগল প্লে-স্টোর ও অ্যাপ-স্টোরে থাকা এই অ্যাপটি ভাইরাল হওয়া শুরু করেছে।

বিনা কারণে এ ধরনের অ্যাপ ভাইরাল হয় না বলে বিশেষজ্ঞরা অভিমত দিয়েছেন। তারা বলছেন, এর পেছনে কোনো না কোনো কারণ থাকে যা এটির প্রাইভেসি পলিসিতে লেখা থাকে। অ্যাপটি ব্যবহারকারীর কী কী তথ্য সংগ্রহ করবে এবং এসব তথ্য কিভাবে ব্যবহার করা হবে সেটিও লেখা থাকে।

তবে অধিকাংশ ব্যবহারকারী এসব অ্যাপের প্রাইভেসি পলিসি সম্পর্কে বিন্দুমাত্র ধারণা রাখে না। ফলে তাদের তথ্য বেহাত হওয়ার শঙ্কা থেকেই যায় বলেও তারা জানিয়েছেন। এদিকে ফেসঅ্যাপটি তাদের প্রাইভেসি পলিসিতে জানিয়েছে, তারা ব্যবহারকারীর আইপি অ্যাড্রেস, ব্রাউজারের কুকিস, লগ ফাইল, ডিভাইসের বিভিন্ন তথ্য এবং অবস্থান সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করে থাকে।

পাশাপাশি অ্যাপটি ব্যবহারকারী কোন ওয়েব পেজ ব্রাউজ করেছে, ব্রাউজারে থাকা অ্যাডঅন সংক্রান্ত তথ্যও নিয়ে থাকে।

ফেসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষের বক্তব্য

এদিকে ফেসঅ্যাপটি তাদের প্রাইভেসি পলিসিতে জানিয়েছে, তারা ব্যবহারকারীর আইপি অ্যাড্রেস, ব্রাউজারের কুকিস, লগ ফাইল, ডিভাইসের বিভিন্ন তথ্য এবং অবস্থান সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করে থাকে।

পাশাপাশি অ্যাপটি ব্যবহারকারী কোন ওয়েব পেজ ব্রাউজ করেছে, ব্রাউজারে থাকা অ্যাডঅন সংক্রান্ত তথ্যও নিয়ে থাকে। তবে তারা কোনো তথ্য রাশিয়ায় পাঠায় না। ছবি আপলোড করার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই তারা তা মুছে ফেলে। ক্লাউডে ছবি রাখার জন্য গুগল ও আমাজনের ক্লাউড সার্ভার ব্যবহার করে। পেইড সাবসক্রিপশন মডেলের মাধ্যমে তারা অর্থ আয় করে। তারা কোনো নিয়মবহির্ভূত কাজ করছে না।

তবে সিনেটর শুমার এফবিআই ও মার্কিন ফেডারেল ট্রেড কমিশনকে (এফটিসি) ফেসঅ্যাপের বিষয়টি তদন্ত করে দেখতে বলেছেন। ওই সিনেটর চিঠিতে বলেছেন, ‘যেসব তথ্য জড়ো করা হচ্ছে, সেগুলোর সুরক্ষার পাশাপাশি কারা এ তথ্যভান্ডারে প্রবেশ করতে পারবে, সে বিষয়ে ব্যবহারকারীরা সচেতন কি না, এ উভয় বিষয় নিয়ে আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’

মার্কিন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনগুলোতে বলা হয়েছে, ডেমোক্রেট পার্টির জাতীয় কমিটি ২০২০ সালের নির্বাচনে তাদের দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের ও তাদের প্রচারণা কর্মকর্তাদের ফেসঅ্যাপ ব্যবহার না করার জন্য সতর্ক করার পর শুমার এ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন।

বাড়ছে ক্লোন অ্যাপের ব্যবহার

সেন্সর টাওয়ারের তথ্য অনুযায়ী, ফেসঅ্যাপ অ্যাপ্লিকেশনটি গত ৯ দিনে ১ কোটি ৩০ লাখ বার ডাউনলোড হয়েছে। তাছাড়া কিছু ‘ক্লোন’ বা নকল অ্যাপও চলে এসেছে। সেগুলোরও জনপ্রিয়তা বাড়ছে। এগুলো অ্যাপ স্টোর ও গুগল প্লেস্টোরে ফ্রি ও পেইড অ্যাপের শীর্ষ তালিকায় এধরনের অ্যাপের সংখ্যাও বাড়ছে। যেমন-এগেইনবুথ, ফেসঅ্যাপ,ওল্ডিফাই!

ওডি/টিএফ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড